ঢাকা   বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫ | ২ মাঘ ১৪৩১

মার্কিন-ইসরাইলি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান হামাসের

Daily Inqilab অনলাইন ডেস্ক

১৯ আগস্ট ২০২৪, ০৯:১১ এএম | আপডেট: ১৯ আগস্ট ২০২৪, ০৯:১১ এএম

 

ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি ও পণবন্দী মুক্তি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের দেয়া প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। যুদ্ধবিরতি আলোচনায় নতুন নতুন শর্তারোপের মাধ্যমে ইসরাইল জটিলতা সৃষ্টি করেছ অভিযোগ এনে রোববার সন্ধ্যায় তাদের অভিমত প্রকাশ করে হামাস।

এর আগে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু তার মন্ত্রীদের বলেছিলেন, যুদ্ধবিরতি চুক্তি সই হওয়া নিয়ে তিনি সংশয়ে রয়েছেন।

উল্লেখ্য, এবারের আলোচনায় হামাস তাদের প্রতিনিধিদের পাঠায়নি। মধ্যস্থতাকারীরা ইসরাইলের সাথে আলোচনা করে তা হামাসকে জানাচ্ছিল।

মধ্যস্থতাকারীরা কয়েক দিন ধরে বলছিলেন যে আলোচনায় অগ্রগতি হচ্ছে। কিন্তু হামাস ও নেতানিয়াহুর প্রতিক্রিয়ায় তেমনটি মনে হয়নি।

নেতানিয়াহু আজ সোমবার সফররত মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেনের সাথে বৈঠক করবেন। এতে গাজায় যুদ্ধবিরতির বিষয়টিই গুরুত্ব পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

জানা গেছে, হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে বর্তমানে যে বিষয়টি নিয়ে সবচেয়ে বিরোধে নিয়োজিত রয়েছে, তা হলো ফিলাডেলফি করিডোরে ইসরাইলি বাহিনীর অবস্থান নিয়ে। ইসরাইল সেখান থেকে সরতে রাজি নয়। তারা বলছে, হামাস এই পথেই অস্ত্র আমদানি করে থাকে। আর হামাস বলছে, এখানে ইসরাইলের উপস্থিতি তাদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।

হামাস জোর দিয়ে বলছে, ফিলাডেলফি করিডোরসহ পুরো গাজা থেকে ইসরাইলের পূর্ণ প্রত্যাহার এবং স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ছাড়া কোনো চুক্তিই হবে না।

উল্লেখ্য, ফিলাডেলফি করিডোরে ইসরাইলি বাহিনী অবস্থানের কোনো কথা মূল প্রস্তাবে ছিল না। ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু পরে এটি যোগ করেন।

হামাস রোববার সন্ধ্যায় দেয়া বিবৃতিতে জানায়, নেতানিয়াহু নতুন নতুন শর্ত যোগ করে গাজায় যুদ্ধকে দীর্ঘায়িত করতে চাচ্ছে।

হামাস জানায়, যুক্তরাষ্ট্র নতুন যে সংশোধিত প্রস্তাব দিয়েছে, তা আসলে ইসরাইলের নতুন শর্তগুলোর সংযুক্ত।

সূত্র : টাইমস অব ইসরাইল, জেরুসালেম পোস্ট

 


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত
শেষ তিন মাসে রেকর্ড বাজেট ঘাটতি যুক্তরাষ্ট্রের
বিশ্ব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় একত্রে কাজ করলেই সফল হবে জাতিসংঘ
এলোপাতাড়ি গোলাবর্ষণে ১২০ নিহত সুদানে
ভারতীয়দের ভিসা প্রদানে কড়াকড়ি আরোপ সউদীর
আরও

আরও পড়ুন

বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪

বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪

মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫

মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫

সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই

সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই

ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের

ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের

গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি

গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি

রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের

রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের

শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা

শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা

বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা

বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা

এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা

এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা

দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম

দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম

বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের

বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের

ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?

ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?

আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু

আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু

বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ

বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ

রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী

রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী

ধূমপানকে না বলুন

ধূমপানকে না বলুন

জালিমের পরিণতি ভালো হয় না

জালিমের পরিণতি ভালো হয় না

অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি

অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি

মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়

মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়

১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত

১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত