ট্রাম্প ঘনিষ্ঠ স্টিভ ব্যাননের চার মাসের জেল

Daily Inqilab অনলাইন ডেস্ক

০২ জুলাই ২০২৪, ০২:৩০ পিএম | আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৪, ০২:৩০ পিএম

ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে হোয়াইট হাউসের মুখ্য কৌশলবিদ হিসেবে কাজ করতেন স্টিভ ব্য়ানন। ২০১৬ সালে ট্রাম্পের জয়ের পিছনেও তার হাত ছিল। চার মাসের কারাদণ্ড হলো স্টিভ ব্য়াননের। জেলে যাওয়ার আগে তিনি নিজেকে একজন রাজনৈতিক বন্দি হিসেবে অভিহিত করেছেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি কংগ্রেসের সমন অগ্রাহ্য় করেছেন।

 

৬ জানুয়ারি ক্য়াপিটল হিলে হামলা নিয়ে মার্কিন কংগ্রেস যে তদন্ত করছিল, সেখানে ব্য়াননকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। কংগ্রেসের সামনে তার টেস্টিমোনি দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু ব্য়ানন সেখানে যেতে অস্বীকার করেন। এর ফলে তার বিরুদ্ধে কংগ্রেস কনটেম্পট বা কংগ্রেস অবমাননার নোটিস জারি করে।

 

এখানেই শেষ নয়, ২০২০ সালে ট্রাম্প বেআইনিভাবে নির্বাচনের ফলাফল বদলে দিতে চেয়েছিলেন বলে যে অভিযোগ উঠেছে, সে বিষয়েও ব্য়াননের কাছে কিছু কাগজপত্র চেয়েছিল কংগ্রেস। ট্রাম্প ঘনিষ্ঠ রাজনীতিক সে সমস্ত কাগজ দিতেওঅস্বীকার করেন। এরপরেই তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়। ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে ব্য়াননকে হাজতবাসের নির্দেশ দেয় আদালত। কিন্তু রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যান ব্য়ানন। সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত লড়েছেন তিনি। কিন্তু সব আদালতই তার হাজতবাসের নির্দেশ বহাল রাখে। সেই মোতাবেক সোমবার তাকে জেলে নিয়ে যাওয়া হয়।

 

জেলের বাইরে বেশ কিছু রিপাবলিকান সমর্থক তার সঙ্গে দেখা করেন। তাদেরকে ব্য়ানন বলেন, তিনি একজন রাজনৈতিক বন্দি। রাজনৈতিক কারণে তাকে জেলে যেতে হচ্ছে। সুপ্রিম কোর্টের যে বিচারক তাকে হাজতবাসের নির্দেশ দিয়েছেন, তিনিও ট্রাম্পের আমলে নিযুক্ত হয়েছিলেন। কোনো কোনো বিশেষজ্ঞ মনে করেছিলেন, সুপ্রিম কোর্ট ব্যাননকে কিছু ছাড় দিতে পারে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হলো না।

 

ব্যাননের বিরুদ্ধে আরো একাধিক মামলা আছে। মানি লন্ডারিং বা আর্থিক তছরুপের মতো মামলা তার বিরুদ্ধে আছে। মেস্কিকো সীমান্তে দেওয়াল তোলার জন্য় লাখ লাখ ডলার সাহায্য় নেওয়া হয়েছিল সাধারণ মানুষের থেকে। ২০১৬ সালে ট্রাম্পের নির্বাচনি প্রচারের অন্য়তম বিষয় ছিল এটি। সেই টাকা ব্য়ানন নয়-ছয় করেছেন বলে অভিযোগ। শাসনের একদম শেষপর্বে ব্য়াননের শাস্তি মকুবের নির্দেশ দিয়েছিলেন ট্রাম্প। কিন্তু সেই মামলা এখনো চলছে। বিভিন্ন রাজ্যগুলিতে তার বিরুদ্ধে মামলা চলছে। তবে আপাতত চার মাস জেলে থাকতে হবে ৭০ বছরের এই ট্রাম্পঘনিষ্ঠ রাজনীতিবিদকে।

 


