জর্জিয়ায় রাজনীতিতে উত্তেজনা, প্রতিবাদে হাজারো মানুষ

অনলাইন ডেস্ক

২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:০৬ এএম | আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:১১ এএম

জর্জিয়ার রাজধানী তিবলিসিতে হাজার হাজার মানুষ গত ২৮ ডিসেম্বর মানব চেইন গঠন করেছে, যেখানে নতুন প্রেসিডেন্টের শপথ গ্রহণের আগে রাজনৈতিক সংঘর্ষের সম্ভাবনা রয়েছে। এই প্রতিবাদ প্রধানত নতুন প্রেসিডেন্ট মিখেইল কাবেলাশভিলির শপথের বিরোধিতা করছে, যিনি বর্তমান শাসক দল জর্জিয়ান ড্রিমের মিত্র হিসেবে পরিচিত।

রবিবার (২৯ডিসেম্বর) কাবেলাশভিলির শপথ নেওয়ার কথা রয়েছে, তবে বর্তমান প্রেসিডেন্ট সালোমে জোরাবিখভিলি পদত্যাগ করতে অস্বীকার করেছেন এবং তার নির্বাচনী ফলাফলকে অবৈধ বলে অভিহিত করেছেন। অক্টোবরের নির্বাচনে জর্জিয়ান ড্রিম দল বিজয়ী হলেও অভিযোগ রয়েছে নির্বাচনে কারচুপির, যার ফলে প্রতিবাদ শুরু হয়। এর মধ্যে বিরোধী দলগুলি কাবেলাশভিলির নির্বাচনকে স্বীকার করে না এবং পার্লামেন্ট বয়কট করেছে। বর্তমানে রাজনৈতিক পরিস্থিতি কীভাবে সমাধান হবে, তা এখনও অনিশ্চিত।

শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর)হাজার হাজার প্রতিবাদী জর্জিয়ান এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের পতাকা হাতে মানব চেইন গঠন করে শহরের বিভিন্ন অংশে।এক প্রতিবাদী বলেছেন, "আমি আমার পরিবারসহ রাস্তায় বেরিয়েছি, এই ছোট্ট দেশটিকে রুশ সাম্রাজ্যের কবল থেকে মুক্ত করতে।" জর্জিয়ান ড্রিম দলটি গত কয়েক বছরে ক্রমবর্ধমানভাবে একনায়কতান্ত্রিক হয়ে উঠেছে, যেখানে বিদেশী তহবিল পাওয়া মিডিয়া এবং সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে রুশ-স্টাইল আইন পাস করা হয়েছে। তারা ইউক্রেনে রাশিয়ার পূর্ণ মাত্রার আক্রমণ পরবর্তী পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা মানতে অস্বীকার করেছে এবং পশ্চিমকে "গ্লোবাল ওয়ার পার্টি" হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।

এছাড়া, ২০২৮ সাল পর্যন্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগদানের আলোচনা না করার ঘোষণা দেওয়ায় দেশজুড়ে ব্যাপক প্রতিবাদ হয়, যার ফলে পুলিশ প্রতিবাদীদের বিরুদ্ধে জলকামান ও কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করে। এর মাঝে, যুক্তরাষ্ট্র এই সপ্তাহে জর্জিয়ান ড্রিমের প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিডজিনা ইভানিশভিলির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।

বর্তমানে, জর্জিয়া একটি পার্লামেন্টারি গণতন্ত্র, যেখানে প্রেসিডেন্ট রাষ্ট্রপ্রধান এবং প্রধানমন্ত্রী সংসদের প্রধান। বর্তমান প্রেসিডেন্ট জোরাবিখভিলি কাবেলাশভিলির নির্বাচনী ফলাফলকে "রুশ বিশেষ অপারেশন" বলে অভিহিত করেছেন এবং রাতের পর রাত ইউরোপীয় ইউনিয়ন পক্ষের প্রতিবাদে সমর্থন জানিয়েছেন। তিনি ৩১ ডিসেম্বর তার পদত্যাগ না করার ঘোষণা দিয়েছেন। সরকার জানিয়েছে, যদি তিনি পদত্যাগ না করেন, তাহলে তিনি আইন লঙ্ঘন করবেন।

জর্জিয়ার এই রাজনৈতিক অস্থিরতা দেশেটির ভবিষ্যৎকে গভীরভাবে প্রভাবিত করতে পারে, তাই জনগণের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। তথ্যসূত্র : বিবিসি

বিভাগ : আন্তর্জাতিক