ইন্দোনেশিয়ায় অ্যাপল-গুগল নিষেধাজ্ঞা, প্রযুক্তিপ্রেমীদের হতাশা
০১ জানুয়ারি ২০২৫, ০১:৪২ পিএম | আপডেট: ০১ জানুয়ারি ২০২৫, ০১:৪৩ পিএম
ইন্দোনেশিয়ায় অ্যাপল এবং গুগলের সাম্প্রতিক স্মার্টফোন নিষেধাজ্ঞা প্রযুক্তি ভক্তদের মধ্যে ব্যাপক হতাশার সৃষ্টি করেছে। দেশটির টিংকাত কোম্পোনেন দালাম নেগারি (টিকেডিএন) নীতির আওতায় স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত ৪০ শতাংশ যন্ত্রাংশের বাধ্যবাধকতা মেনে চলতে ব্যর্থ হওয়ায় আইফোন ১৬ এবং গুগল পিক্সেল ফোনের বিক্রয় নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে ইন্দোনেশিয়া সরকার এই নিষেধাজ্ঞা জারি করে। স্থানীয় শিল্পের উন্নয়ন এবং দেশীয় প্রযুক্তি খাতকে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে টিকেডিএন নীতিটি তৈরি করা হয়। তবে এই নীতি দেশের বৃহৎ প্রযুক্তিপ্রেমী জনগোষ্ঠীর জন্য একটি বড় ধাক্কা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
উত্তর সুমাত্রার রাজধানী মেদানের বাসিন্দা এবং একজন চিকিৎসক উইনস্টন এই নিষেধাজ্ঞার কারণে নতুন আইফোন ১৬ কেনার ইচ্ছা বাদ দিয়েছেন। তিনি পূর্বে সিঙ্গাপুর থেকে আইফোন ১১ কিনেছিলেন, যা ইন্দোনেশিয়ার তুলনায় ২৫০($)ডলার সস্তা ছিল। কিন্তু ২০২২ সালে ইন্দোনেশিয়া সরকার ফোন নিবন্ধনের বাধ্যবাধকতা জারি করলে তার ফোন কাজ করা বন্ধ করে দেয়।
দেশটি ২০২৪ সালে প্রায় ২২,০০০ গুগল পিক্সেল এবং ৯,০০০ আইফোন ১৬ আমদানি করেছিল, তবে নিষেধাজ্ঞার ফলে এই ফোনগুলো বিক্রি বন্ধ হয়ে যায়। এদিকে চীনা ব্র্যান্ড যেমন শাওমি, অপ্পো, এবং ভিভো এবং দক্ষিণ কোরিয়ার স্যামসাং ইন্দোনেশিয়ার বাজারে আধিপত্য বজায় রেখেছে।
আইফোনের উচ্চমূল্য অনেক ইন্দোনেশিয়ানদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে থাকায় ব্যাপক প্রতিবাদ না হলেও, এই নিষেধাজ্ঞা প্রযুক্তিপ্রেমীদের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি করেছে। দেশটির চেম্বার অফ কমার্সের প্রধান খাইরুল মহল্লি বলেছেন, টিকেডিএন নীতি স্থানীয় শিল্পকে রক্ষা করতে চায়, তবে এটি আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে।
অ্যাপল এই নিষেধাজ্ঞা কাটানোর জন্য ইন্দোনেশিয়ায় ১০০($) মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছে। তবে দেশটির শিল্প মন্ত্রণালয় বলেছে, এটি ন্যায্য বিনিয়োগের পরিমাণ নয়, কারণ অ্যাপল থাইল্যান্ড এবং ভিয়েতনামে অনেক বেশি পরিমাণে বিনিয়োগ করেছে। নভেম্বর ২০২৪-এ, ইন্দোনেশিয়া এই প্রস্তাবটি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রত্যাখ্যান করে।
উইনস্টনের মতো প্রযুক্তিপ্রেমীদের জন্য এটি একটি কঠিন সময়। তিনি বলেন, “আমি বুঝি এই নিষেধাজ্ঞা রাজনৈতিক কারণে, এবং আমি আমার সরকারের পক্ষে আছি। তবে আমি আর কখনও বিদেশ থেকে আইফোন কিনব না।”
ইন্দোনেশিয়ার প্রযুক্তি বাজারে এই নিষেধাজ্ঞার দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব কী হতে পারে, তা সময়ই বলে দেবে। তবে স্থানীয় শিল্প এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা এখন সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। তথ্যসূত্র : আল-জাজিরা
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
৭ ঘন্টা পর আরিচা-কাজিরহাট এবং ৯ ঘন্টা পর পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল শুরু
গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় দুইদিনে নিহত ১৪০, কাতারে যুদ্ধবিরতি আলোচনা চলছে
দৌলতদিয়া পাটুরিয়া নৌরুটে ঘন কুয়াশায় ফেরি চলাচল বন্ধ
চিকিৎসক ঘোষণা করেছেন মৃত, অ্যাম্বুলেন্সের ঝাঁকুনিতে ফিরে পেল প্রাণ
মারা গেছেন চিত্রনায়িকা অঞ্জনা রহমান
আবরার হত্যা নিয়ে নির্মিত হলো সিনেমা 'রুম নম্বর ২০১১'
আইটেম গানে নেচে কটাক্ষের শিকার উর্বশী
ভিনিসিয়ুসের লাল কার্ড,বেলিংহ্যামের পেনাল্টি মিসের পরেও রিয়ালের নাটকীয় জয়
রিকেলটনের অনবদ্য ইনিংসে রান পাহাড়ের পথে দক্ষিণ আফ্রিকা
নাঈমুল ইসলাম ও তার পরিবারের ব্যাংক হিসাব ১৬৩টি, জমা ৩৮৬ কোটি
সবার ঐক্যমতে দ্রুতই হবে ডাকসু নির্বাচন : ঢাবি ভিসি
ডলার বেচাকেনায় ব্যবধান ১ টাকার বেশি নয়
আবুবকর সরকার সভাপতি তুহিন হোসেন সাধারণ সম্পাদক
পীর ইয়ামেনী মসজিদের ইমাম মাওলানা এমদাদুলের ইন্তেকাল
খতমে নবুওয়ত না মানলে ঈমান থাকবে না
সংস্কার ও নির্বাচন নিয়ে অহেতুক বিতর্ক না করে দ্রুত নির্বাচন দিন
পান্থকুঞ্জে গাছ রক্ষা আন্দোলনকারীদের প্রতিবাদ সমাবেশ
রেলপথে দুর্ঘটনা এড়াতে বাড়তি সতর্কতা
ডায়াবেটিস রোগীদের নিরাপদে রোজা রাখার উপায় জানালো এসিইডিবি
রাজনীতিতে অশুভ বিভাজনের পদধ্বনির আভাস পাওয়া যাচ্ছে