সিরিয়ার বিদ্রোহীদের আক্রমণ,গৃহযুদ্ধে নতুন মোড়!

Daily Inqilab অনলাইন ডেস্ক

০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০০ পিএম | আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০০ পিএম

মধ্যপ্রাচ্যের বর্তমান অস্থিরতা, যা ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের ইসরায়েলে আক্রমণের পর থেকে তীব্রতর হয়েছে,মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার সরাসরি প্রতিফলন হল সিরিয়ার যুদ্ধের পুনঃজাগরণ। এই সংঘাত আবারো আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।সম্প্রতি সিরিয়ার বিদ্রোহীরা বিস্ময়কর সাফল্য অর্জন করেছে।তবে বাশার আল-আসাদের সরকার কঠিন চ্যালেঞ্জ এর মুখোমুখি।

 

২০১১ সালে শুরু হওয়া গৃহযুদ্ধের প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ তার ক্ষমতা ধরে রাখতে সক্ষম হন। কিন্তু তার এই টিকে থাকা সম্ভব হয়েছিল রাশিয়া, ইরান এবং লেবাননের হিজবুল্লাহর সহায়তায়। সাম্প্রতিক সময়ে, ২০২৩ সালের ২৭ নভেম্বর থেকে, সিরিয়ার বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলি হঠাৎ করে আক্রমণ চালিয়ে আসাদের বাহিনীর ওপর উল্লেখযোগ্য বিজয় অর্জন করে।

 

হায়াত তাহরির আল-শাম (HTS)এইচটিএস নামে বিদ্রোহী গোষ্ঠীটির নেতৃত্বে এই আক্রমণ "অ্যাস্টোনিশিং" বলে বর্ণিত হয়েছে।গত কয়েক দিনে, এইচটিএস এবং অন্যান্য বিদ্রোহী গোষ্ঠী সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমের ইদলিব থেকে আক্রমণ শুরু করে। তারা আলেপ্পোর প্রাচীন দুর্গ দখল করে, যেখানে ২০১২ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত আসাদের বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ঘাঁটি ছিল। বিদ্রোহীরা সামাজিক মাধ্যমে তাদের বিজয়ের ছবি প্রকাশ করেছে।

 

এইচটিএস,বহু আগে থেকে আল-কায়েদার সঙ্গে যুক্ত ছিল, ২০১৬ সালে সংগঠন থেকে আলাদা হয়ে নিজেদের পুনর্গঠন করে। তাদের সাম্প্রতিক অভিযান, "অপারেশন রিপেলিং দ্য অ্যাগ্রেশন", ধর্মীয় ভাষা এড়িয়ে একটি সাধারণ বিদ্রোহী প্রচেষ্টা হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে।

 

বিদ্রোহীরা উল্লেখযোগ্য পরিমাণ সামরিক সরঞ্জাম দখল করেছে এবং হামার দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এই এলাকাটি দামেস্কের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। বিদ্রোহীদের কাছে বিমান শক্তি না থাকলেও তারা ড্রোন ব্যবহার করে একটি উচ্চপদস্থ গোয়েন্দা কর্মকর্তাকে হত্যার দাবি করেছে।

 

জাতিসংঘের সিরিয়া বিষয়ক দূত গেইর পেডারসেন বলেছেন, "এই পরিস্থিতি বেসামরিক জনগণের জন্য গুরুতর হুমকি এবং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার উপর গভীর প্রভাব ফেলতে পারে।" সিরিয়ার সংঘাতের জন্য ২০১৫ সালে পাস করা জাতিসংঘের প্রস্তাব ২২৫৪ অনুসারে একটি রাজনৈতিক সমাধান প্রয়োজন,যেখানে সিরিয়ার ভবিষ্যৎ নির্ধারণের অধিকার দেওয়া হয়েছে জনগণকে।

 

বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলির এই পুনরুত্থান আসাদের শাসনের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। সিরিয়ার যুদ্ধের ভবিষ্যৎ আবারো অনিশ্চয়তায় পড়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য এখনই সময় একটি কার্যকর সমাধানের পথে এগিয়ে যাওয়ার। তথ্যসূত্র : বিবিসি

 

 


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

গোলরক্ষক বীরত্বে ১০ জনের ইউনাইটেড হারাল আর্সেনালকে

গোলরক্ষক বীরত্বে ১০ জনের ইউনাইটেড হারাল আর্সেনালকে

৯ দফা বাস্তবায়নে পদক্ষেপ কতদূর?

৯ দফা বাস্তবায়নে পদক্ষেপ কতদূর?

