মুসলমান ও খ্রিস্টানদের দুই শতাধিক ঐতিহাসিক নিদর্শন ধ্বংস করেছে ইসরাইল
১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:১৭ এএম | আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:১৭ এএম
ইহুদিবাদী ইসরাইল গাজা উপত্যকায় চলমান গণহত্যা অভিযানে এখন পর্যন্ত দুইশ’র বেশি ঐতিহাসিক নিদর্শন ধ্বংস করেছে।
গাজা উপত্যকায় ইহুদিবাদী ইসরাইলের সর্বসাম্প্রতিক হামলায় এই অঞ্চলের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। পার্সটুডে ফার্সি জানাচ্ছে, এসব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের মধ্যে রয়েছে মসজিদ, গির্জা, যাদুঘর ও ঐতিহাসিক স্থাপনা।
ইসরাইল যেসব ঐতিহাসিক স্থাপনা ধ্বংস করেছে সেগুলোর মধ্যে ফিনিশিয়ান ও রোমান যুগের স্থাপনা রয়েছে। এগুলোর মধ্যে খ্রিস্টপূর্ব ৮০০ থেকে ১৪০০ অব্দের স্থাপনাও রয়েছে।
গাজা উপত্যকায় ইসরাইল যেসব মসজিদ ধ্বংস করেছে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে কবির-উল-উমর মসজিদ যেটি ১৪০০ বছর পূর্বে নির্মাণ করা হয়েছে।
গাজায় ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা বলছেন: উপত্যকায় ইহুদিবাদী সেনারা খ্রিস্টানদের যেসব ঐতিহাসিক স্থান এবং উপাসনালয় ধ্বংস করেছে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে জাবালিয়ার বাইজেন্টাইন চার্চ, সেন্ট পোরফিরিয়াসের গ্রীক অর্থোডক্স চার্চ এবং বালাচিয়ার বাইজেন্টাইন কবরস্থান।
ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস গাজা উপত্যকার ঐতিহাসিক নিদর্শন ধ্বংস করার প্রতিক্রিয়ায় বলেছে, ইহুদিবাদী ইসরাইল এই অপকর্মের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক আইন ও কনভেনশনগুলো লঙ্ঘন করেছে যেখানে উপাসনালয় ও ঐতিহাসিক স্থাপনা ধ্বংস নিষিদ্ধ রয়েছে।
ইহুদিবাদী ইসরাইল ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে পশ্চিমা দেশগুলোর সার্বিক পৃষ্ঠপোষকতা নিয়ে গাজা উপত্যকা ও পশ্চিম তীরের নিরপরাধ ও নির্যাতিত ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ভয়াবহ গণহত্যা শুরু করে।
গাজার স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে প্রকাশিত সর্বশেষ পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, ইসরাইলি গণহত্যার শিকার হয়ে এ পর্যন্ত প্রায় ৪১ হাজার ফিলিস্তিনি শহীদ ও ৯৪ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। হতাহতের উল্লেখযোগ্য অংশই হচ্ছে নারী ও শিশু।
১৯১৭ সালে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের পরিকল্পনা এবং বিভিন্ন দেশ থেকে ফিলিস্তিনি ভূমিতে ইহুদিদের অভিবাসনের মাধ্যমে ইসরাইল প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম শুরু হয় এবং ১৯৪৮ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে এই অবৈধ রাষ্ট্রের অস্তিত্ব ঘোষণা করা হয়। তারপর থেকে ফিলিস্তিনি জনগণকে হত্যা এবং তাদের গোটা ভূখণ্ড দখল করার জন্য বিভিন্ন সময়ে অসংখ্য গণহত্যা চালিয়েছে ইসরাইল।
ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে বিশ্বের বহু দেশ ইহুদিবাদী ইসরাইলের পতন কামনা করে। এসব দেশ মনে করে, ইসরাইলে উড়ে এসে জুড়ে বসা ইহুদিবাদীদের উচিত এই অবৈধ ঔপনিবেশিক শাসন ত্যাগ করে নিজ নিজ দেশে ফিরে যাওয়া।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
দোয়ারাবাজারে স্ত্রীর যৌতুক মামলায় যুবক গ্রেপ্তার
সচিবালয়ে আগুন পরিকল্পিত: প্রকৌশলী ইকরামুল খান
সেন্ট মার্টিন থেকে ফেরার পথে আটকা পড়েছেন ৭১ পর্যটক
জকিগঞ্জে মোটরসাইকেল দূর্ঘটনায় এক যুবকের মৃত্যু
বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের চামড়া শিল্পের অগ্রগতির লক্ষে ইসিফোরজে’র প্রি-ওয়ার্কশপ
উচ্চ পর্যায়ের নতুন কমিটি গঠন, ৩ কর্মদিবসে প্রাথমিক প্রতিবেদন
ব্রাহ্মণপাড়ায় ছুরিকাঘাতে এক যুবককে হত্যা
কালীগঞ্জে পুকুর থেকে ২ শিশুর লাশ উদ্ধার
নিবন্ধন চূড়ান্ত: হজযাত্রী ৮৩ হাজার ২৪২ জন
হল্যান্ডের পেনাল্টি মিস,বিবর্ণ সিটি ফের হারাল পয়েন্ট
শরীফ থেকে শরীফার গল্প বাতিল করতে হবে: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ
বিসিএ নির্বাচন সম্পন্ন: মিজান সভাপতি, মতিন সম্পাদক
ডেঙ্গুতে আরও ৪ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১৫৩
বিএনপি মুক্ত সাংবাদিকতায় বিশ্বাসী: শাহজাহান চৌধুরী
সচিবালয়ে আগুন: গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর ব্যর্থতাকে দায়ী করলো এবি পার্টি
পরকীয়া প্রেমের ঘটনায় গৌরনদীতে উপ-সহকারী ২ কৃষি কর্মকর্তা এলাকাবাসীর হাতে আটক
‘প্রতিবন্ধীদের সংগঠন ও সম্পদ দখল করে পতিত সরকারের শিল্পমন্ত্রীর কন্যা’
আশিয়ান সিটির স্টলে বুকিং দিলেই মিলছে ল্যাপটপ
সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি পরিকল্পিত নাশকতা: ইসলামী আইনজীবী পরিষদ
গাজীপুরে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতাকে ছাড়িয়ে আনতে থানায় বিএনপি নেতাদের ভিড়