আত্মসমর্পণ করবেন না: মিয়ানমার সেনাদেরকে জান্তা প্রধান
২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৪২ পিএম | আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৫৩ পিএম
মরণপণ প্রতিরোধ নয়, গত এক মাসে রাখাইন এবং চিন প্রদেশের একের পর এক ঘাঁটি বিনা যুদ্ধে বিদ্রোহীদের হাতে তুলে দিয়েছে মিয়ানমার সেনা। সেই সঙ্গে ক্রমশ বিদ্রোহীদের প্রতি সমর্থন বাড়ছে জনসাধারণের এই পরিস্থিতি উদ্বেগ বাড়ছে সামরিক জান্তা সরকারের। রেঙ্গুনের হামাউবি টাউনশিপে মহিলা অফিসার ক্যাডেটদের ‘পাসিং আউট’ অনুষ্ঠানে জান্তাপ্রধান জেনারেল মিন অং হ্লাইংয়ের বক্তৃতায় তা ধরে পড়েছে বলে বৃহস্পতিবার সে দেশের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী আউং সান সু চির সমর্থক সংবাদমাধ্যম ‘দ্য ইরাওয়াদি’ জানিয়েছে।
প্রকাশিত খবরে জানানো হয়েছে, ওই অনুষ্ঠানে মিয়ানমারের আমজনতার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য সদ্য প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মহিলা সেনা অফিসারদের কাছে আবেদন জানান জান্তাপ্রধান। মায়ানমারের গত এক বছরের গৃহযুদ্ধে বিদ্রোহীদের সবচেয়ে বড় সাফল্য এসেছে চলতি মাসে। চলতি মাসের গোড়ায় বিদ্রোহী জোট ‘থ্রি ব্রাডারহুড অ্যালায়েন্স’-এর বৃহত্তম শরিক আরাকান আর্মি দখল করেছিল বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী রাখাইন প্রদেশ। এর পরে রবিবার রাতে মণিপুর লাগোয়া চিন প্রদেশের দখল নিয়েছে মিয়ানমারের বিদ্রোহী জোটের আর এক শরিক! এই অংশেই মায়ানমারের কুকি জনগোষ্ঠীর (যারা সে দেশে কুকি-চিন নামে পরিচিত) বসবাস। ফলে নতুন করে সীমান্ত পেরিয়ে মণিপুরে অনুপ্রবেশের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এর পরে বুধবার আরাকান আর্মি এবং তাদের সহযোগী কারেন ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি ইরাবতী নদীর অববাহিকায় অবস্থিত থান্ডওয়ে নৌঘাঁটি এবং অদূরের গাওয়া শহর দখলে নিয়েছে। গত ১৩ মাসের গৃহযুদ্ধে এই প্রথম ইরাবতী অববাহিকায় অনুপ্রবেশ করল বিদ্রোহীরা। গাওয়ার অদূরে সৈকত শহর এনগাপালিতে জান্তা সেনার ‘ওয়েস্টার্ন কমান্ড’-এর সদর দফতরও বিনা যুদ্ধে বিদ্রোহী বাহিনীর কব্জায় চলে গিয়েছে বলে সূচি সমর্থক গণতন্ত্রপন্থীদের দাবি। গাওয়া থেকেই পথ গিয়েছে রাজধানী নেপিডো এবং বাণিজ্য রাজধানী রেঙ্গুনের দিকে, এর ফলে জান্তা সরকার অস্তিত্বের সঙ্কটে পড়তে চলেছে বলে সামরিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ মনে করছেন। এই আবহে জান্তার উপর চাপ বাড়িয়েছে সাদা পতাকা নিয়ে সেনাদের আত্মসমর্পণের বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজ।
বস্তুত, বিদ্রোহীদের ধারাবাহিক হামলার জেরে জান্তা সেনার গতিবিধি এখন নেপিডো, রেঙ্গুন এবং আরও কিছু বড় জনপদ-শিল্পাঞ্চলেই সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে। কিন্তু বিদ্রোহী জোট সেই এলাকাগুলি সহজে দখল করতে পারবে কি না, তা নিয়ে সন্দিহান সামরিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাদের যুক্তি, মিয়ানমারের রাজধানী-সহ বড় জনপদগুলিতে মূলত সংখ্যাগুরু বামার জনগোষ্ঠীর বাস। তাদের বড় অংশ জান্তার সমর্থক। প্রভাবশালী বৌদ্ধ ভিক্ষুরা এখনও জান্তার পাশে রয়েছেন। অন্য দিকে, মূলত প্রান্তিক এলাকার আরাকান, কাচিন, শান, কারেনের মতো জনজাতি গোষ্ঠীগুলি রয়েছে বিদ্রোহীদের জোটে। সেই অঙ্কেই জান্তা সরকার প্রতিরোধের ছক তৈরি করছে বলে সু চির সমর্থক স্বঘোষিত সরকার ‘ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট’ সম্প্রতি ইঙ্গিত দিয়েছে।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
বিকিনি নয় মনোকিনি পরে অভিনেত্রীর স্কাই ড্রাইভিং
বিমানবন্দর থানায় যোগ দিলেন নারী ওসি
চাকরিবিধি লঙ্ঘনের দায়ে আমলাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে : নাহিদ ইসলাম
সোমালিয়ায় নতুন মিশন অনুমোদন ইউএন-এর
জাসদ নেতা ও সাবেক কাউন্সিলর শফিকুল ইসলাম মিন্টু অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার
নতুন বছরের বন্দি বিনিময়ের আশায় ইউক্রেন
রামগতি-কমলনগরে চলছে ৫৮ টি অবৈধ ইটভাটা সংবাদ প্রকাশের পরও টনক নড়েনি প্রশাসনের
সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করে যা জানালো প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং
সদরপুরে হেরোইনসহ দুই যুবক আটক
নিউইয়র্কে কারাগারে বন্দি হত্যার ভিডিও প্রকাশ, তদন্ত শুরু
জামায়াতে ইসলামী ন্যায় ও ইনসাভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে চায়-হারুনুর রশিদ
সড়ক দুর্ঘটনায় পবিপ্রবির উপপরিচালকের মৃত্যু
'মলম' ময়ূখ বিধ্বস্ত তারেকের যুক্তির কাছে: অতঃপর পলায়ন!
হাসিনাকে ফেরাতে ঢাকার অনুরোধকে কেন গুরুত্ব দিচ্ছে না ভারত?
দেশবাসীকে আশ্বস্ত করছি, আমরা বসে নেই: পিনাকী ভট্টাচার্য
৪১ বছর ইমামতি করা ইমামকে রাজকীয় বিদায়
ট্রাম্পের সমর্থকদের মধ্যে বিদেশি কর্মী, ভিসা নিয়ে বিতর্ক
আজও ঢাকার বাতাস ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’
মাদারীপুরের মুখে গামছা বাঁধা অবস্থায় শিশু শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার
বাংলাদেশের মানুষ ভারতের আধিপত্যবাদ রুখে দিবে: মিজানুর রহমান আজহারী