জাভা সমুদ্রে ইন্দোনেশিয়া ও রাশিয়ার যৌথ নৌ-মহড়া শুরু
০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৫ পিএম | আপডেট: ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৫ পিএম
জাভা সমুদ্রে শুরু হয়েছে ইন্দোনেশিয়া ও রাশিয়ার যৌথ নৌ-মহড়া। সোমবার থেকে শুরু হওয়া এই মহড়া চলবে আগামী শুক্রবার পর্যন্ত। জাভা সমুদ্রের কাছে ইন্দোনেশিয়ার শহর সুরাবায়াকে এই মহড়ার ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
সদ্য নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট প্রাবোও সুবিয়ানতো রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক আরো মজবুত করতে চান। তারই অন্যতম পদক্ষেপ এই নৌ-মহড়া। রোববারই জাভার কাছে পৌঁছে যায় রাশিয়ার যুদ্ধজাহাজ। তিনটি করভেট ক্লাসের যুদ্ধজাহাজ পাঠিয়েছে রাশিয়া। সঙ্গে আছে একটি মাঝারি আয়তনের ট্যাঙ্কার, একটি হেলিকপ্টার এবং একটি টাগবোট।
ইন্দোনেশিয়ার নৌবাহিনীর কম্যান্ডার সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, রাশিয়ার সঙ্গে এই যৌথ মহড়া দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ককে মজবুত করবে। অন্যদিকে রাশিয়া জানিয়েছে, এই মহড়া দুই দেশের নৌবাহিনীর মধ্যে বোঝাপড়া তৈরি করবে।
জাকার্তা-মস্কো সম্পর্ক
২০১৪ সালে রাশিয়া ক্রাইমিয়া দখল করে। এরপর ২০১৯ সালে শুরু হয় ইউক্রেন অভিযান। ক্রাইমিয়ার পরেই জাকার্তার সঙ্গে মস্কোর বাণিজ্যিক সম্পর্ক হোঁচট খায়। দুই দেশের মধ্যে কয়েক বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিল। কিন্তু ক্রমশ তা খারাপ হতে থাকে। ইউক্রেনের পর পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ হয়।
নতুন প্রেসিডেন্ট সেই সম্পর্ক আবার পুরনো জায়গায় ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চাইছেন। বস্তুত, এর আগে তিনি দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ছিলেন। তখন থেকেই রাশিয়ার সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলার প্রক্রিয়া শুরু করেছিলেন তিনি। যার জেরে অ্যামেরিকার হুমকির মুখেও পড়তে হয়েছিল তাকে।
ইন্দোনেশিয়ার রাজনৈতিক অবস্থান
কূটনৈতিক ক্ষেত্রে ইন্দোনেশিয়া বরাবরই নিরপেক্ষ অবস্থান নেয়। রাশিয়ার সঙ্গে তাদের যৌথ মহড়া সেই অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে। বস্তুত, ইন্দোনেশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ প্রসঙ্গেও নিরপেক্ষ অবস্থানে অটল থেকেছে। কোনো পক্ষকেই তারা ভোট দেয়নি।
ডিডাব্লিউর এশিয়া-প্যাসিফিক দপ্তরের প্রধান জর্জ ম্যাথেস মনে করেন, ইন্দোনেশিয়ার কূটনৈতিক অবস্থান বদলায়নি। রাশিয়ার সঙ্গে যৌথ মহড়াকে তিনি একটি রুটিন কুচকাওয়াজ হিসেবেই দেখতে চান। তার বক্তব্য, ''সম্প্রতি জার্মানির সঙ্গেও একই ধরনের মহড়ায় অংশ নিয়েছে ইন্দোনেশিয়ার নৌসেনা।'' বস্তুত, ২০০৬ সাল থেকে অ্যামেরিকার সঙ্গে নৌ-মহড়ায় অংশ নেয় ইন্দোনেশিয়া। ফলে রাশিয়ার সঙ্গে এই মহড়াকে আলাদা করে গুরুত্ব দেওয়ার কারণ নেই বলেই তিনি মনে করেন।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ইন্দোনেশিয়া সবচেয়ে বড় বাজার। ঐতিহাসিক কাল থেকেই এই বাজারে বড় বিনিয়োগ করে রাশিয়া। ফলে সেদিক থেকেও রাশিয়ার সঙ্গে ইন্দোনেশিয়ার এই সম্পর্ক নতুন কিছু নয় বলে বিশেষজ্ঞদের একাংশের বক্তব্য।
বস্তুত, ম্যাথেসের মতে, ইন্দোনেশিয়ার এই পদক্ষেপ আবার প্রমাণ করলো, দেশটি তার নিরপেক্ষ অবস্থান ধরে রাখতে চায়। সে কারণেই রাশিয়ার সঙ্গে নতুন করে সম্পর্কের পথে হাঁটছে তারা। মাঝে বেশ কিছু বছর ক্রমশ যা কার্যত তলানিতে গিয়ে পৌঁছেছিল। সূত্র: ডয়চে ভেলে।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
চালু হলো সংবিধান সংস্কার কমিশনের ওয়েবসাইট
পুলিশের অভিযানে দু’টি চোরাই অটোবাইক উদ্ধার, আটক ৩
নেইমারের চোট নিয়ে যা বললেন আল-হিলাল কোচ
ফ্লোরিডায় ভোট দিচ্ছেন ট্রাম্প
আশুলিয়ায় চোলাই মদসহ আটক ১
মাগুরার বুজরুক শ্রীকুন্ডিতে দু'পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ২০,ভাংচুর,লুটপাট,কোটি টাকার ক্ষতি।
ভারতের আদানির সাথে বিদ্যুৎ চুক্তি বাতিল ও চীনের প্রস্তাবিত তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়নের দাবিতে মৌলভীবাজারে মানববন্ধন
৮ নভেম্বর ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী সমাবেশ সফল হোক
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ডা. শাহাদাত হোসেন
বগুড়ায় মামলায় খালাস পেয়ে জাপা ছাড়লেন সাংবাদিক নজরুল
সিদ্ধিরগঞ্জের দুই বিএনপি নেতা বহিস্কার
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে র্যাব পরিচয়ে বিকাশের ২৬ লাখ টাকা ছিনতাই, গ্রেফতার ৯
সরকার জাতীয় বায়ু মান ব্যবস্থাপনা কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে : পরিবেশ উপদেষ্টা
বজ্রপাতে মাঠেই ফুটবলারের মৃত্যু
কচুয়ায় নিষিদ্ধ পলিথিন রাখায় তিন দোকানীকে জরিমানা
যবিপ্রবির উন্নয়ন-অগ্রযাত্রায় আপনাদের পাশে চাই: উপাচার্য
নারায়ণগঞ্জে ডেঙ্গু মশার বিস্তার বেড়েছে আরও ৬৩জন ডেঙ্গু আক্রান্ত
ময়মনসিংহ-ঢাকা সড়কে চলবে বিআরটিসির এসি বাস
গৌরনদীতে গৃহবধূ’'র ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
আসাদুজ্জামানের ৯ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