ইসরাইলি হামলায় গাজায় আরও ২৭ ফিলিস্তিনি নিহত
০১ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:২৯ এএম | আপডেট: ০১ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:২৯ এএম
ইসরাইলি বাহিনীর অব্যাহত হামলা ও শীতের তীব্রতায় গাজায় মানবিক পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক রূপ নিয়েছে। উত্তরের জাবালিয়ায় এক হামলায় চার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং গাজা উপত্যকার বিভিন্ন স্থানে একদিনে অন্তত ২৭ জন নিহত হয়েছেন।
গত কয়েকদিন ধরে তীব্র ঠা-ার কারণে গাজায় অন্তত সাতজন ফিলিস্তিনি হাইপোথার্মিয়ায় (শীতে প্রেশার নেমে যাওয়া) মারা গেছেন। ইতিমধ্যে ইসরাইল মানবিক সহায়তা এবং ত্রাণ সামগ্রী প্রবেশে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করায় এই পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে। এদিকে, কামাল আদওয়ান হাসপাতালের আটক পরিচালক ডা. হুসাম আবু সাফিয়ার মুক্তির জন্য তার পরিবার আবেদন জানিয়েছে। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইসরাইলি হেফাজতে আরও পাঁচজন বন্দির মৃত্যু হয়েছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরাইলের গাজার ওপর যুদ্ধ চলমান রয়েছে, যেখানে এখন পর্যন্ত ৪৫,৫৪১ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১,০৮,৩৩৮ জন আহত হয়েছেন। অন্যদিকে, হামাসের নেতৃত্বে পরিচালিত এক হামলায় ইসরাইলে অন্তত ১,১৩৯ জন নিহত হন এবং ২০০ জনের বেশি বন্দি হন।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ মনে করছে, গাজা উপত্যকা জুড়ে ধ্বংস হওয়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও ১০ হাজারেরও বেশি লোক নিখোঁজ রয়েছেন। মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরাইল অবরুদ্ধ এই ভূখ-ে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে। এছাড়া ইসরাইলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। মূলত ইসরাইলি আক্রমণ গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। জাতিসংঘের মতে, ইসরাইলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন। এছাড়া অবরুদ্ধ এই ভূখ-ের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। ইসরাইল ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে। এই পরিস্থিতি গাজার মানুষের জন্য মানবিক সংকটের চিত্র আরও প্রকট করেছে। শান্তি প্রতিষ্ঠা ও মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করা এখন অত্যন্ত জরুরি। সূত্র : আল-জাজিরা।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
মাওলানা এমদাদুল ইসলামের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া
‘রাজনীতিতে অশুভ বিভাজনের পদধ্বনির আভাস পাওয়া যাচ্ছে’
সালথায় ইমাম ঐক্য পরিষদের সভাপতি নেছারুদ্দীন, সাধারণ সম্পাদক মুফতি রবিউল
সুড়ঙ্গের ভেতর থেকে হঠাৎ আরাফাতের হুক্কা হুয়া
আওয়ামী ফ্যাসিস্ট ‘ক্র্যাক প্লাটুন হ্যাকার’ গ্রুপের ছবি পোস্ট করলেন সামী
শ্রীপুর স্বৈরাচার সরকারের বুলেটে ক্ষত-বিক্ষত শরীর নিয়ে বিছানায় কাঁতরাচ্ছে বাপ্পি
ডায়াবেটিস রোগীদের নিরাপদে রোজা রাখার উপায় জানালো এসিইডিবি
তেহরিক-ই তালেবানকে নির্মূল করার এখনই সময় : শেহবাজ শরীফ
বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের ৩৫তম ব্যাচের কমিটি নির্বাচন
২৪ ঘন্টায়ও চিহ্নিত হয়নি সীতাকুণ্ডে বিএনপি নেতার হত্যাকারীরা, হয়নি মামলাও
৫০ লক্ষ টাকার চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করলেন ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ নেতৃবৃন্দ
শার্শায় হারিয়ে যেতে বসেছে খেজুর রসের ঐতিহ্য
শিবচরে বিয়ের প্রলোভনে প্রেমিকের ধর্ষন: পরে বিয়ে না করে প্রতারনা করায় প্রেমিকার আত্বহত্যা
ফৌজদারি ও দেওয়ানি মামলা চলবে আদানির বিরুদ্ধে
বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া বাসীর ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করে যাবো: ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল-মামুন
শীতে স্থবির কুমিল্লার জনজীবন, ঘন কুয়াশার সঙ্গে বইছে ঠান্ডা বাতাস
শাপলার ‘গণহত্যা’ তদন্ত কমিশন সময়ের দাবি
ফের সন্তানহারা ওরকা তিমি, পানির মধ্য দিয়ে ঠেলে নিয়ে চলেছে মৃত শাবককে
পাকিস্তানের আমন্ত্রণ গ্রহণ করলেন ড. ইউনূস
নড়াইলে নারী ইউপি মেম্বারকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও হত্যায় দুজন গ্রেফতার