গণতন্ত্রের স্বপ্ন ম্লান, হংকং আজও অবিচল
০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৫১ পিএম | আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৫১ পিএম
প্রায় এক দশক ধরে হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলন বিশ্ববাসীর নজর কেড়েছিল।এই আন্দোলন ছিল স্বাধীনতা, মানবাধিকার এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের এক উজ্জ্বল প্রতীক।কিন্তু সময়ের পরিবর্তনে বেইজিংয়ের কঠোর হস্তক্ষেপে হংকংয়ের এই আন্দোলন স্তব্ধ হয়ে গেছে।আজ এই সংগ্রামের ইতিহাস কেবল স্মৃতিতে বেঁচে আছে।
হংকং, একসময় ব্রিটিশ উপনিবেশিক ছিল,১৯৯৭ সালে চীনের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।সেই সময়ে একটি বিশেষ চুক্তির আওতায় হংকংকে ৫০ বছরের জন্য স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছিল।যার মধ্যে ছিল বাকস্বাধীনতা, সমাবেশের অধিকার এবং আইনের শাসন।কিন্তু ২০১৪ সালে গণতান্ত্রিক নির্বাচনের দাবিতে “অকুপাই সেন্ট্রাল” নামে একটি আন্দোলন শুরু হয়, যা “ছাতা আন্দোলন” নামে পরিচিতি পায়।এরপর ২০১৯ সালে বেইজিংয়ের প্রস্তাবিত প্রত্যর্পণ আইন বিরোধী আরও বড় আন্দোলন শুরু হয়।কিন্তু বেইজিংয়ের শক্ত হাতে দমননীতির ফলে এই আন্দোলন ধীরে ধীরে নিস্তব্ধ হয়ে যায়।
হংকংয়ের ভিক্টোরিয়া পার্ক ছিল গণতান্ত্রিক প্রতিবাদের কেন্দ্রস্থল।এখানে প্রতিবছর তিয়ানানমেন গণহত্যার স্মরণে বিশাল সমাবেশ হতো।কিন্তু আজ সেই সমাবেশ আর হয় না।২০১৪ সালে গণতান্ত্রিক নির্বাচনের দাবিতে হাজারো মানুষ রাস্তায় নেমেছিল।এ আন্দোলনের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিত্বদের মধ্যে ছিলেন জোশুয়া ওয়ং, বেনি তাই, এবং রেভারেন্ড চু।তারা হংকংবাসীদের মধ্যে গণতন্ত্রের আলোকবর্তিকা প্রজ্জ্বলিত করেছিলেন।কিন্তু বেইজিংয়ের কঠোর দমন নীতির ফলে বেনি তাইসহ অনেক নেতাকে জেল যেতে হয়েছে।
২০১৯ সালে প্রত্যর্পণ আইন বিরোধী আন্দোলন আরও তীব্র হয়।পুলিশের টিয়ার গ্যাস এবং প্রতিবাদীদের ছাতা তখন আন্দোলনের প্রতীক হয়ে ওঠে।হাজারো মানুষ রাস্তায় নেমে পাঁচটি দাবিতে আন্দোলন চালায়।কিন্তু চীনের জাতীয় নিরাপত্তা আইন প্রয়োগের ফলে শত শত মানুষ গ্রেপ্তার হন এবং হাজারো মানুষ দেশ ছেড়ে চলে যান। কাসুমি ল-এর মতো অনেকেই ব্রিটেনে অভিবাসন নিয়েছেন। তবে তাদের অনেকেই নতুন জীবনে মানিয়ে নিতে সংগ্রাম করেছেন।
হংকংয়ের এই আন্দোলনের কেন্দ্রীয় স্থানগুলোকেও পুনর্গঠন করা হয়েছে। যেমন, পলিটেকনিক বিশ্ববিদ্যালয়, যেখানে ২০১৯ সালে পুলিশের সাথে তীব্র সংঘর্ষ হয়েছিল, সেটিকে নতুন করে সাজানো হয়েছে।অনেক পুরনো স্মৃতির চিহ্ন মুছে ফেলা হয়েছে।
আজকের হংকং এর দৃশ্য ভিন্ন। তার স্বাধীনতা অনেকটাই হারিয়ে গেছে। তবে অনেকেই, যেমন কেনেথ, হংকংয়ে থেকে সেই স্মৃতিগুলো বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করছেন। অন্যদিকে, কাসুমির মতো প্রবাসী হংকংবাসীরা তাদের নতুন প্রজন্মকে নিজেদের ইতিহাস জানাতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। তথ্যসূত্র : বিবিসি
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
৯ দফা বাস্তবায়নে পদক্ষেপ কতদূর?
মর্গের দুই লাশের দাবিদার দুই পরিবার,
আইনজীবীকে হত্যার হত্যাচেষ্টা: শেখ হাসিনা-জয়সহ ৯৩ জনের মামলা এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ
তথ্য থাকলেও সন্দেহজনক লেনদেনে দেরিতে ব্যবস্থা নিচ্ছে বিএফআইইউ!
সাবেক এমপি হেনরীর ৫৬ কোটি টাকার সম্পত্তি জব্দের নির্দেশ,
গ্যাসের দাম বাড়ানোর উদ্যোগে উৎকণ্ঠায় নারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ীরা
দেশে এইচএমপি ভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত
শাহজালাল বিমানবন্দরে বিমান বাহিনীর সদস্যদের অপসারণে আইনি নোটিশ
চকরিয়ায় পুলিশ-সন্ত্রাসীদের মধ্যে গোলাগুলি: বসতবাতিতে আগুন, ওয়ার্ড মেম্বারসহ আহত ২
স্বাধীন সামরিক বাহিনী সংস্কার কমিশন গঠনের প্রস্তাব
শেখ হাসিনার চোখ ছিল শুধু ঢাকা থেকে টুঙ্গীপাড়া পর্যন্ত : সারজিস
শেখ হাসিনা ভারতের সাথে বৈষম্যমৃলক চূক্তি করেছিলেন-মৌলভীবাজারে সারজিস আলম
ব্র্যাক ব্যাংকের টপ টেন রেমিটেন্স অ্যাওয়ার্ড জয় ২০২৪ সালে ১.৬ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স সংগ্রহ
ওসি মুহিবুল্লাহকে বাঁচাতে স্বজনদের মানববন্ধন
পাটগ্রাম সীমান্তে বাংলাদেশিকে লক্ষ্য করে বিএসএফের গুলি, আহত ১
ওয়ান টাইম প্লাস্টিক বন্ধে ক্ষতিগ্রস্ত হবে ৬ হাজার প্রতিষ্ঠান: বিপিজিএমইএ
চলমান সংস্কার গতিশীল করতে হবে, যাতে কেউ প্রশ্ন তুলতে না পারে : মান্না
ফরিদপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় তিন দিনে মোট ১১ জন নিহত, আহত ৩৫
বিধ্বংসী শতকে লিটনের জবাব, ঝড়ো সেঞ্চুরি তানজিদেরও, বিপিএলে রেকর্ড
ঐক্যবদ্ধ থাকলে কোন ষড়যন্ত্রকারী বিএনপির ক্ষতি করতে পারবে না : আমিনুল হক