জার্মানিতে আশ্রয় প্রার্থীদের প্রবেশ আরো কঠিন করার উদ্যোগ
০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:৫২ পিএম | আপডেট: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:৫২ পিএম
মঙ্গলবার জার্মানির সরকার ও প্রধান বিরোধী শিবির রাজনৈতিক আশ্রয় ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত একাধিক বিষয়ে সংস্কারের লক্ষ্যে প্রাথমিক আলোচনা চালিয়েছে। বিরোধীরা জার্মানিতে প্রবেশ আরো কঠিন করতে চায়।
জোলিঙেনের ঘটনার পর থেকে জার্মানির রাজনৈতিক জগতে রাজনৈতিক আশ্রয় ও নিরাপত্তার বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে। সেই সঙ্গে গত রোববার পূবের দুটি রাজ্যে নির্বাচনে মূল স্রোতের রাজনৈতিক দলগুলির খারাপ ফলাফল অবৈধ অনুপ্রবেশ, আশ্রয়ের আবেদন নাকচ হওয়ার পর বিদেশিদের প্রত্যর্পণ, অপরাধ দমনে সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার তাগিদ আরো বেড়ে গেছে। মঙ্গলবার জার্মানির জোট সরকারের তিন শরিক দল ও প্রধান বিরোধী ইউনিয়ন শিবিরের দুই দল প্রথম বারের মতো সে বিষয়ে আলোচনা করেছে।
গত সপ্তাহে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসের সরকার প্রস্তাবিত পদক্ষেপের এক খসড়া প্রকাশ করেছিল। তার ভিত্তিতেই মঙ্গলবার প্রাথমিক আলোচনা হলো। সরকার ও বিরোধী প্রতিনিধিরা সে বিষয়ে বিস্তারিত মন্তব্য না করলেও এই উদ্যোগকে ইতিবাচক হিসেবে বর্ণনা করেছেন। আগামী কয়েক দিনে আরো কয়েক দফা আলোচনা হবার কথা। জার্মান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ন্যান্সি ফেজার বলেন, প্রথম বৈঠকে দুই পক্ষের মধ্যে সুনির্দিষ্ট, খোলামেলা ও গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে। এবার কয়েকটি বিষয়ের আইনি দিকগুলি পরীক্ষা করতে হবে। আপাতত আলোচনার বিষয়গুলি গোপনীয় রাখার সিদ্ধান্তের কথাও তিনি বলেন।
শলৎসের সরকার বেশ কিছু কড়া পদক্ষেপের প্রস্তাব রেখেছে। বিরোধী ইউনিয়ন শিবির সেইসঙ্গে জার্মানিতে বিদেশিদের প্রবেশের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কমানোর উপরও জোর দিচ্ছে। তাদের মতে, অভিবাসন ও সমাজের মূল স্রোতে বিদেশিদের সম্পৃক্ত করার কাজ সুষ্ঠুভাবে করতে হলে কর্তৃপক্ষের ক্ষমতার সীমা অতিক্রম করলে চলবে না। সীমান্তে আরো কড়া নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি সেখান থেকে বিদেশিদের ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থাও করতে হবে। সিডিইউ দলের শীর্ষ নেতা ফ্রিডরিশ ম্যারৎস বলেছেন, অনিয়ন্ত্রিত অভিবাসনই মূল ইস্যু। তবে জাতীয় ও ইউরোপীয় আইন লঙ্ঘন না করে বাস্তবে কতটা কড়া পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব, সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
রাজনৈতিক আশ্রয়ের প্রশ্নে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাধারণ বিধিনিয়ম নিয়ে জার্মানির রাজনৈতিক মহলে সংশয় বাড়ছে। বিশেষ করে ডাবলিন চুক্তি সত্ত্বেও অন্য দেশে নথিভূক্ত আশ্রয়প্রার্থীরাও জার্মানিতে থেকে গিয়ে যেভাবে প্রত্যর্পণ এড়াতে পারছে, সেই প্রেক্ষাপটে জাতীয় স্তরে আরো কড়া নিয়মের দাবি বাড়ছে। মূল স্রোতের রাজনৈতিক দলগুলি ভোটারদের ক্ষোভের মুখে দলীয় রাজনীতির ঊর্দ্ধে উঠে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার তাগিদ অনুভব করছে। সাম্প্রতিক নির্বাচনে পপুলিস্ট দলগুলির অভাবনীয় সাফল্য তাদের গভীর দুশ্চিন্তায় ফেলছে।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
ফ্রান্সের বিরুদ্ধে আলজেরিয়ার তথ্য বিভ্রান্তির অভিযোগ, কূটনৈতিক উত্তেজনা বাড়ছে
আজ গরম চা দিবস
এলিফেন্ট রোডে ব্যবসায়ীকে প্রকাশ্যে চাপাতি দিয়ে কোপ, ভিডিও ভাইরাল
গাজায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে হাজার হাজার অবিস্ফোরিত বোমা
জ্যাক স্মিথ বিচার বিভাগ থেকে পদত্যাগ করেছেন
তেজগাঁও ট্রাকস্ট্যান্ডে গ্যারেজের আগুন নিয়ন্ত্রণে
লস অ্যাঞ্জেলেসে দাবানল, আগুনের বিরুদ্ধে দমকল বাহিনীর মরিয়া লড়াই
হাসিনাকে যে কারণে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করতেই হবে ভারতকে: তুর্কি গণমাধ্যমের বিশ্লেষণ
সিরিয়ার স্থিতিশীলতা নিয়ে আলোচনায় সউদী আরবে বৈঠক
ইসরায়েলি বর্বর হামলায় গাজায় নিহত আরও ৩২, মানবিক সংকট চরমে
চাটমোহর পৌর বিএনপির কাউন্সিলে আরশেদ-তাইজুল-সিন্টু নির্বাচিত
‘একদল খাইছে আরেকদল খাওয়ার জন্য রেডি হয়ে আছে’ কথাটি ছিল ভেরি জেনারেল: আজহারী
নোয়াখালীর মাইজদী হর্কাস মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড
ছাত্রলীগ কর্মীকে পুলিশে দিল জাবি ছাত্রদল
গরু চুরি করে বিএনপি নেতা ও তার স্ত্রীর ভূরিভোজ, অতঃপর...
মানসিক ভারসাম্যহীন বোনকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে ভাই আটক
থানা থেকে ছিনিয়ে নেওয়া সেই যুবদল নেতা গ্রেফতার
এফএ কাপে সিটির গোল উৎসব
মাদুরোকে গ্রেপ্তারে ২৫ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের
যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত উভয়েই একটি স্থিতিশীল বাংলাদেশ দেখতে চায় :বিদায়ী মার্কিন রাষ্ট্রদূত