হিজাব বিদ্রোহে শাস্তি! কারাদণ্ডের পর মুক্ত ইরানের সাবেক প্রেসিডেন্টের মেয়ে
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:০৪ পিএম | আপডেট: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:০৪ পিএম
ঠিকমতো হিজাব না পরার অপরাধে নীতি পুলিশের মারে মৃত্যু হয়েছিল কুর্দ তরুণী মাহসা আমিনির। বছর দুয়েক আগের সেই মর্মান্তিক ঘটনার প্রতিবাদে গর্জে উঠেছিল ইরান। শুরু হয়েছিল হিজাব বিদ্রোহ। যা নাড়িয়ে দিয়েছিল সেদেশের ‘শাসনতন্ত্র’কে। আর আন্দোলনের অন্যতম মুখ ছিলেন ইরানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আকবর হাসেমি রাফসানজানির মেয়ে ফায়েজি হাসেমি। প্রতিবাদে উস্কানি দেয়া ও হিংসা ছড়ানোর অভিযোগে ২০২২ সালে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। অবশেষে জেলমুক্তি ঘটেছে হাসেমির। এমনটাই খবর ইরানের একাধিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে।
২০২২-এর ১৬ সেপ্টেম্বর ইরানে নীতি পুলিশের মারে মৃত্যু হয় ২২ বছরের মাহসা আমিনির। তার পর থেকেই হিজাবের শিকল ভেঙে ফেলতে বেনজির গণউত্থানের সাক্ষী থেকেছে দেশটি। তীব্রতা কিছুটা কমলেও ইরানের নানা প্রান্তে এখনও অব্যাহত হিজাব বিরোধী আন্দোলন। কিন্তু তাতে ভ্রুক্ষেপ নেই তেহরানের। হিজাব পরা নিয়ে একের পর এক বিধিনিষেধ আরোপ করা হচ্ছে। ২০২২ সালে হিজাববিরোধী আন্দোলনে সামনের সারিতে থেকে সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন ফায়েজি হাসেমি। যার জন্য তাকে রোষের মুখে পড়তে হয়।
অভিযোগ আনা হয়, তিনি নাকি প্রতিবাদীদের উস্কানি দিচ্ছেন। এর পর তার ঘাড়ে নেমে আসে কারাদণ্ডের খাঁড়া। ওই বছরই হাসেমিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মামলা গড়ায় আদালতে। দুবছরের কারাবাস কাটিয়ে বুধবার তেহরানের ইভিন জেল থেকে ছাড়া পেয়েছেন হাসেমি। তার আইনজীবী মহম্মদ হোসেন আগাসি সংবাদমাধ্যমে জানান যে, আপিল আদালতের রায়ের পর হামেসিকে মুক্তি দেয়া হয়েছে।
হামেসি বরাবরই নারীদের অধিকারের পক্ষে সওয়াল করে এসেছেন। তিনি সমাজকর্মী হিসাবেই পরিচিত। ছিলেন এমপিও। এর আগেও গোঁড়ামির বিরুদ্ধে গলা তুলে ইরান সরকারের রক্তচক্ষুর নজরে পড়েছিলেন তিনি। ২০০৯ সালে ইরানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় হাসেমির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রবিরোধী প্রচারের অভিযোগ আনা হয়েছিল। ২০১২ সালে তাকে দোষী সাব্যস্ত করে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। সেই সঙ্গে তার সমস্ত রাজনৈতিক কার্যকলাপ নিষিদ্ধ ঘোষণা করে দেয়া হয়। মা
হসার মৃত্যুর প্রতিবাদেও রেহাই পাননি তিনি। ১৯৮৯ থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত ইরানের প্রেসিডেন্টের পদে ছিলেন হামেসির বাবা রাফসানজানি। ইরানে অর্থনৈতিক উন্নতিতে বিশেষ ভূমিকা নিয়েছিলেন তিনি। বাস্তববাদী চিন্তাধারার জন্য বিরোধীরাও তার প্রশংসা করতেন। রাফসানজানির জমানায় পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গেও তেহরানের যথেষ্ট ভালো সম্পর্ক ছিল। ২০১৭ সালে তার মৃত্যু হয়।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
ম্যাট গেটসের বিরুদ্ধে যৌন ও মাদক কেলেঙ্কারির তথ্য প্রকাশ
লক্ষ্মীপুরে চুরির অপবাদে যুবককে বেঁধে নির্যাতন-নাকে খত দেওয়ার ভিডিও ভাইরাল
গাজার হাসপাতাল ও ত্রাণ বহরে ইসরায়েলি হামলা, নিহত আরও ৫৮ ফিলিস্তিনি
অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমানের বিশাল বহর কিনছে পাকিস্তান, ছাড়িয়ে যাবে ভারতকেও
১৩ বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ
সাতক্ষীরা কালিগঞ্জে পটল চাষে বাম্পার ফলন
গফরগাঁওয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় ছাত্রের মর্মান্তিক মৃত্যু
শাহরাস্তিতে বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে শিক্ষার্থীর মৃত্যু
পাকিস্তানে অবশেষে সরকার ও বিরোধী দলের আলোচনা শুরু
ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার ফোন
রানার অটোমোবাইলস পিএলসির এজিএম সম্পন্ন
আগামী নির্বাচনে ধানের শীষের বিজয়ে ঐক্যবদ্ধ কাজের আহ্বান: এমরান আহমদ চৌধুরী
নকল পণ্য প্রতিরোধে আমদানির উপর শুল্ক কমানোর দাবি বাজারের ২০ শতাংশ খাদ্য মানহীন
লক্ষ্মীপুরে চুরির অপবাদে জনসম্মুখে যুবককে খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতন, নাকে খত
বাঘায় মেয়াদ উত্তীর্ণ ৪ ইউপিতে প্রশাসক নিয়োগ
বিশ্বে বছরজুড়ে আলোচনায় যুদ্ধ, নির্বাচন ও মূল্যস্ফীতি
যুক্তরাষ্ট্র আগুন নিয়ে খেলছে : চীন
আওয়ামী দুঃশাসনের বিচার না হলে জুলাই আগষ্টের শহীদদের রক্তের সাথে বেঈমানী হবে: ডা. জাহিদ হোসেন
মেক্সিকোতে প্লেন বিধ্বস্ত হয়ে নিহত ৭
মাথাপিছু ১৪০০ ডলারের চেক পাচ্ছেন ১০ লাখ মার্কিনি