অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের প্রতিবেদন, ইসরায়েল গাজায় গণহত্যা করছে

অনলাইন ডেস্ক

০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:২৮ এএম | আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:২৮ এএম

মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে গাজায় ইসরায়েলের কার্যক্রমকে গণহত্যার আইনি সংজ্ঞার মধ্যে ফেলেছে বলে অভিযোগ করেছে।এই প্রতিবেদনটি কয়েক মাসের গবেষণার ফল।বহু প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষাৎকার, স্যাটেলাইট চিত্র এবং ইসরায়েলি সরকারি ও সামরিক কর্মকর্তাদের বক্তব্য বিশ্লেষণ করা হয়েছে।

অ্যামনেস্টি জানিয়েছে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ১৯৪৮ সালের গণহত্যা কনভেনশনের তিনটি নিষিদ্ধ কর্মকাণ্ড করেছে: বেসামরিক লোকজনকে নির্বিচারে হত্যা, শারীরিক ও মানসিক ক্ষতি করা এবং এমন জীবনযাত্রার এমন শর্ত আরোপ করেছে যাতে ফিলিস্তিনিদের ধ্বংস নিশ্চিত করে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েল অবরুদ্ধ গাজার জনগণকে "অমানবিক গোষ্ঠী" হিসেবে বিবেচনা করেছে, যা তাদের ধ্বংস করার উদ্দেশ্যকে স্পষ্ট করে। এছাড়া, ইসরায়েল আন্তর্জাতিক আদালতের নির্দেশনা উপেক্ষা করে গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবাহ বাধাগ্রস্ত করেছে।

প্রতিবেদনে ১০০টির বেশি ইসরায়েলি সরকারি ও সামরিক কর্মকর্তাদের বক্তব্য পর্যালোচনা করা হয়েছে, যেখানে ফিলিস্তিনিদের "ধ্বংসের" আহ্বান স্পষ্ট হয়েছে। ২২ জন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এমন বক্তব্য দিয়েছেন যা সরাসরি গণহত্যার উদ্দেশ্য নির্দেশ করে।

অ্যামনেস্টি আরও বলেছে, ইসরায়েলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয় যে হামাসকে লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে, কিন্তু এটি আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে বেসামরিক জনগণকে সুরক্ষিত রাখার বাধ্যবাধকতা পূরণ করে না।

অ্যামনেস্টির মহাসচিব অ্যাগনেস ক্যালামার্ড বলেছেন, "গাজার গণহত্যা বন্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ব্যর্থতা একটি বড় লজ্জার বিষয়।" তিনি বলেন, যুদ্ধবিরতির আহ্বান বিলম্বিত করা এবং ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহ চালিয়ে যাওয়া এই ব্যর্থতার উদাহরণ।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, "এই গণহত্যা বন্ধ করতে কার্যকর এবং স্থায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।" ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কঠোর আন্তর্জাতিক পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, "গাজায় ইসরায়েলের এই মানবতাবিরোধী কার্যক্রম আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন এবং এটি বন্ধ করতে অবিলম্বে পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি।" তথ্যসূত্র : আল-জাজিরা

বিভাগ : আন্তর্জাতিক