দুটো খুঁটি থাকলেও কেন ব্রিটেনে আশ্রয় পাচ্ছেন না শেখ হাসিনা?
০৬ আগস্ট ২০২৪, ০৭:২১ পিএম | আপডেট: ০৬ আগস্ট ২০২৪, ০৭:২১ পিএম
লন্ডনে যেতে চান বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু, সোমবার রাতেই জানা গিয়েছিল, হাসিনাকে আশ্রয় দিতে প্রস্তুত নয় ব্রিটেন। জানা গিয়েছে, ব্রিটেনের অনুমতি না পাওয়া পর্যন্ত ভারতেই থাকছেন হাসিনা। কিন্তু ব্রিটেন কি আদৌ কোনোদিন শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দেবে? কোথায় সমস্যা তাদের?
মঙ্গলবার (৬ জুলাই), ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে উদ্ধৃত করে এনডিটিভি জানিয়েছে, ব্রিটিশ অভিবাসন বিধিতেই আটকে যাচ্ছে হাসিনাকে আশ্রয় দেয়ার বিষয়টি। সে দেশের অভিবাসন বিধি অনুযায়ী, কাউকে ব্যক্তিগতভাবে স্থায়ী বা অস্থায়ী আশ্রয় দেয়ার অনুমতি নেই। ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, “যাদের সুরক্ষা প্রয়োজন তাদের আশ্রয় দেয়ার গর্বের রেকর্ড রয়েছে আমাদের। তবে, কাউকে স্থায়ী আশ্রয় বা অস্থায়ী আশ্রয় দেয়ার জন্য ব্রিটেনে আসার অনুমতি দেয়ার কোনও বিধান নেই।”
হাসিনা ভারতে পৌঁছানোর পর, সোমবার রাতে গাজিয়াবাদের বিন্দন বিমানবাহিনী ঘাঁটিতে তার সঙ্গে দেখা করেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। সূত্রের খবর, ডোভালকে হাসিনা জানান, তার বিমানে জ্বালানি ভরা হয়ে গেলেই তিনি লন্ডনে উড়ে যেতে চান। কিন্তু, তারপরই ব্রিটেনের পক্ষ থেকে জটিলতা তৈরি হয়। ব্রিটেন জানিয়ে দেয়, হাসিনাকে আশ্রয় দিতে তারা প্রস্তুত নয়।
তারপর থেকে বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর সময়সূচী বা অবস্থান, পুরোটাই গোপন রাখা হয়েছে। সূত্র মতে, তিনি ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা আরএনডি-র সুরক্ষায় আছেন। তার সঙ্গে আছেন তার ছোট বোন শেখ রেহানা। তিনি ব্রিটেনের নাগরিক। তার ব্রিটিশ নাগরিকত্ব শেখ হাসিনার সেই দেশে আশ্রয় পাওয়ার সহায়ক হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে সবটাই এখনও অনিশ্চিত।
গত বছর দিল্লিতে জি২০ বৈঠকের সময়, তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনককে দেখা গিয়েছিল, হাঁটু মুড়ে বসে বাংলাদেশের তখনকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলতে। তাদের মধ্যে স্পষ্টতই ভাল সম্পর্ক ছিল। কিন্তু, হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়র আগেই ভোটে হেরে ১০ ডাউনিং স্ট্রিট ছাড়তে হয়েছে ঋষিকে। বর্তমানে ব্রিটেনের ক্ষমতায় আছে, স্যার কেয়ার স্টারমারের লেবার পার্টির সরকার।
কেয়ার স্টারমার প্রশাসন আকারে ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিয়েছে, শেখ হাসিনাকে তারা আশ্রয় দিতে নারাজ। তাদের মতে, আশ্রয়প্রার্থী ব্যক্তিরা প্রথম যে নিরাপদ দেশে পৌঁছন, সেই দেশেই তাদের আশ্রয় নেয়া উচিত। অর্থাৎ শেখ হাসিনা ভারতেই থাকুন, এমনটাই চায় লন্ডন। তবে, হাসিনার ভাগ্নি, টিউলিপ সিদ্দিক, ব্রিটিশ লেবার পার্টির এমপি। বোন এবং ভাগ্নী, ব্রিটেনে দু-দুটি খুঁটি আছে হাসিনার। তাকে কাজে লাগিয়ে হালে পানি কি পাবেন তিনি? এটাই এখন দেখার। সূত্র: টিভি৯।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
পেকুয়ায় আন্তর্জাতিক সেবা সংগঠন এপেক্স ক্লাবের সার্টিফিকেট অনুষ্ঠান সম্পন্ন
সোনারগাঁওয়ে ডিগবার ফুটবল খেলার পুরস্কার বিতরণ
লেবানন থেকে দেশে ফিরলেন আরও ৫৭ জন
বাতিল হলো জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন ২০২৩
ব্লু পেপার চালু রাখার দাবিতে সাতক্ষীরার নির্বাহী আদালতে আইনজীবীদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি
জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির কর্মসূচি ঘোষণা
ইসলামপুর দরবার শরীফের ৮১তম মাহ্ফিল
ঐক্যের মাঝে এ সরকারের জন্ম, একতাই শক্তি: প্রধান উপদেষ্টা
বরগুনায় জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে শাপলাকুঁড়ি ট্রফি'র শুভ উদ্বোধন
বিদেশ থেকে বাড়িতে এসেই দেখলে স্ত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ
বগুড়া ইতিহাস চর্চা পরিষদের উদ্যোগে ডা. সি এম ইদরিসের ৯৬তম জন্মদিন উদযাপন
নরসিংদীতে ভ্রাম্যমান আদালতকে লক্ষ্য করে অবৈধ বালু দস্যুদের গুলি বর্ষণ
‘সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করাই বর্তমান নির্বাচন কমিশনের প্রধান লক্ষ্য’
মির্জাপুরে নদী তীর থেকে মাটিকাটার অপরাধে দুই মাটি ব্যবসায়ীর লাখ টাকা জরিমানা
আ.লীগকে পুনর্বাসন করতে হলে আমাদের রক্তের ওপর দিয়ে করতে হবে: হাসনাত আব্দুল্লাহ
নোয়াখালীতে বিমানবন্দরের দাবিতে প্রধান উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি
চাঁদপুর মেঘনায় বিশেষ কম্বিং অভিযানে ১৫ বেহুন্দি জাল জব্দ
ভ্যাট বৃদ্ধির প্রতিবাদে চাঁদপুরে রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মানববন্ধন
দোয়ারাবাজার হাওর বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি হেলালী, সম্পাদক আশিস
নাচোলে এক গৃহবধূর আত্মহত্যা