ইসরাইলি নীতির কারণে যেভাবে তৈরি হচ্ছে ধর্ষক
২২ আগস্ট ২০২৪, ০৯:০৭ এএম | আপডেট: ২২ আগস্ট ২০২৪, ০৯:০৭ এএম
ইসরাইলিরা বিশ্বাস করে যে 'স্থায়ী যুদ্ধে' বেঁচে থাকার জন্য যে কোনও পদক্ষেপ এমনকি অমানবিক হলেও ন্যায়সঙ্গত। ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের ভয়ানক ঘটনার নৈতিক ও মনস্তাত্ত্বিক দিক বিশ্লেষণ করলে ইহুদিবাদীদের আদর্শিক ও নৈতিক শিক্ষার দিকটি স্পষ্ট হয়ে যায়। পার্সটুডে'র আজকের এই নিবন্ধে গুরুত্বপূর্ণ ও নৈতিক ওই বিষয়টির ওপর সংক্ষিপ্তভাবে দৃষ্টি দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে:
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে, নেগেভ মরুভূমিতে অবস্থিত সেদি তিমান ডিটেনশন সেন্টারে ইসরাইলি রক্ষীদের মাধ্যমে ফিলিস্তিনি বন্দীদের ওপর গণ ধর্ষণের ছবি প্রকাশিত হয়েছে। ওই ন্যাক্কারজনক ঘটনায় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি অত্যন্ত মর্মান্তিক হওয়া সত্ত্বেও ইসরাইলি সমাজের একটি অংশ এই অমানবিক আচরণকে সুরক্ষা দিয়েছে। প্রকাশিত ভিডিওগুলোতে ফিলিস্তিনি বন্দীদের ধর্ষণে নিয়োজিত দশজন রিজার্ভ সৈন্যকে গ্রেপ্তারের পর, এই লোকদের সমর্থনে কিছু সরকারী মন্ত্রীসহ অতি-ডানপন্থী গোষ্ঠীগুলো থেকে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে।
ইসরাইলের নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন গাভির এ প্রসঙ্গে বলেছেন: নিরাপত্তার স্বার্থে গণধর্ষণ অনুমোদিত। একইভাবে, অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ নিজেও ধর্ষণের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ না করে ওই ভিডিও প্রকাশে ক্ষুব্ধ হয়েছেন। তিনি বরং যারা এই ভিডিওগুলো প্রকাশ করেছে তাদের খুঁজে বের করে শাস্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
এসব ঘটনা ইসরাইলিদের অভ্যন্তরীণ নীতি-নৈতিকতার চরম দুরবস্থাকেই তুলে ধরে। গত কয়েক দশকে, ইসরাইলিরা ফিলিস্তিনিদেরকে পরিকল্পিতভাবে মানবিক মূল্যবোধহীন বলে দেখানোর চেষ্টা করেছে এবং নিজেদেরকে ইসরাইলিদের চেয়ে নিম্ন নৈতিক মানসম্পন্ন মানুষ হিসেবে চিত্রিত করেছে।
অন্য কথায়, ঔপনিবেশবাদ বিরোধী দার্শনিক ফ্রান্সিস ফ্যানন এই ঔপনিবেশিক প্রক্রিয়াকে বর্ণনা করতে গিয়ে বলেছেন ফিলিস্তিনিরা "মানব প্রাণী" হিসাবে পরিচিত।
এইভাবে ফিলিস্তিনিদের নৈতিকভাবে দুর্বল এবং মূল্যহীন হিসাবে দেখা হয়। তাই তাদের বিরুদ্ধে সহিংসতা ও আগ্রাসনকে কেবল অনৈতিক হিসেবে যে বিবেচনা করা হয় না তাই নয় বরং কোনো কোনো ক্ষেত্রে নির্যাতন করাকে একটি ন্যায়সঙ্গত পদক্ষেপ হিসেবে মনে করা হয়। এ জন্যই ইসরাইলি যেসব সেনা ওই আগ্রাসন চালিয়েছিল তারা তাদের নৈতিক শ্রেষ্ঠত্ব এবং প্রতিপক্ষকে অমানুষ মনে করার কারণে নিজেদেরকে দোষী বলে অনুভব করে না। এমনকি তারা ইসরাইলি সমাজের বৃহৎ অংশের সমর্থনও পেয়ে থাকে।
ইসরাইলিরা বিশ্বাস করে যে এই "স্থায়ী যুদ্ধে" বেঁচে থাকার জন্য যে-কোনো পদক্ষেপই ন্যায়সঙ্গত।
তা ছাড়া পশ্চিমা বর্ণবাদী দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী মধ্যপ্রাচ্যের বর্বরতার বিরুদ্ধে লড়াই করা উচিত। আর মধ্যপ্রাচ্যে পশ্চিমা সভ্যতার প্রতিনিধি হলো ইসরাইল। সুতরাং ইসরাইলকেই ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে লড়তে হবে। এ কারণে ফিলিস্তিনে ইসরাইলি সহিংসতাকে পশ্চিমারা ন্যায্য বলে মনে করে।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
৮ ফেব্রুয়ারী কক্সবাজারে আসছেন জামায়াত আমীর ডা. শফিকুর রহমান
মোবারকগঞ্জ সুগার মিলে চিনি খেতে বাধা দেওয়াই মারামারি : আহত-১, আটক-২
বিরলে সীমান্ত এলাকায় বিজিবি কর্তৃক বিপুল পরিমাণ ফেন্সিডিল উদ্ধার
বিএসএফের হাতে আটক যুবক ফেরত আনলো বিজিবি
নিজেকে আ.লীগের চক্রান্তের শিকার দাবি এনবিআরের সেই মতিউরের
হিলিতে দিনব্যাপী ৪৬ তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহের উদ্বোধন ও পুরস্কার বিতরণ
মহিলাদের জন্য সংসদে কোন সংরক্ষিত আসন চাই না : মুফতি ফয়জুল করীম
কারামুক্ত ডেসটিনির এমডি রফিকুল আমীন
ময়মনসিংহ সদর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে দিনব্যাপী তারুণ্য উৎসব উদযাপন
রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী
বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ
আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু
ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?
বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের
দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম
এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা
আটঘরিয়ায় মসজিদের মাইক চুরি
রাজনৈতিক ঐকমত্য প্রতিষ্ঠায় ড. ইউনূসের নেতৃত্বে কমিশন গঠন
শায়খ ফুলতলী আমাদের বেহেশতের পথ দেখিয়েছেন: দামেস্কের শায়খ সাইয়্যিদ ফাদি জু’বা
সৈয়দপুরে নববধূ মুক্তার হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন