ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হয়েই নেতানিয়াহুকে ফোন স্টার্মারের, গাজা যুদ্ধ নিয়ে কী বার্তা?

ইনকিলাব

১০ জুলাই ২০২৪, ১২:০৪ এএম | আপডেট: ১০ জুলাই ২০২৪, ১২:০৪ এএম

নির্বাচনে বিপুল ভোট পেয়ে ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন কিয়ের স্টার্মার। তার দল লেবার পার্টির কাছে হেরে গিয়েছে ঋষি সুনাকের কনজারভেটিভ পার্টি। আর মসনদে বসেই গাজা যুদ্ধ তিনি ফোনে কথা বলেছেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে। অবিলম্বে এই রক্তক্ষয়ী সংঘাত থামানো, পণবন্দিদের দ্রুত দেশে ফেরানো এরকম একাধিক বিষয়ের উপর জোর দিয়েছেন স্টার্মার।

১০ মাস পেরিয়ে গিয়েছে। গাজা ভূখণ্ড গুঁড়িয়ে দিচ্ছে ইজরায়েলি ফৌজ। ইতিমধ্যে গাজায় মৃতের সংখ্যা ৩৮ হাজার পেরিয়ে গিয়েছে। এই মৃত্যুমিছিল নিয়ে সরব হয়েছে আন্তর্জাতিক মহল। ব্রিটেনেও নিন্দার ঝড় উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে রাজার দেশের প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসার পর রবিবার স্টার্মার ফোনে কথা বলেন নেতানিয়াহুর সঙ্গে। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, স্টার্মার অবিলম্বে গাজায় যুদ্ধ বন্ধ, পণবন্দিদের দ্রুত দেশে ফেরানো এবং গাজায় ত্রাণ সরবরাহ অব্যাহত রাখার অনুরোধ জানিয়েছেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রীকে।

গত বছরের ৭ অক্টোবর ইজরায়েলে বেনজির হামলা চালায় প্যালেস্টাইনের জঙ্গি সংগঠন হামাস। এই হামলার কড়া নিন্দা জানিয়েছিলেন ব্রিটেনের সদ্য প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করার বার্তা দিয়ে নেতানিয়াহুর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। এমনকী অক্টোবর মাসেই ইজরায়েলে গিয়েছিলেন সুনাক। সেসময় খানিক তার সুরেই সুর মিলিয়েছিলেন স্টারমার। তার বিরুদ্ধে অভিযোগও উঠেছিল লেবার পার্টির প্যালেস্টাইনপন্থী নেতাদের ভোটের টিকিট না দেয়ার। তখন যুদ্ধবিরতির কথাও খুব একটা শোনা যায়নি তার গলায়। যা নিয়ে সমালোচনার মুখেও পড়েছিলেন স্টারমার।

নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে অবস্থান বদলাতে থাকেন তিনি। নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে যুদ্ধবিরতি নিয়ে কথা বলতে দেখা যায় তাকে। বিশ্লেষকদের মতে, জনগণের সমর্থন ধরে রাখতে প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসে গাজা যুদ্ধ নিয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন স্টারমার।

বিভাগ : আন্তর্জাতিক