প্রবল বৃষ্টিতে পাকিস্তানে আকস্মিক বন্যা-ভূমিধস, নিহত ৩৫
০২ আগস্ট ২০২৪, ০৯:৪৭ এএম | আপডেট: ০২ আগস্ট ২০২৪, ০৯:৪৭ এএম
প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে পাকিস্তানের উত্তরাঞ্চল। ভারী বৃষ্টিপাতের জেরে দেশটির এই অঞ্চলে আকস্মিক বন্যা দেখা দেওয়ার পাশাপাশি আশপাশের বহু এলাকা ভেসে গেছে এবং ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে।
এতে দুই দিনে অন্তত ৩৫ জন নিহত হয়েছেন। দুর্ভোগে পড়েছেন আরও বহু মানুষ। কর্মকর্তা ও স্থানীয়দের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।
বার্তাসংস্থাটি বলছে, বৃষ্টির পানির প্রবাহ উত্তর-পশ্চিম খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের মনোরম চিত্রাল জেলার বিভিন্ন অংশে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। সেখানে ভারী বৃষ্টিপাত এবং আকস্মিক বন্যা গত বুধবার বহু বাড়িঘর, সেতু এবং গবাদি পশুকে ভাসিয়ে নিয়ে গেছে এবং শহরের সঙ্গে বহু শহরতলি ও গ্রামের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে।
ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে ভূমিধসও হয়েছে এবং কাদার স্রোত ভেসে এসেছে। এতে করে বিভিন্ন পয়েন্টে রাস্তা অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। স্থানীয় ইসরার আহমেদ ফোনে আনাদোলুকে বলেন, ‘পরিস্থিতি খুবই গুরুতর। আল্লাহর রহমতে, বৃষ্টি এবং আকস্মিক বন্যার কারণে সৃষ্ট ধ্বংসযজ্ঞের তুলনায় মানুষের ক্ষয়ক্ষতি তেমন বড় নয়।’
তবে, প্রচুর অবকাঠামোগত ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তিনি।
খাইবার পাখতুনখাওয়ার প্রাদেশিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের মতে, গত ৪৮ ঘণ্টায় প্রদেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টিজনিত দুর্ঘটনায় ১৯ জন প্রাণ হারিয়েছেন এবং ১৫ জন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার কোহাট জেলায় একটি বাড়ির বেসমেন্ট বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় একই পরিবারের প্রায় ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার দক্ষিণ থর মরুভূমিতে বজ্রপাতে আরও আটজন প্রাণ হারিয়েছেন।
এছাড়া আকস্মিক বন্যায় ভেসে যাওয়ায় বিখ্যাত পর্যটন গন্তব্য কাগান ও নারানের সংযোগকারী একটি মূল সেতু দেশের বাকি অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় শত শত পর্যটক দুই দিন ধরে সেখানে আটকে আছেন।
পাকিস্তানের আবহাওয়া বিভাগ ২ থেকে ৬ আগস্ট করাচি, লাহোর এবং ইসলামাবাদের মতো প্রধান শহরগুলোর পাশাপাশি সারা দেশে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি এবং বন্যার পূর্বাভাস দিয়েছে।
জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ সবাইকে সতর্ক থাকতে এবং সম্ভাব্য বৃষ্টির কারণে মানব ও অবকাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছে। দেশটির রাষ্ট্র পরিচালিত এই সংস্থাটি বিভিন্ন ত্রাণ ও উদ্ধার সংস্থার মধ্যে সমন্বয় করে থাকে।
জুলাই থেকে আগস্ট পর্যন্ত বর্ষা মৌসুম দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে দীর্ঘকাল ধরে ধ্বংসযজ্ঞ ডেকে আনছে। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এর তীব্রতা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। আর সেটি প্রধানত জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার পরও গাজায় হামলা ইসরাইলের, নিহত অন্তত ৩০
জুলাই ঘোষণা : কারা যাচ্ছেন আজকের বৈঠকে
গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হামাস-ইসরাইল
যে সব শর্তে গাজায় যুদ্ধবিরতি
এনসিটিবির সামনে হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার ২
নোয়াখালীর সদর উপজেলার ইউপি চেয়ারম্যান বাবলু আটক
বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪
মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫
সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই
ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের
গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি
রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের
শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা
বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা
এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা
দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম
বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের
ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?
আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু
বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