‘এক দেশ, এক ভোটে’ সিলমোহর মোদি মন্ত্রিসভার, আসন্ন অধিবেশনেই বিল পেশ
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:৩৭ পিএম | আপডেট: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:৩৭ পিএম
গতকালই ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, শীঘ্রই ‘এক দেশ, এক ভোট’ প্রক্রিয়া জারি হতে চলেছে দেশে। শাহের ইঙ্গিতের পর দিনই সেই প্রক্রিয়ায় আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে গেল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার। বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় পাশ হল ‘এক দেশ, এক ভোট’ কার্যকরের লক্ষ্যে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ কমিটির সুপারিশ। শুধু তাই নয় জানা যাচ্ছে, আসন্ন শীতকালীন অধিবেশনেই এই সংক্রান্ত বিল পেশ হতে চলেছে সংসদে।
‘এক দেশ, এক নির্বাচনে’-এর বাস্তবতা খতিয়ে দেখতে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করেছিল কেন্দ্র। গত মার্চ মাসে সেই কমিটি রাষ্ট্রপতি ভবনে গিয়ে দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে রিপোর্ট জমা দেয়। যেখানে এই প্রক্রিয়ার পক্ষে মত দেয় কমিটি। অবশেষে বুধবার কোবিন্দ কমিটির সুপারিশে সবুজ সংকেত দিল নরেন্দ্র মোদির ক্যাবিনেট। প্রাথমিক প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর এবার পরবর্তী প্রক্রিয়া হল সংসদে বিল পেশ।
গত মাসে লালকেল্লায় স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে ভাষণ দেয়ার সময় ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ নিয়ে বার্তা দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি যুক্তি দেন, ঘন ঘন নির্বাচনে দেশের উন্নয়নমূলক কাজে বাধা পড়ে। প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন, গোটা দেশ এই প্রক্রিয়াকে সমর্থনও জানাচ্ছে। সব রাজনৈতিক দলগুলিকে এই বিষয়ে সমর্থন করার আহ্বানও জানান তিনি। মোদির সেই বার্তার পর জল্পনা তৈরি হয়েছিল এনডিএ সরকারের চলতি মেয়াদেই কার্যকর হবে এক দেশ, এক নির্বাচন রীতি।
সরকারের ‘সেঞ্চুরি ডে’তে সে জল্পনায় সিলমোহর দেন খোদ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এবার সেই প্রক্রিয়ায় সবুজ সংকেত দিল মোদির মন্ত্রিসভা। এই প্রক্রিয়া কার্যকর হলে দেশব্যাপী একসঙ্গে হবে লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচন। এ বিষয়ে সরকার পক্ষের দাবি, এই ব্যবস্থা চালু হলে ভোট প্রক্রিয়ার জন্য যে বিপুল অঙ্কের খরচ হয়ে থাকে, তা অনেকটাই কমে যাবে। তবে মোদি সরকার ‘এক দেশ, এক ভোট’ বিল আসন্ন শীতকালীন অধিবেশনে সংসদে পেশ করলেও তা পাশ করাতে যথেষ্ট বেগ পেতে হবে সরকারকে। কারণ শুরু থেকে এই রীতির বিরোধিতা করে এসেছে বিরোধীরা।
বিরোধীদের অভিযোগ, এই নীতি ঘুরপথে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ধাঁচের ব্যবস্থা চালু করতে চাইছে। যা যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো এবং সংসদীয় গণতান্ত্রের পরিপন্থী। কংগ্রেস, তৃণমূল, সিপিএম-সহ বিজেপি-বিরোধী দলগুলির আশঙ্কা, ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ নীতি কার্যকর হলে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় এমপি এবং বিধায়ক নির্বাচনের ক্ষেত্রে যে বিভিন্ন ফলাফল দেখা যায়, সেই বৈচিত্র বিনষ্ট হবে। এই সুযোগ কাজে লাগাবে বিজেপির মতো অর্থনৈতিক ভাবে প্রবল শক্তিশালী দল। তাদের প্রচারের ঢেউয়ে ভেসে যাবে তুলনায় ছোট আঞ্চলিক দলগুলি।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার ফোনালাপ
অযোগ্য হবেন হাসিনা?
দুদকের মামলায় গ্রেপ্তার সাবেক সচিব ইসমাইল হোসেন
শেখ হাসিনাসহ ৬৩ জনের নামে মামলা
অভিযানের খবরে পালাল শ্রাবণধারা কারখানার পরিচালক-ম্যানেজার
সর্বজনীন পেনশন স্কিমে নেই আশানুরূপ সাড়া
একতাই পারবে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে
তিতাস গ্যাস টি.এন্ড ডি. পিএলসি’র ৫% নগদ লভ্যাংশ অনুমোদিত
ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল্লামা সাজিদুর নির্বাহী সভাপতি মাওলানা জুনায়েদ
‘আপনারা আমার খালেদকে ফেরত এনে দেন’ : নিখোঁজ সহ-সমন্বয়কের বাবা লুৎফর
২৮ ডিসেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে খেলাফত মজলিসের অধিবেশন প্রেস ব্রিফিংয়ে নেতৃবৃন্দ
ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা
ইনসেপ্টার বিক্রয় প্রতিনিধির ২২টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ
পিকে হালদারের পাঁচ সহযোগীর ব্যাংক হিসাব ফ্রিজের নির্দেশ
ভূমধ্যসাগরে ৮ বাংলাদেশি নিহত
মুক্তি পেলেন ভারতের সমুদ্রসীমায় গ্রেফতার ১২ বাংলাদেশি
আ.লীগকে পুনর্বাসনকারীদের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়বে গণঅধিকার পরিষদ
অন্তর্বর্তী এ সরকারের মধ্যে দুটি সরকার রয়েছে : মাহমুদুর রহমান মান্না
হাসিনার নভোথিয়েটার দুর্নীতি মামলার পুনঃতদন্ত শুরু
১১ ইউনিটে ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা