বিশ্বে প্রথম তৈরি হল হিরার ব্যাটারি, চলবে ৫,৭০০ বছর
১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:০০ পিএম | আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:০৫ পিএম
বিশ্বে প্রথমবার হিরা দিয়ে ব্যাটারি বানিয়ে হৈচৈ ফেলে দিলেন বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলীরা। পাশাপাশি তারা দাবি করেছেন, যুগান্তকারী শক্তির উৎস এই ব্যাটারি যে কোনও ডিভাইসকে হাজার হাজার বছর ধরে চালিত করতে সক্ষম।
এই ব্যাটারিতে রেডিওকার্বন ডেটিংয়ে ব্যবহৃত কার্বনের আইসোটোপ ‘কার্বন-১৪’ ব্যবহার করে বিদ্যুৎ তৈরি করা হয়েছে। ব্যাটারিটি বানিয়েছেন, ‘ইউনিভার্সিটি অফ ব্রিস্টল’ ও যুক্তরাজ্যের পরমাণু শক্তি কর্তৃপক্ষ বা ইউকেএইএ-এর বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলীরা। পাশাপাশি এই ব্যাটারিটির মধ্যে তেজস্ক্রিয় বৈশিষ্ট্যও রয়েছে। জানা গিয়েছে, ব্যাটারির হীরার কাঠামোর ভেতরে বসানো হয়েছে কার্বন-১৪, যা তেজস্ক্রিয়া ক্ষয়ের মাধ্যমে শক্তি সঞ্চয় করবে। আর কার্বন-১৪ থেকে দ্রুত চলমান ইলেকট্রন শক্তি তৈরি করবে হীরার এই ব্যাটারি।
বিজ্ঞানীদের দাবি, এই ব্যাটারি ক্রমাগত অল্প অল্প করে শক্তি উৎপাদনে সক্ষম। ‘মাইক্রোপাওয়ার’ ধাঁচের ব্যাটারি এটি। চিকিৎসা ক্ষেত্রে এই ব্যাটারির প্রয়োজন পড়বে বেশি। বিশেষ করে পেসমেকার, শ্রবণ সহায়ক ও চোখের ইমপ্লান্টের মতো ডিভাইসে ব্যবহৃত হবে এই ব্যাটারি। আর এই ব্যাটারির কার্যক্রম অনুযায়ী বারবার অস্ত্রোপচার করার ঝামেলা থাকবে না। তাই অন্যান্য ব্যাটারির তুলনায় এ ব্যাটারি রোগিদের আয়ু দীর্ঘায়িত করতে সক্ষম হবে। চিকিৎসার পাশাপাশি মহাকাশ অনুসন্ধানেও এসব ব্যাটারি কার্যকর হবে। কারণ, মহাকাশযান ও বিভিন্ন ট্র্যাকিং ডিভাইসগুলিতে হিরার ব্যাটারি ভরলে, কয়েক দশক ধরে শক্তি দিতে থাকবে।
এছাড়াও গভীর সমুদ্রে অনুসন্ধান, যেখানে মানুষের প্রবেশাধিকার সীমিত-সহ বিভিন্ন প্রতিকূল পরিবেশেও ব্যবহার করা যেতে পারে এ ব্যাটারিকে। সুতরাং চিকিৎসা ক্ষেত্র থেকে মহাকাশ ব্যবস্থা পর্যন্ত ব্যবহৃত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তিতে এসব ব্যাটারি ব্যবহার করা যেতে পারে। হিরার তৈরি ব্যাটারির শক্তি চালক হল কার্বন-১৪। যার আয়ু ৫,৭০০ বছর। পাশাপাশি এই ব্যাটারি খুবই টেকসই। এই ব্যাটারি তৈরির জন্য এক মেশিনও বানিয়েছেন গবেষণা দলটি।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
টিউলিপকে বরখাস্তের দাবি ব্রিটেনের বিরোধীদলীয় নেতার
দাবানল থেকে পালিয়ে আসার ‘নারকীয় অভিজ্ঞতা’ লস অ্যাঞ্জেলেসের বাসিন্দাদের
হামাসের পুঁতে রাখা বোমা বিস্ফোরণে গাজায় চার ইসরাইলি সেনা নিহত
শতাধিক পণ্য ও সেবায় সরকার ভ্যাট বাড়ানোর পথ বেছে নিলো কেন
আজ বায়ুদূষণের শীর্ষে ঘানার আক্রা, ঢাকার অবস্থান তৃতীয়
ডাকসু নির্বাচন : ছাত্রদলের সঙ্গে শিবির-বৈষম্যবিরোধীদের পাল্টাপাল্টি অবস্থান
লন্ডনে চিকিৎসকদের সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে খালেদা জিয়া, অবস্থার দ্রুতই উন্নতি
এবার নির্বাচন কমিশনের ডিসপ্লে বোর্ডে ভেসে উঠল ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ’
এবার মার্কিন পণ্যের ওপর ‘প্রতিশোধমূলক’ শুল্ক আরোপের ঘোষণা কানাডার
ফ্রান্সের বিরুদ্ধে আলজেরিয়ার তথ্য বিভ্রান্তির অভিযোগ, কূটনৈতিক উত্তেজনা বাড়ছে
আজ গরম চা দিবস
এলিফেন্ট রোডে ব্যবসায়ীকে প্রকাশ্যে চাপাতি দিয়ে কোপ, ভিডিও ভাইরাল
গাজায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে হাজার হাজার অবিস্ফোরিত বোমা
জ্যাক স্মিথ বিচার বিভাগ থেকে পদত্যাগ করেছেন
তেজগাঁও ট্রাকস্ট্যান্ডে গ্যারেজের আগুন নিয়ন্ত্রণে
লস অ্যাঞ্জেলেসে দাবানল, আগুনের বিরুদ্ধে দমকল বাহিনীর মরিয়া লড়াই
হাসিনাকে যে কারণে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করতেই হবে ভারতকে: তুর্কি গণমাধ্যমের বিশ্লেষণ
সিরিয়ার স্থিতিশীলতা নিয়ে আলোচনায় সউদী আরবে বৈঠক
ইসরায়েলি বর্বর হামলায় গাজায় নিহত আরও ৩২, মানবিক সংকট চরমে
চাটমোহর পৌর বিএনপির কাউন্সিলে আরশেদ-তাইজুল-সিন্টু নির্বাচিত