সিরীয়দের ‘নতুন সূর্যোদয়’ উদযাপন
১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:১৬ এএম | আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:১৬ এএম
সিরিয়ায় প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর বহুদিনের কাঙ্ক্ষিত ‘নতুন সূর্যোদয়’ উদযাপন করতে গতকাল সোমবার (৯ ডিসেম্বর) রাজধানী দামেস্কের প্রধান চত্বরে দলে দলে জড়ো হন দেশটির সাধারণ নাগরিকেরা। খবর এএফপির।
সিরিয়ার ইতিহাসে আসাদ পরিবারের পাঁচ যুগের শাসনের অবসান হয় গতকাল রোববার। ইসলামপন্থী বিদ্রোহীদের দুর্বার আক্রমণের মুখে ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ রাজধানী থেকে পালিয়ে রাশিয়ায় আশ্রয় নেন। আর এর মাধ্যমে সিরিয়ায় ক্ষমতার পালাবদলের নতুন যুগের সূচনা হয়।
দামেস্কে বিদ্রোহীদের জারি করা রাতভর কারফিউ শেষে উমায়াদ স্কয়ারে জয়োল্লাসে মেতে ওঠেন অধিবাসীরা। এ সময় শহরে মোতায়েন ছিল যোদ্ধাদের দলও।
নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে ৪৯ বছর বয়সী রিম রামাদান নামের একজন সরকারি চাকরিজীবী শহরের প্রাণকেন্দ্রে বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘এটা বর্ণনায় প্রকাশ করার মতো নয়, আমরা ভাবতেও পারিনি এই দুঃস্বপ্ন শেষ হবে, আমরা পুনর্জন্ম পেয়েছি।’
রামাদান আরও বলেন, ‘গত ৫৫ বছর ধরে আমরা কথা বলতে পারিনি, এমনকি বাড়িতেও কথা বলার সময় আমরা বলতাম দেওয়ালেরও কান আছে। আমাদের এমন মনে হচ্ছে যে আমরা স্বপ্নের ভেতর দিয়ে যাচ্ছি।’
গণতন্ত্রের পক্ষে প্রতিবাদ জানাতে থাকা নাগরিকদের ওপর নৃশংস দমনপীড়নের মাধ্যমে ১৪ বছর ধরে যে গৃহযুদ্ধ চলে বাশার আল-আসাদের পতনের মাধ্যমে তা শেষ হলো বলে মনে করা হচ্ছে। এই যুদ্ধে পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষ নিহত হয় আর দেশের অর্ধেক নাগরিক হয়ে পড়ে বাস্তুহারা। লাখ লাখ মানুষ দেশ ছেড়ে অন্য দেশে আশ্রয় নেয়।
বাশার আল-আসাদ উত্তরাধিকার সূত্রে তার বাবা হাফেজ আল-আসাদের কাছ থেকে রাষ্ট্র পরিচালনার এমন একটি ব্যবস্থা পান যেখানে সন্দেহজনক যেকোনো কাজের জন্য জেল খাটতে হতো বা মৃত্যুকে মেনে নিতে হতো। গণঅসন্তোষ ও সশস্ত্র বিদ্রোহ সত্ত্বেও বাশার রাশিয়া ও ইরানের সমর্থনে ক্ষমতা আঁকড়ে ছিলেন।
তবে ২৭ নভেম্বর থেকে ইসলামপন্থী হায়াত তাহরির আল-শামস সংগঠনের নেতৃত্বে বিদ্রোহীদের জোট নতুন করে সংঘবদ্ধ হয়ে সরকারি বাহিনীর বিরুদ্ধে ব্যাপক আক্রমণ শুরু করে। আক্রমণের এই ধারায় একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ শহরে দখল করে নেয় বিদ্রোহীরা। সর্বশেষ গতকাল রোববার রাজধানী দামেস্কের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার মাধ্যমে তাদের বিজয় নিশ্চিত হয়।
মাত্র কয়েকদিনের মধ্যে সিরিয়ার সেনাবাহিনী ও নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর থেকে বাশার সরকারের নিয়ন্ত্রণ ভেঙে পড়ে। বিদ্রোহীরা একে একে দখল করে নেয় আলেপ্পো, হামা, দারা ও হোমস শহর। এরপর নিয়ন্ত্রণ নেয় রাজধানী দামেস্কের। আর এর মাধ্যমেই বাথ পার্টির কয়েক যুগের শাসনের অবসান ঘটে।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
দুমকীতে বিএনপি অফিস ভাংচুর মামলায় ছাত্রলীগ নেতা আটক
তারেক রহমানের ৩১ দফা ছড়িয়ে দিতে রাষ্ট্রসংস্কারে-আরিফুল ইসলাম বিলাত
বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা, জনগণের স্বপ্ন পূরণে নতুন পুলিশ সদস্যরা কাজ করবে- অ্যাডিশনাল আইজি
ক্রোয়েশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দ্বিতীয় দফায় ভোটগ্রহণ, আবারও এগিয়ে মিলানোভিচ
ঢাবিকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়ার আশ্বাস প্রধান উপদেষ্টার
পোপ ফ্রান্সিসকে বাইডেনের প্রেসিডেনশিয়াল মেডাল প্রদান
লিটনকে বাদ দেওয়ার যে ব্যাখ্যা দিলেন প্রধান নির্বাচক
টেকনাফ জিবির অভিযানে ২লাখ ৫০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার
মোংলায় স্কুল থেকে ফেরার পথে ট্রেনে কাটা পড়ে শিক্ষার্থী নিহত
পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের এমডি ও পিডিকে অপসারণ সহ ৯ দফা দাবিতে ভূমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্তদের মানববন্ধন
পাকিস্তানিদের জন্য ভিসা সহজ করল বাংলাদেশ
ওজন কমাও মাসুদ, না হলে মানুষ মাংস কেটে নেবে!
৭৫-এর বীরদের নিয়ে যে বার্তা দিলেন সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন
সম্মেলন নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে বিএনপি সভাপতি নিহত
কিশোরগঞ্জে অটোরিকশা চালকের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার
জামায়াতের ৫-১৫% বেশি ভোট নিয়ে আমার সন্দেহ আছে, যা বললেন ফাহাম
বিকাশের দোকানে হামলা করে ১০ লাখ টাকা নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ
ঝালকাঠিতে চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের মানববন্ধন
মাগুরায় সরিষা ক্ষেতে মৌমাছির মাধ্যমে মধু আহরণ জনপ্রিয় হচ্ছে
নগরকান্দায় বাস-ট্রাক সংঘর্ষে দুইজন নিহত