গাজায় যুদ্ধবিরতির মধ্যস্থতায় আর থাকছে না কাতার
১০ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:২৬ এএম | আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:২৬ এএম
গাজায় যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তি চুক্তির জন্য মধ্যস্থতা আলোচনায় আর থাকছে না কাতার। শনিবার দেশটির এক কর্মকর্তা বলেছেন, হামাস ও ইসরায়েল আলোচনার টেবিলে আন্তরিকভাবে ফিরে আসার আগ্রহ দেখানোর আগ পর্যন্ত তাদের এ সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
ওই কর্মকর্তা বলেছেন, শুরু থেকেই স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, যুদ্ধ বন্ধে উভয় পক্ষ আন্তরিকভাবে আগ্রহী হলেই কেবল মধ্যস্থতা করতে রাজি কাতার।
ছোট হলেও প্রভাবশালী এ উপসাগরীয় দেশটি মনে করছে, দোহায় হামাসের রাজনৈতিক কার্যালয়ের আর কোনো প্রয়োজন নেই। ইতোমধ্যে ইসরায়েলি হামলায় শীর্ষ নেতাদের অনেককে হারিয়ে টালমাটাল থাকা দলটির জন্য এটি একটি বড় আঘাত হিসেবে দেখা দিতে পারে।
কাতার, যুক্তরাষ্ট্র ও মিসর গাজায় যুদ্ধবিরতি ও হামাসের হাতে থাকা ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তির জন্য বিভিন্ন আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছিল। এখন পর্যন্ত আলোচনা কোনও সুফল বয়ে আনেনি। অক্টোবরের মাঝামাঝি অনুষ্ঠিত সর্বশেষ আলোচনাও কোনো চুক্তি ছাড়াই শেষ হয়। কারণ, স্বল্পমেয়াদি যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিল হামাস।
ওই কর্মকর্তা আরও বলেছেন, হামাস যদি হামাস ও ইসরায়েল যুদ্ধের অবসানে আলোচনায় ফিরে আসার আন্তরিক ইচ্ছা প্রদর্শন করে তবেই কাতার মধ্যস্থতা করতে আসবে। তাদের এই সিদ্ধান্ত হামাস, ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
তবে হামাস এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
মধ্যস্থতায় সংশ্লিষ্ট এক ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা বলেছেন, এখন পর্যন্ত এটি কেবল গণমাধ্যমে প্রচারিত তথ্য। কাতার আনুষ্ঠানিকভাবে হামাসকে এই সিদ্ধান্ত জানানোর আগ পর্যন্ত এ বিষয়ে মন্তব্য করবে না ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীটি।
এর আগে, যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তা শুক্রবার বলেছিলেন, যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তি চুক্তির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার পর কাতারে হামাসের উপস্থিতি অগ্রহণযোগ্য বলে জানিয়েছে ওয়াশিংটন।
উল্লেখ্য, কাতারে হামাসের উপস্থিতি নিয়ে এপ্রিলে পুনর্বিবেচনা শুরু করে দেশটির সরকার। এর পর হামাসের নেতারা তুরস্কে চলে যান। বাইডেন প্রশাসন ও ইসরায়েলি সরকার কাতারকে তাদের ফিরিয়ে আনার অনুরোধ করে। কারণ তুরস্কে অবস্থানকালে আলোচনাগুলো কার্যকর হচ্ছিল না।
ওয়াশিংটনের কাছ থেকে প্রধান ন্যাটো বহির্ভূত মিত্রের মর্যাদা পাওয়া কাতার ২০১২ সাল থেকে হামাসের রাজনৈতিক নেতাদের আশ্রয় দিয়ে আসছে।
দোহায় কতজন হামাস কর্মকর্তা অবস্থান করছেন তা স্পষ্ট নয়। তবে এর মধ্যে রয়েছেন হামাসের কূটনৈতিক মুখ হিসেবে পরিচিত ইয়াহিয়া সিনাওয়ারের ডেপুটি খলিল আল-হায়া ও খালেদ মেশাল।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করলেন সেনাপ্রধান
কল্যাণ রাষ্ট্র গঠনে প্রতিশ্রুত নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ করতে চাই: সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা
তারকাখচিত বরিশালকে উড়িয়ে রংপুরের তিনে তিন
নতুন ছয় লাখ টিসিবি কার্ড বিতরণ করা হবে: বাণিজ্য উপদেষ্টা
সিংগাইরে শীতার্তদের মাঝে ইউএনও’র কম্বল বিতরণ
বিস্ফোরক মামলায় নিক্সন চৌধুরীর অন্যতম সহযোগী জব্বার মাস্টার গ্রেপ্তার
২১ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেল রিজার্ভ
সাবেক এমপি কবির উদ্দিন আহমেদ আর নেই
রেকর্ড ৫,৬৩৪ কোটি টাকা পরিচালন মুনাফা সোনালী ব্যাংকের
১৪৮ চিকিৎসককে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বদলি
৭ উইকেট ছেলেকে দিলেন তাসকিন
প্রধান উপদেষ্টার রাজবাড়ী সফর স্থগিত
ভিসা সত্যায়নের বেড়াজালে বিপুল সংখ্যক সউদীগামী কর্মী বায়রা নেতৃবৃন্দের সাথে বিএমইটির ডিজি
মোবাইলের ব্যাককভারে প্রিন্ট করা ছবি লাগানো প্রসঙ্গে
প্রেমিকাকে বিয়ে করলেন জনপ্রিয় গায়ক আরমান মালিক
সরকারি দপ্তরে তদবির বন্ধে সচিবদের উদ্দেশে পত্র দিয়ে তথ্য উপদেষ্টার অনন্য দৃষ্টান্ত
ফুলপুরে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান, ৫ পরিবহনকে জরিমানা
গরুর গাড়ির দৌড় প্রতিযোগিতায় উৎসবের আমেজ
সাইবার আক্রমণ: আসিফ-সাদিক-হান্নানের ফেসবুক আইডি সচল
গোয়ালন্দে শিক্ষার্থীদের মাঝে স্কুল ব্যাগ উপহার