ঢাকা   বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫ | ২ মাঘ ১৪৩১

১৭ হাজার কোটি টাকা খরচেও হল না শেষরক্ষা! দূষণে পিছিয়ে গেল অলিম্পিকের ইভেন্ট

Daily Inqilab অনলাইন ডেস্ক

৩০ জুলাই ২০২৪, ১২:৫৫ পিএম | আপডেট: ৩০ জুলাই ২০২৪, ১২:৫৫ পিএম

অলিম্পিক উদ্বোধনের প্রাণকেন্দ্র ছিল শ্যেন নদী। এই প্রথমবার কোনও অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান স্টেডিয়ামে নয়, হয়েছে নদীর উপর। সারা বিশ্বের প্রতিযোগীরা নৌকোয় করে পরিক্রমা করেছে শ্যেন নদী (Seine River) দিয়েই। কিন্তু এখন সেই নদীকে ঘিরেই যত বিপত্তি। দূষণের জন্য পিছিয়ে গেল অলিম্পিকের ইভেন্টও।

 

মঙ্গলবার সকালে পুরুষদের ট্রায়াথলন (Triathlon) ইভেন্ট হওয়ার কথা ছিল শ্যেন নদীতে। কিন্তু নদীর দূষণ এত তীব্র আকার নিয়েছে যে অ্যাথলিটদের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে প্রতিযোগিতা পিছিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছে অলিম্পিক কমিটি। শ্যেন নদীর দূষণ নিয়ে চিন্তা আগে থেকেই ছিল। তবে গত শুক্রবার অলিম্পিকের উদ্বোধনের দিন বৃষ্টি হওয়ায় আশা করা গিয়েছিল পরিস্থিতির উন্নতি হবে। কিন্তু প্যারিস অলিম্পিকের (Paris Olympics 2024) আয়োজকদের সেই আশা পূর্ণ হয়নি।

 

বিশ্ব ট্রায়াথলন সংস্থা থেকে জানানো হয়েছে, নদীর পানির অবস্থা সাঁতারুদের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। তারা জানিয়েছে, “বৃষ্টির জন্য পানির দূষণ কিছুটা কমেছে ঠিকই। কিন্তু কিছু জায়গায় পানির পরিস্থিতি এখনও আশাজনক নয়। প্যারিস অলিম্পিকের আয়োজক কমিটি ও বিশ্ব ট্রায়াথলন সব সময়ই ক্রীড়াবিদদের স্বাস্থ্যকে আগে গুরুত্ব দেয়। সেক্ষেত্রে আগামী বুধবার সকালে ট্রায়াথলনের নতুন সূচি ঘোষণা করা হয়েছে। তবে সেটাও পানির দূষণের উপর নির্ভর করবে।

 

শ্যেন নদীর পানিদূষণ রোধ করার জন্য ১৭,৮০০ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। এমনকী পানি যে দূষিত নয়, এটা প্রমাণ করার জন্য অলিম্পিকের আগে প্যারিসের মেয়র অ্যানি হিদালগো নদীতে সাঁতারও কেটেছিলেন। কিন্তু তাতেও যে সমস্যা মেটেনি, সেটা অলিম্পিক শুরু হওয়ার পরই বোঝা গেল। এর আগে দুবার অনুশীলনও পিছিয়ে দিতে হয়। এবার পিছিয়ে গেল অলিম্পিকের ইভেন্টও। উল্লেখ্য, ট্রায়াথলনে তিনটি ইভেন্ট এক সঙ্গে থাকে। সাঁতারের সঙ্গে সাইকেল চালানো ও দৌড়ে অংশগ্রহণ করতে হয় প্রতিযোগীদের।


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত
শেষ তিন মাসে রেকর্ড বাজেট ঘাটতি যুক্তরাষ্ট্রের
বিশ্ব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় একত্রে কাজ করলেই সফল হবে জাতিসংঘ
এলোপাতাড়ি গোলাবর্ষণে ১২০ নিহত সুদানে
ভারতীয়দের ভিসা প্রদানে কড়াকড়ি আরোপ সউদীর
আরও

আরও পড়ুন

বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪

বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪

মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫

মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫

সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই

সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই

ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের

ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের

গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি

গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি

রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের

রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের

শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা

শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা

বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা

বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা

এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা

এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা

দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম

দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম

বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের

বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের

ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?

ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?

আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু

আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু

বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ

বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ

রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী

রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী

ধূমপানকে না বলুন

ধূমপানকে না বলুন

জালিমের পরিণতি ভালো হয় না

জালিমের পরিণতি ভালো হয় না

অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি

অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি

মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়

মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়

১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত

১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত