জার্মানিতে উত্থান হচ্ছে রাশিয়াপন্থি শক্তির
২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৪৮ এএম | আপডেট: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৪৮ এএম
জার্মানিতে সম্প্রতি চরমপন্থি ‘রাশিয়া-বান্ধব' রাজনৈতিক শক্তির প্রতি বেড়ে চলা জনসমর্থন মূল স্রোতের রাজনৈতিক দলগুলিকে বিড়ম্বনায় ফেলছে। সাধারণ নির্বাচনের এক বছর আগে সরকারের স্থায়িত্বও প্রশ্নের মুখে।
জার্মানিতে পর পর তিনটি রাজ্যের নির্বাচনে উগ্র দক্ষিণপন্থি এএফডি ও সদ্য গঠিত পপুলিস্ট বামপন্থি দল বিএসডাব্লিউ দলের সাফল্য দেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে তুলছে। বিশেষ করে দুটি ‘রাশিয়া-বান্ধব' ও ন্যাটো-বিরোধী দলই যেভাবে ইউক্রেনের জন্য জার্মানির সামরিক সাহায্য কমানোর পক্ষে সওয়াল করে আসছে, তা বর্তমান সরকারের নীতি সম্পর্কে ভোটারদের একাংশের সংশয়ের প্রতিফলন ঘটাচ্ছে। মূল স্রোতের দলগুলি এখনো পর্যন্ত এএফডি দলের সঙ্গে জোট সরকার গড়তে অস্বীকার করে এলেও বিরোধী পক্ষে অত্যন্ত শক্তিশালী ভূমিকা পালন করতে পারে সেই দল। তবে বিএসডাব্লিউ দল একাধিক রাজ্যে জোট সরকারের শরিক হতে পারে, এমন সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়ে উঠছে। জার্মানির ফেডারেল কাঠামোয় ১৬টির মধ্যে তিনটি রাজ্যে এমন পট পরিবর্তন অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের উপর প্রভাব রাখতে পারে।
গত রোববার ব্রান্ডেনবুর্গ রাজ্যের নির্বাচনে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসের এসপিডি দল সবচেয়ে শক্তিশালী শক্তি হিসেবে নিজস্ব অবস্থান ধরে রাখতে পারলেও এবার জোট সরকার গড়তে বিএসডাব্লিউ দলের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে। কিন্তু সেই দল পূর্বশর্ত হিসেবে রাশিয়া সংক্রান্ত নীতির ক্ষেত্রে এসপিডি-র অবস্থান বদলের দাবি করছে। ইউক্রেনে শান্তি ফেরাতে অবিলম্বে রাশিয়ার সঙ্গে শান্তি আলোচনার দাবি এবং জার্মানির ভূখণ্ডে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের তীব্র বিরোধিতা করছে মাত্র নয় মাস আগে গঠিত এই দল।
পূর্বাঞ্চলের তিন রাজ্যে দুই চরমপন্থি দলের এমন সাফল্য এবং বেড়ে চলা প্রভাব জার্মানির বাকি দলগুলিকে দুশ্চিন্তায় ফেলছে। সামরিক জোট ন্যাটোর প্রয়োজনীয়তা, ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার হামলা এবং আক্রান্ত দেশকে সামরিক সহায়তার বিষয়ে শলৎস সরকারের তিন শরিক দল এবং প্রধান বিরোধী ইউনিয়ন শিবিরের অবস্থান অভিন্ন। ঐ তিন রাজ্যে সরকারের শরিক হিসেবে বিএসডাব্লিউ এবং প্রধান বিরোধী দল হিসেবে এএফডি সেই মৌলিক ঐকমত্যে আঘাত হানতে পারে বলে আশঙ্কা বাড়ছে।
জার্মানিতে সাধারণ নির্বাচনের এক বছর আগে মূল স্রোতের রাজনৈতিক দলগুলি এমন পরিস্থিতির মোকাবিলা করে চরমপন্থি শক্তির সমর্থকদের একটা উল্লেখযোগ্য অংশের মতবদল করতে পারবে, এমন সম্ভাবনাও ক্ষীণ হয়ে আসছে। চ্যান্সেলর হিসেবে শলৎসের জনপ্রিয়তা তলানিতে ঠেকেছে। এমনকি তাঁর এসপিডি দলের মধ্যেও তাঁকে আর নতুন করে চ্যান্সেলর পদপ্রার্থী না করার পক্ষে অনেকে সওয়াল করছেন। সরকারের বাকি দুই শরিক দলেরও বেহাল অবস্থা। একের পর এক নির্বাচনে সমর্থন হারাচ্ছে তারা। রাজনৈতিক অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে এফডিপি দলের মধ্যে সরকার ছেড়ে বেরিয়ে আসার জন্য দাবি বাড়ছে।
প্রধান বিরোধী শক্তি হিসেবে ইউনিয়ন শিবির সমর্থনের বিচারে জাতীয় স্তরে শীর্ষে থাকলেও তাদের চ্যান্সেলর পদপ্রার্থী ফ্রিডরিশ ম্যার্ৎসের নিজস্ব জনপ্রিয়তাও প্রায় শলৎসের কাছাকাছি। ফলে জার্মানির মূল স্রোতের এই চার প্রধান রাজনৈতিক শিবির আগামী নির্বাচনে কতটা ভালো ফল করতে পারবে, সে বিষয়ে সংশয় রয়েছে। দুর্বল চ্যান্সেলর ও তিন রাজনৈতিক দলের জোট সরকার আদৌ অবশিষ্ট এক বছর টিকে থাকবে কিনা, সে বিষয়েও অনিশ্চয়তা দেখা দিচ্ছে।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
শিল্পকলায় শুরু হয়েছে মাসব্যাপী ভাস্কর্য প্রদর্শনী
এনআইডির তথ্য বেহাত, কম্পিউটার কাউন্সিলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করলো ইসি
সোনারগাঁও বুরুমদী উচ্চ বিদ্যালয়ের হীরক জয়ন্তী উদযাপন
ঈশ্বরগঞ্জ পৌরসভার পাওনা টাকা পরিশোধ না করলে মামলা- পৌর প্রশাসক
সাদপন্থী তাবলীগের মুখপাত্র মুয়াজের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
পূর্বাচলে বুয়েট ছাত্রের মৃত্যু : তিন আসামি ২ দিনের রিমান্ডে
লক্ষ্মীপুরে সরকারি রাস্তা কেটে যুবলীগ নেতার চাষাবাদ, প্রতিবাদে মানববন্ধন
কলাপাড়ায় গরু চুরি করে পালানোর সময় জনতার হাতে আটক চোর
এবার পানামা খাল নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার হুমকি ট্রাম্পের
মাগুরায় গ্রামবাসির সংঘর্ষে নিহত যুবদল নেতা শরিফুলের বাড়িতে বিএনপি নেতারা
সিমকার্ডের আড়ালে সীমান্তে বেড়েছে চোরাচালান
কিশোরগঞ্জের আব্দুল কাহার আকন্দ কোথায়? কেউ জানে না!
হাসিনাকে গ্রেপ্তারে ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারি
যুক্তরাষ্ট্র ও লন্ডনে ৩শ’ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে হাসিনা-জয়ের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু
রাজশাহী মহানগরীতে ঘন কুয়াশা
আবারও ভানুয়াতুতে দ্বীপপুঞ্জে ৬.২ মাত্রার ভূমিকম্প
হাজীগঞ্জে ভরাট মিঠানিয়া খালের মুখ, হুমকিতে ফসলি জমি
রাহাতের সুরের মুর্ছনায় বিমোহিত দর্শক, বাংলায় বললেন 'আমরা তোমাদের ভালোবাসি'
‘প্রশাসন ক্যাডার নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে’
যুক্তরাজ্যে ট্রাম্পের বিশেষ দূত হিসেবে মার্ক বার্নেট নিযুক্ত