সউদি যুবরাজ মধ্যপ্রাচ্যে অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধ চাইলেন
১২ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৩ এএম | আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৪ এএম
মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে বাজছে যুদ্ধের দামামা। গাজা ও লেবাননে একের পর এক প্রাণ হারাচ্ছে নিরীহ ও সাধারণ মানুষ। মধ্যপ্রাচ্যে মুসলমানদের এমন করুণ অবস্থার মধ্যে নীরব রয়েছে সউদি আরব। তবে এবার সেই নীরবতা ভেঙে যুদ্ধ বন্ধ চেয়েছেন সউদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান।
সোমবার (১১ নভেম্বর) আরব লীগ ও অরগানাইজেশন অব ইসলামিক কোঅপারেশনের যৌথ সম্মেলনের (ওআইসি) আগে তিনি এ দাবি জানান। আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সউদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান রিয়াদে আরব ও মুসলিম নেতাদের শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধনে ইসরায়েলকে অবিলম্বে গাজা ও লেবাননে তাদের সামরিক আগ্রাসন বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন।
সোমবার আরব লীগ এবং অরগানাইজেশন অব ইসলামিক কোঅপারেশন (ওআইসি) যৌথভাবে আয়োজিত শীর্ষ সম্মেলনের আগে এক ভাষণে তিনি ফিলিস্তিনি ও লেবাননের জনগণের বিরুদ্ধে সংঘটিত গণহত্যার নিন্দা জানান। তিনি ইসরায়েলকে আর কোনো আগ্রাসন না চালানোর জন্য আহ্বান জানান এবং ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য বিশ্ববাসীর প্রতি আহ্বান জানান।
ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা নিয়ে যা বললেন ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সউদি যুবরাজের সঙ্গে একইভাবে আরব লীগের মহাসচিব আহমেদ আবুল গীতও গাজা এবং লেবাননে ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের নিন্দা জানান। তিনি বলেন, ফিলিস্তিনি জনগণের দুর্দশা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের গৃহীত পদক্ষেপগুলো দীর্ঘস্থায়ী শান্তি অর্জনের প্রচেষ্টাকে হ্রাস করছে। শুধু ন্যায়বিচারের মাধ্যমেই স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব।
লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতি বলেন, তার দেশ একটি অভূতপূর্ব সংকটে ভুগছে যা তার অস্তিত্বকে হুমকির মুখে ফেলেছে। কেননা ইসরায়েল হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, লেবানন একটি অভূতপূর্ব ঐতিহাসিক এবং অস্তিত্বের সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে যা তার বর্তমান ও ভবিষ্যৎকে হুমকির মুখে ফেলেছে।
ইরানের প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ রেজা আরেফ ইসরায়েলের হামাস ও হিজবুল্লাহ নেতাদের হত্যাকাণ্ডকে ‘সংগঠিত সন্ত্রাস’ বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, ‘টার্গেটেড কিলিং’-এর মতো প্রতারণামূলক বাক্যাংশ দিয়ে অভিযান চালানো হচ্ছে। এর মাধ্যমে কৌশলে ফিলিস্তিনি অভিজাত এবং এই অঞ্চলের অন্যান্য দেশের নেতাদের একের পর এক বা ব্যাপকভাবে হত্যা করা হচ্চে। এটি অনাচার এবং সংগঠিত সন্ত্রাস ছাড়া কিছুই নয়।
ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ এবং নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট বোলা টিনুবুও এই সম্মেলনে যোগ দেন।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
তিলকের সেঞ্চুরিতে টি-টোয়েন্টির নতুন বিশ্ব রেকর্ড গড়ে জিতল ভারত
বসুন্ধরা গ্রুপের চাকরি ছাড়লেন আবু সাঈদের দুই ভাই
মেন্ডিসের রেকর্ড গড়া সেঞ্চুরিতে জয়ে শুরু শ্রীলঙ্কার
রিয়েলিটি শো’র প্রধান বিচারক নাজনীন হাসান খান
অনেক দিন পর সায়ানের একক কনসার্ট
ছাত্র আন্দোলনে ফারুকী ভাইকে মাঠে দেখিনি-হিরো আলম
ঈশ্বরগঞ্জে পুলিশের বিশেষ অভিযানে তিন চোর আটক
আসিফের গানের মডেল গণবিপ্লবের ভাইরাল কন্যা সিঁথি
গাজায় যুদ্ধ শেষ করার সময় এসেছে : অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন
বন্য হাতির সুরক্ষা নিশ্চিতে কাজ করছে সরকার : পরিবেশ উপদেষ্টা
সরকারি কৌঁসুলির নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে পটুয়াখালীতে আইনজীবীদের বিক্ষোভ মিছিল
সরকারি অফিসে দায়িত্বপ্রাপ্ত লোকদের দিয়ে কাজ করানোর পর বখশিশ দেওয়া প্রসঙ্গে?
শিক্ষা প্রশিক্ষণের সর্বস্তরে ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা অত্যাবশ্যক
আল্লামা আলহাজ¦ আবুবকর সিদ্দিকি ফুরফুরাভীর জীবন ও কর্ম
মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে আবারও সিন্ডিকেটের আশঙ্কা রামরুর আলোচনা সভায় নেতৃবৃন্দ
আখেরাতের বাসিন্দা মানুষ মুসাফির দুনিয়ায়
হযরত রাসূল (সা) ঃ আধার রাতে,আলোর প্রদীপ
প্রশ্ন: মসজিদে পানাহারের শরয়ী বিধান কি?
নোয়াখালীতে বিএনপির তিন নেতাকে দল থেকে অব্যাহতি
পঙ্গু হাসপাতালের সামনের সড়কে জুলাই বিপ্লবে আহতদের অবরোধ