তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে কঠোর হুঁশিয়ারি রাশিয়ার

ইনকিলাব ডেস্ক

২৮ আগস্ট ২০২৪, ০৭:০৫ পিএম | আপডেট: ২৮ আগস্ট ২০২৪, ০৭:০৫ পিএম

তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুধু ইউরোপের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না বলে যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করেছে রাশিয়া। তারা বলেছে, পশ্চিমা মিসাইল দিয়ে ইউক্রেনকে রাশিয়ার ভেতরে হামলা করতে দেয়ার মাধ্যমে পশ্চিমা বিশ্ব আগুন নিয়ে খেলছে।

৬ আগস্ট রাশিয়ার পশ্চিমের কুরস্ক অঞ্চলে হামলা করে কিছু এলাকার নিয়ন্ত্রণ নেয় ইউক্রেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এটিই রাশিয়ার উপর বাইরের শক্তির সবচেয়ে বড় হামলা। এই হামলার যথাযথ জবাব দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

ব্রিটিশ ট্যাঙ্ক ও যুক্তরাষ্ট্রের রকেট সিস্টেম ব্যবহার করে কুরস্কে হামলা হয়েছে বলে রাশিয়া অভিযোগ করেছে। কিয়েভও নিশ্চিত করেছে, কুরস্কে সেতু ধ্বংসে যুক্তরাষ্ট্রের হিমার্স মিসাইল ব্যবহার করা হয়েছে। তবে ওয়াশিংটন বলছে, কুরস্কে হামলার বিষয়ে ইউক্রেনের পরিকল্পনা তাদের আগে জানানো হয়নি। হামলায় যুক্তরাষ্ট্র অংশ নেয়নি বলেও দাবি করা হয়েছে।

তবে পুতিনের বিদেশি গোয়েন্দা প্রধান সের্গেই নারিশকিন বলেছেন, কুরস্কে হামলার সঙ্গে পশ্চিমের সংশ্লিষ্ট না থাকার দাবি মস্কো বিশ্বাস করে না। রাশিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রায়াবকভ বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সংশ্লিষ্টতা ‘একটি সুস্পষ্ট সত্য'।

এদিকে, নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, কুরস্কে হামলার পর ইউক্রেনকে স্যাটেলাইট ছবি ও অন্যান্য তথ্য দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন। ঐ এলাকায় রুশদের আগমন সম্পর্কে তথ্য পেতে সহায়তা করতে এসব তথ্য দেয়া হয় বলে নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়।

রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ মঙ্গলবার মস্কোতে সাংবাদিকদের বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধের উত্তেজনা বাড়াতে চাইছে পশ্চিমা বিশ্ব। ইউক্রেনকে অস্ত্র সহায়তা দেয়ার সময় কিছু শর্ত দিয়েছিল পশ্চিমা বিশ্ব। সেই শর্ত সহজ করতে পশ্চিমা বিশ্বের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইউক্রেন। সেই অনুরোধ বিবেচনার মাধ্যমে পশ্চিমা বিশ্ব ‘সমস্যা ডেকে আনছে' বলেও মন্তব্য করেন লাভরভ।

‘আমরা আবার নিশ্চিত করছি, পশ্চিমা দেশগুলোতে যে প্রাপ্তবয়স্ক চাচা ও চাচীদের পরমাণু অস্ত্রের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তাদের জন্য আগুন নিয়ে খেলা খুব বিপজ্জনক। মনে হচ্ছে, তারা ম্যাচ নিয়ে খেলা ছোট বাচ্চা,’ বলেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লাভরভ। ‘মার্কিনিরা তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে দ্ব্যর্থহীনভাবে এমন কথা বলে যেন, ঈশ্বর না করুক, যদি (বিশ্বযুদ্ধ) শুরু হয়ে যায়, তাহলে সেটা শুধু ইউরোপকে প্রভাবিত করবে,’ বলেন তিনি।

লাভরভ বলেন, নিউক্লিয়ার ডকট্রিন আরো ‘স্পষ্ট করছে' রাশিয়া। দেশটির ২০২০ সালের নিউক্লিয়ার ডকট্রিনে প্রেসিডেন্ট কোন বিবেচনায় পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের কথা ভাববেন, তা বলা আছে। এতে বলা হয়, পরমাণু বা অন্যান্য গণবিধ্বংসী অস্ত্র বা প্রচলিত অস্ত্র দিয়ে হামলার শিকার হওয়ার পর ‘দেশের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়লে' প্রেসিডেন্ট পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের কথা ভাবতে পারেন।

বিভাগ : আন্তর্জাতিক