সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে, নতুন পরিস্থিতির সৃষ্টি

Daily Inqilab অনলাইন ডেস্ক

০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৪১ এএম | আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:০২ এএম

সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের দেরা প্রদেশ, যেখান থেকে ২০১১ সালে গণতান্ত্রিক আন্দোলন শুরু হয়েছিল, সম্প্রতি স্থানীয় বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে চলমান সংঘর্ষের এ ঘটনা সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের বর্তমান পরিস্থিতিকে নতুন দিকে নিয়ে যেতে পারে।

 

ব্রিটেনে ভিত্তিক যুদ্ধ পর্যবেক্ষণ সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস (SOHR) জানায়, দক্ষিণ সিরিয়ার বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো সামরিক ঘাঁটিগুলোর ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে। "সহিংস লড়াই" শেষে বিদ্রোহীদের সঙ্গে একটি চুক্তির মাধ্যমে সিরিয়ার সেনাবাহিনী ওই এলাকা থেকে সরে গেছে।সেনাদের নিরাপদে রাজধানী দামেস্কে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।

 

দেরা শহরটি কৌশলগত এবং প্রতীকীভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এটি জর্ডান সীমান্তবর্তী একটি প্রধান অঞ্চল এবং এখান থেকেই সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের সূত্রপাত হয়েছিল।SOHR-এর তথ্য অনুযায়ী, বিদ্রোহীরা দেরা প্রদেশের ৯০% এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে এবং শুধু সানামাইন অঞ্চল সরকারের অধীনে রয়েছে। বিদ্রোহীদের অগ্রযাত্রা উত্তরের হোমস শহরের উপকণ্ঠ পর্যন্ত পৌঁছে গেছে, যেখানে তারা শহরের দেয়ালের কাছে অবস্থান করছে।

 

রাশিয়ার যুদ্ধবিমান বিদ্রোহীদের অগ্রগতি থামাতে নিকটবর্তী রাসতানের একটি সেতু ধ্বংস করেছে। তবে সরকারি সেনারা হোমস শহর রক্ষায় সক্ষম হবে কিনা, তা এখনো পরিষ্কার নয়।বিদ্রোহীরা ইতোমধ্যেই হোমসের উত্তরে হামা শহর দখল করেছে এবং সেখানে কারাগারের বন্দিদের মুক্ত করেছে।

 

বিদ্রোহীদের এই অগ্রযাত্রা তুরস্কের সমর্থন ছাড়া সম্ভব হতো না বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বিদ্রোহীদের সমর্থন জানিয়ে আসছেন এবং আসাদ সরকারের সঙ্গে একটি রাজনৈতিক সমাধানে পৌঁছানোর আহ্বান জানাচ্ছেন।

 

সিরিয়ার চলমান গৃহযুদ্ধ নতুন মাত্রা পেয়েছে। বিদ্রোহীদের অগ্রগতি এবং সরকারি সেনাদের দুর্বলতা দেশটির ভবিষ্যৎ পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে। জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস শান্তি প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছেন। সিরিয়ার সংঘাতের অবসান শুধু দেশটির জন্য নয়, গোটা মধ্যপ্রাচ্যের স্থিতিশীলতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তথ্যসূত্র : বিবিসি

 


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

গোলরক্ষক বীরত্বে ১০ জনের ইউনাইটেড হারাল আর্সেনালকে

গোলরক্ষক বীরত্বে ১০ জনের ইউনাইটেড হারাল আর্সেনালকে

৯ দফা বাস্তবায়নে পদক্ষেপ কতদূর?

৯ দফা বাস্তবায়নে পদক্ষেপ কতদূর?

মর্গের দুই লাশের দাবিদার দুই পরিবার,

মর্গের দুই লাশের দাবিদার দুই পরিবার,

আইনজীবীকে হত্যার হত্যাচেষ্টা: শেখ হাসিনা-জয়সহ ৯৩ জনের মামলা এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ

আইনজীবীকে হত্যার হত্যাচেষ্টা: শেখ হাসিনা-জয়সহ ৯৩ জনের মামলা এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ

তথ্য থাকলেও সন্দেহজনক লেনদেনে দেরিতে ব্যবস্থা নিচ্ছে বিএফআইইউ!