মর্গের দুই লাশের দাবিদার দুই পরিবার,

মর্গের দুই লাশের দাবিদার দুই পরিবার,

আইনজীবীকে হত্যার হত্যাচেষ্টা: শেখ হাসিনা-জয়সহ ৯৩ জনের মামলা এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ

আইনজীবীকে হত্যার হত্যাচেষ্টা: শেখ হাসিনা-জয়সহ ৯৩ জনের মামলা এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ

তথ্য থাকলেও সন্দেহজনক লেনদেনে দেরিতে ব্যবস্থা নিচ্ছে বিএফআইইউ!

তথ্য থাকলেও সন্দেহজনক লেনদেনে দেরিতে ব্যবস্থা নিচ্ছে বিএফআইইউ!

সাবেক এমপি হেনরীর ৫৬ কোটি টাকার সম্পত্তি জব্দের নির্দেশ,

সাবেক এমপি হেনরীর ৫৬ কোটি টাকার সম্পত্তি জব্দের নির্দেশ,

গ্যাসের দাম বাড়ানোর উদ্যোগে উৎকণ্ঠায় নারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ীরা

গ্যাসের দাম বাড়ানোর উদ্যোগে উৎকণ্ঠায় নারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ীরা

দেশে এইচএমপি ভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত

দেশে এইচএমপি ভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত

শাহজালাল বিমানবন্দরে বিমান বাহিনীর সদস্যদের অপসারণে আইনি নোটিশ

শাহজালাল বিমানবন্দরে বিমান বাহিনীর সদস্যদের অপসারণে আইনি নোটিশ

চকরিয়ায় পুলিশ-সন্ত্রাসীদের মধ্যে গোলাগুলি: বসতবাতিতে আগুন, ওয়ার্ড মেম্বারসহ আহত ২

চকরিয়ায় পুলিশ-সন্ত্রাসীদের মধ্যে গোলাগুলি: বসতবাতিতে আগুন, ওয়ার্ড মেম্বারসহ আহত ২

স্বাধীন সামরিক বাহিনী সংস্কার কমিশন গঠনের প্রস্তাব

স্বাধীন সামরিক বাহিনী সংস্কার কমিশন গঠনের প্রস্তাব

শেখ হাসিনার চোখ ছিল শুধু ঢাকা থেকে টুঙ্গীপাড়া পর্যন্ত : সারজিস

শেখ হাসিনার চোখ ছিল শুধু ঢাকা থেকে টুঙ্গীপাড়া পর্যন্ত : সারজিস

শেখ হাসিনা ভারতের সাথে বৈষম্যমৃলক চূক্তি করেছিলেন-মৌলভীবাজারে সারজিস আলম

শেখ হাসিনা ভারতের সাথে বৈষম্যমৃলক চূক্তি করেছিলেন-মৌলভীবাজারে সারজিস আলম

ব্র্যাক ব্যাংকের টপ টেন রেমিটেন্স অ্যাওয়ার্ড জয় ২০২৪ সালে ১.৬ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স সংগ্রহ

ব্র্যাক ব্যাংকের টপ টেন রেমিটেন্স অ্যাওয়ার্ড জয় ২০২৪ সালে ১.৬ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স সংগ্রহ

ওসি মুহিবুল্লাহকে বাঁচাতে স্বজনদের মানববন্ধন

ওসি মুহিবুল্লাহকে বাঁচাতে স্বজনদের মানববন্ধন

পাটগ্রাম সীমান্তে বাংলাদেশিকে লক্ষ্য করে বিএসএফের গুলি, আহত ১

পাটগ্রাম সীমান্তে বাংলাদেশিকে লক্ষ্য করে বিএসএফের গুলি, আহত ১

ওয়ান টাইম প্লাস্টিক বন্ধে ক্ষতিগ্রস্ত হবে ৬ হাজার প্রতিষ্ঠান: বিপিজিএমইএ

ওয়ান টাইম প্লাস্টিক বন্ধে ক্ষতিগ্রস্ত হবে ৬ হাজার প্রতিষ্ঠান: বিপিজিএমইএ

চলমান সংস্কার গতিশীল করতে হবে, যাতে কেউ প্রশ্ন তুলতে না পারে : মান্না

চলমান সংস্কার গতিশীল করতে হবে, যাতে কেউ প্রশ্ন তুলতে না পারে : মান্না

ফরিদপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় তিন দিনে মোট ১১ জন নিহত, আহত ৩৫

ফরিদপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় তিন দিনে মোট ১১ জন নিহত, আহত ৩৫

বিধ্বংসী শতকে লিটনের জবাব, ঝড়ো সেঞ্চুরি তানজিদেরও, বিপিএলে রেকর্ড

বিধ্বংসী শতকে লিটনের জবাব, ঝড়ো সেঞ্চুরি তানজিদেরও, বিপিএলে রেকর্ড