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

পাকিস্তানিদের জন্য ভিসার শর্ত শিথিল করল বাংলাদেশ

পাকিস্তানিদের জন্য ভিসার শর্ত শিথিল করল বাংলাদেশ

মুসলিম রাষ্ট্রপ্রধানদের ঐক্যবদ্ধ কার্যকরী ভূমিকা সময়ের অপরিহার্য দাবি

মুসলিম রাষ্ট্রপ্রধানদের ঐক্যবদ্ধ কার্যকরী ভূমিকা সময়ের অপরিহার্য দাবি

রাজনীতি হওয়া উচিত জনমানুষের কল্যাণে -বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আসলাম চৌধুরী

রাজনীতি হওয়া উচিত জনমানুষের কল্যাণে -বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আসলাম চৌধুরী

বিএনপির সাথে জামায়াতের দূরত্ব নয় বরং সুসম্পর্ক রয়েছে -চাঁদপুরে ডা. তাহের

বিএনপির সাথে জামায়াতের দূরত্ব নয় বরং সুসম্পর্ক রয়েছে -চাঁদপুরে ডা. তাহের

আদমদীঘিতে খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া

আদমদীঘিতে খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া

ছাত্রাবাস থেকে রুয়েট শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার

ছাত্রাবাস থেকে রুয়েট শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার

দেশীয় চোলাই মদের ট্রানজিট বোয়ালখালী

দেশীয় চোলাই মদের ট্রানজিট বোয়ালখালী

সোনারগাঁওয়ে বিনামূল্যে চক্ষু শিবির

সোনারগাঁওয়ে বিনামূল্যে চক্ষু শিবির

রূপগঞ্জ অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সভা, সংবর্ধনা ও বার্ষিক মিলনমেলা অনুষ্ঠিত

রূপগঞ্জ অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সভা, সংবর্ধনা ও বার্ষিক মিলনমেলা অনুষ্ঠিত

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মীরাও ফ্যাসিস্ট সরকারের নিপীড়নের শিকার : অধ্যাপক মুজিবুর রহমান

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মীরাও ফ্যাসিস্ট সরকারের নিপীড়নের শিকার : অধ্যাপক মুজিবুর রহমান

সাম্প্রদায়িক হামলার অভিযোগে ১১৫টি মামলা, ১০০ জন গ্রেফতার

সাম্প্রদায়িক হামলার অভিযোগে ১১৫টি মামলা, ১০০ জন গ্রেফতার

উন্মুক্ত মঞ্চে তরুণদের উচ্ছ্বাস

উন্মুক্ত মঞ্চে তরুণদের উচ্ছ্বাস

শুল্ক-কর বাড়ানোর অধ্যাদেশ প্রত্যাহার দাবি নাগরিক কমিটির

শুল্ক-কর বাড়ানোর অধ্যাদেশ প্রত্যাহার দাবি নাগরিক কমিটির

আহসানউল্লাহ মাস্টার হত্যা মামলার পুনঃতদন্ত দাবিতে টঙ্গীতে বিক্ষোভ মিছিল

আহসানউল্লাহ মাস্টার হত্যা মামলার পুনঃতদন্ত দাবিতে টঙ্গীতে বিক্ষোভ মিছিল

বন্দরে সাবেক কাউন্সিলর আ. লীগ নেতা সিরাজকে সমাজচ্যুত ঘোষণা

বন্দরে সাবেক কাউন্সিলর আ. লীগ নেতা সিরাজকে সমাজচ্যুত ঘোষণা

ফ্যাসিবাদের দরজা বন্ধ ছাড়া কোনো নির্বাচন নয় -ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ

ফ্যাসিবাদের দরজা বন্ধ ছাড়া কোনো নির্বাচন নয় -ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ

‘নির্দোষ প্রমাণে ব্যর্থ হলে মৃত্যুদণ্ড চেয়ে নেবো’

‘নির্দোষ প্রমাণে ব্যর্থ হলে মৃত্যুদণ্ড চেয়ে নেবো’

ড. ইউনূসের পাঁচ মামলা বাতিলে কোনো আইনি দুর্বলতা নেই

ড. ইউনূসের পাঁচ মামলা বাতিলে কোনো আইনি দুর্বলতা নেই

কেরানীগঞ্জে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনতাই ঘাতক বন্ধু গ্রেফতার

কেরানীগঞ্জে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনতাই ঘাতক বন্ধু গ্রেফতার

৪৩তম বিসিএসের ২৬৭ কর্মকর্তার পদায়ন

৪৩তম বিসিএসের ২৬৭ কর্মকর্তার পদায়ন