কঙ্গোর কারাগার ভাঙতে গিয়ে পদদলিত হয়ে মৃত্যু ১২৯, গুলি করে হত্যা ২৪ কয়েদিকে

অনলাইন ডেস্ক

০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:১৬ এএম | আপডেট: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:১৬ এএম

মর্মান্তিক ঘটনা! মধ্য আফ্রিকার কঙ্গোর প্রধান কারাগার ভাঙতে গিয়ে কমপক্ষে ১২৯ জন নিহত হয়েছেন। জেল ভাঙার ফলে বহু মানুষ পদদলিত হয়ে মারা গিয়েছেন। এছাড়াও কঙ্গোর মাকালা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে পালানোর চেষ্টা করার সময় বেশ কয়েকজন বন্দীকে কর্তৃপক্ষ গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল। একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রায় ২৪ জন বন্দিকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।

ঘটনাটি ঘটেছে, সোমবার ভোরে কিনশাসার ভিড় মাকালা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আসামীরা পালানোর চেষ্টা করলে কয়েকজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এবং কয়েকজন আসামি পদদলিত হয়ে মারা গিয়েছেন বলে সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম এক্সে জানিয়েছেন কঙ্গোর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যাকমিন শাবানি। তিনি জানিয়েছেন, পালাতে গিয়ে ৫৯ জন আহত হয়েছেন। আবার কিছু আসামির বিরুদ্ধে নারী ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, মাকালা, ১,৫০০ জনের ধারণক্ষমতা সহ কঙ্গোর বৃহত্তম দণ্ডাদেশ, যেখানে ১২,০০০ এরও বেশি বন্দী রয়েছে, যাদের বেশিরভাগই বিচারের অপেক্ষায় রয়েছে। ২০১৭ সালেও একটি ধর্মীয় সম্প্রদায়ের আক্রমণ থেকে ডজন খানেক আসামি পালিয়েছিল। ঘটনাটি ঘটেছে, গত রবিবার মধ্যরাত থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত কারাগারের ভেতরে বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়।

একজন ঊর্ধ্বতন সরকারী কর্মকর্তা জানিয়েছেন যে, এই ঘটনার সময় শুধুমাত্র দুটি মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছিল। কারাগার থেকে প্রাপ্ত ভিডিওগুলিতে মৃতদেহ মাটিতে পড়ে থাকতে দেখা গেছে। অন্য একটি ভিডিওতে বন্দীদের একটি গাড়িতে মৃত অবস্থায় দেখা গিয়েছে। রাষ্ট্রপতির প্রাসাদ থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত কারাগারে জোরপূর্বক প্রবেশের কোনও লক্ষণ ছিল না।

এই ঘটনায়, ডেপুটি বিচার মন্ত্রী এমবেম্বা কাবুয়া স্থানীয় টপ কঙ্গো এফএম রেডিওকে বলেছেন, হামলার পরের ঘন্টায়, কারাগারের রাস্তাটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল তদন্তের জন্যে। মাকালা – কঙ্গোর অন্যান্য কারাগারগুলির মধ্যে প্রধান। এই কারাগারের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। আসামিরা প্রায়শই অনাহারে মারা যায়। কারাগারে যানজট নিরসনের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে এ বছর বহু বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

বিভাগ : আন্তর্জাতিক