তথ্য থাকলেও সন্দেহজনক লেনদেনে দেরিতে ব্যবস্থা নিচ্ছে বিএফআইইউ!

সাবেক এমপি হেনরীর ৫৬ কোটি টাকার সম্পত্তি জব্দের নির্দেশ,

সাবেক এমপি হেনরীর ৫৬ কোটি টাকার সম্পত্তি জব্দের নির্দেশ,

গ্যাসের দাম বাড়ানোর উদ্যোগে উৎকণ্ঠায় নারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ীরা

গ্যাসের দাম বাড়ানোর উদ্যোগে উৎকণ্ঠায় নারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ীরা

দেশে এইচএমপি ভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত

দেশে এইচএমপি ভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত

শাহজালাল বিমানবন্দরে বিমান বাহিনীর সদস্যদের অপসারণে আইনি নোটিশ

শাহজালাল বিমানবন্দরে বিমান বাহিনীর সদস্যদের অপসারণে আইনি নোটিশ

চকরিয়ায় পুলিশ-সন্ত্রাসীদের মধ্যে গোলাগুলি: বসতবাতিতে আগুন, ওয়ার্ড মেম্বারসহ আহত ২

চকরিয়ায় পুলিশ-সন্ত্রাসীদের মধ্যে গোলাগুলি: বসতবাতিতে আগুন, ওয়ার্ড মেম্বারসহ আহত ২

স্বাধীন সামরিক বাহিনী সংস্কার কমিশন গঠনের প্রস্তাব

স্বাধীন সামরিক বাহিনী সংস্কার কমিশন গঠনের প্রস্তাব

শেখ হাসিনার চোখ ছিল শুধু ঢাকা থেকে টুঙ্গীপাড়া পর্যন্ত : সারজিস

শেখ হাসিনার চোখ ছিল শুধু ঢাকা থেকে টুঙ্গীপাড়া পর্যন্ত : সারজিস

শেখ হাসিনা ভারতের সাথে বৈষম্যমৃলক চূক্তি করেছিলেন-মৌলভীবাজারে সারজিস আলম

শেখ হাসিনা ভারতের সাথে বৈষম্যমৃলক চূক্তি করেছিলেন-মৌলভীবাজারে সারজিস আলম

ব্র্যাক ব্যাংকের টপ টেন রেমিটেন্স অ্যাওয়ার্ড জয় ২০২৪ সালে ১.৬ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স সংগ্রহ

ব্র্যাক ব্যাংকের টপ টেন রেমিটেন্স অ্যাওয়ার্ড জয় ২০২৪ সালে ১.৬ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স সংগ্রহ

ওসি মুহিবুল্লাহকে বাঁচাতে স্বজনদের মানববন্ধন

ওসি মুহিবুল্লাহকে বাঁচাতে স্বজনদের মানববন্ধন

পাটগ্রাম সীমান্তে বাংলাদেশিকে লক্ষ্য করে বিএসএফের গুলি, আহত ১

পাটগ্রাম সীমান্তে বাংলাদেশিকে লক্ষ্য করে বিএসএফের গুলি, আহত ১

ওয়ান টাইম প্লাস্টিক বন্ধে ক্ষতিগ্রস্ত হবে ৬ হাজার প্রতিষ্ঠান: বিপিজিএমইএ

ওয়ান টাইম প্লাস্টিক বন্ধে ক্ষতিগ্রস্ত হবে ৬ হাজার প্রতিষ্ঠান: বিপিজিএমইএ

চলমান সংস্কার গতিশীল করতে হবে, যাতে কেউ প্রশ্ন তুলতে না পারে : মান্না

চলমান সংস্কার গতিশীল করতে হবে, যাতে কেউ প্রশ্ন তুলতে না পারে : মান্না

ফরিদপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় তিন দিনে মোট ১১ জন নিহত, আহত ৩৫

ফরিদপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় তিন দিনে মোট ১১ জন নিহত, আহত ৩৫

বিধ্বংসী শতকে লিটনের জবাব, ঝড়ো সেঞ্চুরি তানজিদেরও, বিপিএলে রেকর্ড

বিধ্বংসী শতকে লিটনের জবাব, ঝড়ো সেঞ্চুরি তানজিদেরও, বিপিএলে রেকর্ড