ভারতীয় বিজ্ঞানীদের সুপারবাগের বিরুদ্ধে বড় সাফল্য
০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৫৫ এএম | আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৫৫ এএম
অ্যান্টিবায়োটিকগুলোকে দীর্ঘকাল ধরে চিকিৎসা বিজ্ঞানে রক্ষক হিসেবে গণ্য করা হলেও, আজকাল তারা এক অদৃশ্য শত্রুর মুখোমুখি। এই শত্রু হল "সুপারবাগ", বা অ্যান্টিবায়োটিক-প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়া, যা একে একে অ্যান্টিবায়োটিকগুলোকে পরাস্ত করে ফেলছে। ২০২১ সালে এই সুপারবাগগুলি বিশ্বের ১.১৪ মিলিয়ন মানুষের মৃত্যু ঘটিয়েছে।তবে কিছু আশার আলো দেখা যাচ্ছে। ভারতীয় বিজ্ঞানীরা তৈরি করছেন নতুন ওষুধ, যা এই সুপারবাগের বিরুদ্ধে কার্যকর হতে পারে।
ভারত ২০১৯ সালে ৩০০,০০০ মৃত্যুর জন্য অ্যান্টিবায়োটিক-প্রতিরোধী সংক্রমণকে দায়ী করেছে এবং প্রতিবছর প্রায় ৬০,০০০ নবজাতকের মৃত্যু এসব কারণে ঘটে।তবে, কিছু ভারতীয় কোম্পানি নতুন ওষুধ তৈরি করেছে যা এই সুপারবাগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সক্ষম। চেন্নাই ভিত্তিক অর্কিড ফার্মার 'এনমেটাজোব্যাকটাম' নামক ইনজেক্টেবল অ্যান্টিবায়োটিকটি মার্কিন FDA দ্বারা অনুমোদিত হয়েছে। এটি মূত্রনালীর সংক্রমণ, নিউমোনিয়া এবং রক্ত সংক্রমণ নিরাময়ে সক্ষম, কারণ এটি ব্যাকটেরিয়ার প্রতিরোধ ক্ষমতাগুলিকে লক্ষ্য করে কাজ করে।
এছাড়াও, মুম্বাই ভিত্তিক কোম্পানি ওয়াকহার্ট নতুন অ্যান্টিবায়োটিক 'জাইনিচ' পরীক্ষা করছে, যা মারাত্মক ড্রাগ-প্রতিরোধী সংক্রমণের বিরুদ্ধে কার্যকর। এই ওষুধটি ২৫ বছর ধরে উন্নত হচ্ছে এবং এখন তৃতীয় পর্যায়ে পরীক্ষা চলছে। 'নাফিথ্রমাইসিন', যা MIQNAF নামে পরিচিত, এটি একটি মৌখিক চিকিৎসা যা নিউমোনিয়ার জন্য ৯৭% সফলতা দেখিয়েছে।
বেঙ্গালুরু ভিত্তিক 'বাগওয়ার্কস রিসার্চ' এবং GARDP (গ্লোবাল অ্যান্টিবায়োটিক রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টনারশিপ) যৌথভাবে নতুন অ্যান্টিবায়োটিক তৈরি করছে যা ড্রাগ-প্রতিরোধী সংক্রমণের বিরুদ্ধে কাজ করবে। তবে, এক্ষেত্রে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের নিয়মের সংস্কার।বর্তমান পরিস্থিতিতে, চিকিৎসকরা যেসব ব্যাপক অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করেন, তা অনেক সময় ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধে অকার্যকর হয়ে পড়ে। এই ক্ষেত্রে সঠিক ব্যবহারের পাশাপাশি, সঠিক অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের নির্দেশিকা প্রয়োজন।
ডাক্তারদের মতে, এই নতুন ওষুধগুলোর অপ্রয়োজনীয় ব্যবহার রোধ করা জরুরি, যাতে তাদের কার্যকারিতা দীর্ঘস্থায়ী থাকে।বিশেষজ্ঞরা আরো বলেন, সঠিক স্বাস্থ্যনীতি, শিক্ষিত চিকিৎসক এবং রোগীদের সচেতনতার মাধ্যমে সুপারবাগের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। তবে, ত্বরিত পদক্ষেপ না নিলে এমন এক সময় আসবে যখন সাধারণ সংক্রমণও চিকিৎসাযোগ্য থাকবে না।
এটি স্পষ্ট যে, যদি আমরা অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিই, তাহলে ভবিষ্যতে এমন সময় আসতে পারে যখন সাধারণ সংক্রমণও অকার্যকর হয়ে যাবে। তথ্যসূত্র : বিবিসি
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
দ্রুত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যবস্থা না করলে আন্দোলনে নামার ঘোষণা কর্নেল অলির
আশুলিয়া থানা জমিয়তের কমিটি গঠন
বাংলাদেশের সীমান্তে ১৬০ জায়গায় কাটাতারের বেড়া দিয়েছে ভারত : রিজভী
মতলবে সাবেক স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা-সাবেক স্বামী আটক
লক্ষ্মীপুর থেকে সাড়ে ৪ কোটি টাকার কষ্টিপাথর প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরে হস্তান্তর
অস্ট্রেলিয়া চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি দলে শর্ট ও হার্ডি, কামিন্সকে নিয়ে শঙ্কা
'ব্লু অরিজিন' রকেট উৎক্ষেপণের প্রস্তুতি সম্পন্ন,শুভকামনা জানালেন ইলন মাস্ক
কমলনগরে ট্রাক্টরট্রলির চাপায় চটপটি বিক্রেতার মৃত্যু
রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া মহাসড়কে বাস চলাচল শুরু
ঝিনাইদহে ২৬ টি দোকান দুঃসাহসিক চুরি টাকা ও মালামাল নিয়ে চম্পট
আর্থিক প্রতিষ্ঠানে স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগে প্যানেল
বগুড়ায় মটরসাইকেল - ভটভটি সংঘর্ষে ব্যাংক কর্মকর্তা নিহত
‘জমজমের’ নামে ট্যাপের পানি বিক্রি করছিলেন এক প্রতারক , আয় ৩০ কোটি !
মাদকব্যবসা নিয়ে দু-পক্ষের সংঘর্ষ-বোমা হামলা-ভাঙচুর, আহত ২০
জুলাই-আগস্ট গণহত্যা : হাসিনাসহ জড়িতদের গুরুত্বপূর্ণ কল রেকর্ড প্রসিকিউশনের হাতে
কুষ্টিয়ায় পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে স্কুল ছাত্র খুন
ইউক্রেনীয় যুদ্ধবন্দীদের মুক্তির জন্য উ.কোরিয়ার সৈন্য বিনিময়ে প্রস্তুত জেলেনস্কি
তারুণ্যের উৎসব উপলক্ষে ঈশ্বরগঞ্জে ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন
কিয়ার স্টারমার ‘ভালো বন্ধু’ টিউলিপকে কি বরখাস্ত করতে পারবেন ?
রেহানার কাছ থেকে রেহাই মিলত না কোনো ব্যাংকের