গাজায় ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত,নিহত আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি
০৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:৩৩ এএম | আপডেট: ০৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:৫৫ এএম
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি। ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে আলোচনার মধ্যে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা তীব্রতর হচ্ছে। এরমধ্যে গাজায় শীতের তীব্রতা এবং মানবিক সাহায্য সংকটের মধ্যে আটটি শিশুর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ইসরায়েল এবং হামাস বন্দী বিনিময়ের বিষয়ে আলোচনা করছে, তবে চুক্তির বিভিন্ন দিক নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে মতপার্থক্য রয়ে গেছে।
এই সংকট শুরু হয় ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর,স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের নেতৃত্বে ইসরায়েলে হামলা চালানো হয়। এতে ১,১৩৯ জন নিহত এবং ২০০ জনেরও বেশি বন্দী হন। এর জবাবে ইসরায়েল গাজায় আক্রমণ শুরু করে। ইসরায়েলের লক্ষ্য হলো হামাসকে দুর্বল করা, কিন্তু এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে মৃত্যু এবং মানবিক সংকট তীব্রতর হয়েছে।
সাম্প্রতিক দিনগুলোতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় গাজার রাফাহ এবং বুরেইজ এলাকায় অন্তত সাতজন নিহত হয়েছেন। তিন দিনের প্রবল আক্রমণে গাজা জুড়ে ২০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হন। ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া হামলায় এ পর্যন্ত ৪৫,৮০৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১,০৯,০৬৪ জন আহত হয়েছেন।
এদিকে, মানবিক সংকট চরমে পৌঁছেছে। শীতের তীব্রতা এবং মানবিক সরবরাহ সীমিত হওয়ায় আটটি ফিলিস্তিনি শিশু হাইপোথারমিয়ায় মারা গেছে। ইসরায়েলের পক্ষ থেকে মানবিক সরবরাহে সীমাবদ্ধতা থাকায় পরিস্থিতি আরও কঠিন হয়ে উঠেছে।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ মনে করছে, গাজা উপত্যকা জুড়ে ধ্বংস হওয়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও ১০ হাজারেরও বেশি লোক নিখোঁজ রয়েছেন। মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরায়েল অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।
ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যে সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে আলোচনা চলছে। হামাস জানিয়েছে যে তারা বন্দী বিনিময়ের জন্য ৩৪ জনের একটি তালিকা অনুমোদন করেছে, তবে ইসরায়েল এই দাবিকে অস্বীকার করেছে।এছাড়া ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।
মূলত ইসরায়েলি আক্রমণ গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন।
এছাড়া অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। ইসরায়েল ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে।
গাজায় চলমান সংঘাত ও মানবিক সংকট অব্যাহত থাকায় নিরীহ মানুষের জীবন বিপন্ন হচ্ছে। যুদ্ধবিরতি চুক্তি সফল হলে এটি মানবিক সংকট লাঘব করতে পারে। তবে উভয়পক্ষের মধ্যে আস্থা এবং সহযোগিতার ঘাটতি এই প্রক্রিয়াকে কঠিন করে তুলছে। শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য আন্তরিক প্রচেষ্টা অপরিহার্য। তথ্যসূত্র : আল-জাজিরা,আনাদোলু এজেন্সি
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
তারাকান্দায় শীত বস্ত্র বিতরণ ও সেনাবাহিনীর কার্যক্রম পরিদর্শন সেনাপ্রধানের
আশুলিয়ায় জুলাই ঘোষণাপত্র ও ৭ দফা দাবিতে লিফলেট বিতরণ
কটিয়াদীতে মাদক ব্যবসায়ীর বাড়িতে মাদকাসক্ত ব্যক্তির মৃত্যু
দাউদকান্দি-মতলব সড়কে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকা সত্বেও ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যাত্রীরা
ওয়েস্টার্ন গ্রুপ এ্যামেচার গলফ চ্যাম্পিয়নশিপের উদ্বোধন
সিলেটকে ‘হ্যাটট্রিক’ উপহার দিয়ে বরিশালের টানা দ্বিতীয় জয়
এনসিসি ব্যাংক এর ১১তম বিশেষ সাধারণ সভা (ইজিএম) অনুষ্ঠিত
শেরপুরে পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযান, ১১ ইটভাটাকে ৬৫ লাখ টাকা জরিমানা
ঈশ্বরদীতে যুবদল কর্মী গুলিবিদ্ধ
হারা ম্যাচে শাস্তিও পেল পাকিস্তান
কেন্দ্রীয় ব্যাংক গভর্নরের নতুন উপদেষ্টা আহসান উল্লাহ
গণঅভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসার খোঁজ নিলেন বিএসএমএমইউ ভিসি
মুসাফির অবস্থায় সুন্নত পড়া প্রসঙ্গে?
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জামায়াত আমিরের একান্ত বৈঠক
শুধু সংখ্যায় নয়, গবেষণার গুণগত মান বাড়াতে হবে: বিএসএমএমইউ ভিসি
সন-টটেনহ্যাম চুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধি
গাজায় ফিলিস্তিনিদের ত্রাণ সহযোগিতা দিচ্ছে হাফেজ্জী চ্যারিটেবল সোসাইটি
শিগগিরই চালের দাম কমে আসবে: বাণিজ্য উপদেষ্টা
জুলাই গণহত্যা: হাসিনাসহ ৯৭ জনের পাসপোর্ট বাতিল
বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ফোরাম গঠন