দক্ষিণ কোরীয় প্রেসিডেন্টকে গ্রেফতারের দায়িত্ব পেল পুলিশ
০৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭:০৩ পিএম | আপডেট: ০৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭:০৮ পিএম
দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা দিয়েছে দেশটির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের জন্য গঠিত দুর্নীতি তদন্ত দপ্তর (সিআইও)। এবার সেই পরোয়ানা কার্যকর করার দায়িত্ব দেশটির পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে সিআইও।যা সোমবার পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
এদিন এক বিবৃতিতে সিআইও জানিয়েছে, ‘জাতীয় তদন্ত দপ্তরের কাছে এই রাতে (রোববার রাতে) সন্দেহভাজন (ইউন, পদবিযুক্ত) প্রেসিডেন্টের গ্রেফতারি ওয়ারেন্ট কার্যকর করার নির্দেশ হস্তান্তর করা হয়েছে।
২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর দক্ষিণ কোরিয়ার আদালত প্রেসিডেন্ট ইউনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। এই ওয়ারেন্টের মেয়াদ ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
এর আগে ধারণা করা হয়েছিল যে, সিআইও হয় নতুন একটি ওয়ারেন্টের আবেদন করতে পারে অথবা বর্তমান ওয়ারেন্টের মেয়াদ বাড়ানোর চেষ্টা করতে পারে। তবে তেমনটা হয়নি। তারা বিষয়টি জাতীয় তদন্ত দপ্তরে হস্তান্তর করেছে।
জাতীয় তদন্ত দপ্তর হলো দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় পুলিশ সংস্থার অধীনস্থ একটি বিভাগ।
এদিকে রোববার দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলের বিরুদ্ধে জারি করা গ্রেফতারি পরোয়ানা বাতিলের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে সিউলের একটি আদালত।
স্থানীয় ইয়োনহাপ নিউজ এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউনের আইনজীবী তার বিরুদ্ধে দেওয়া গ্রেফতারি পরোয়ানা স্থগিতের ওপর আপত্তি জানিয়ে একটি আবেদন করেছিল। তবে আদালত সেই আপত্তি নাকচ করে দিয়েছে।
ইউনের আইনজীবী ইউন গাপ-গিউন এ বিষয়ে জানিয়েছেন, তারা স্থানীয় আদালতের এই রায়ের বিরুদ্ধে দেশের শীর্ষ আদালতে আপিল করার কথা ভাবছেন।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আবেদন খারিজ হওয়া মানে এই নয় যে, গ্রেফতারি পরোয়ানাটি আইনত বৈধ। আমরা সুপ্রিম কোর্টে আপিল করার বিষয়টি বিবেচনা করব।
এর আগে গত ৩ জানুয়ারি দক্ষিণ কোরীয় দুর্নীতি তদন্ত অফিস অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউনকে আটক করার চেষ্টা করলে তার নিরাপত্তা বাহিনী তাদেরকে বাধা দেয়। এ সময় প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে প্রায় সাড়ে ৫ ঘণ্টা সংঘর্ষের পর একীভূত তদন্ত দলের সদস্যরা প্রেসিডেন্টের বাসভবনের এলাকা ত্যাগ করে।
৬৩ বছর বয়সি ইউন সুক-ইওল গত ৩ ডিসেম্বর দেশটিতে সামরিক আইন জারি করেন। তবে তুমুল সমালোচনা ও ক্ষোভের মুখে কিছু সময়ের মধ্যেই তা প্রত্যাহারে বাধ্য হন।
এ নিয়ে ইউনকে গত ১৪ ডিসেম্বর অভিশংসিত করা হয় এবং এখন তিনি সাংবিধানিক আদালতের রায়ের অপেক্ষায় রয়েছেন। এই রায়-ই তাকে স্থায়ীভাবে পদ থেকে অপসারণ করবে অথবা পুনর্বহাল করবে। তবে এই রায় দিতে আদালতের ছয় মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।
ইউন দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাসে প্রথম চলমান প্রেসিডেন্ট, যিনি কিনা রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছেন এবং তার ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
এছাড়াও এই প্রথমবারের মতো দক্ষিণ কোরিয়ায় একজন ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। সূত্র: তাস ও আনাদোলু এজেন্সি
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
সচিবালয়ের গেটে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া-পুলিশের ফাঁকা গুলি
ফ্রান্সের উগ্র ডানপন্থী রাজনীতিবিদ মারি লা পেনের মৃত্যু
দুদক কার্যালয় থেকে গ্রেপ্তার তিন ভুয়া কর্মকর্তা রিমান্ডে, হত্যা মামলায় যুবলীগ নেতা সোহাগ রিমান্ডে,
শিগগিরই চালের দাম কমে আসবে : বাণিজ্য উপদেষ্টা
কুরস্কে ২৪ ঘন্টায় ইউক্রেনের ৪৮৫ সেনা নিহত
পশ্চিম তীরে বন্দুক হামলায় ৩ ইসরাইলি নিহত
ঢাবিতে হাসিনার ‘ডামি নির্বাচন’ প্রদর্শনী
জুলাই গণহত্যা: হাসিনাসহ ৯৭ জনের পাসপোর্ট বাতিল
শিগগিরই চালের দাম কমে আসবে: বাণিজ্য উপদেষ্টা
গাজায় ফিলিস্তিনিদের ত্রাণ সহযোগিতা দিচ্ছে হাফেজ্জী চ্যারিটেবল সোসাইটি
ট্রাম্প প্রশাসনের পররাষ্ট্রনীতি যুদ্ধ নাকি বন্ধুত্বের পক্ষে
মিথ্যা ন্যারেটিভ ভেঙ্গে দেয়া আমাদের ইতিহাসের দায়বদ্ধতার অংশ
বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে
এক-পঞ্চমাংশ এইচ-১বি ভিসাই ভারতীয় সংস্থাগুলোর কাছে
গ্রীনল্যান্ড সফরে যাচ্ছেন ট্রাম্প জুনিয়র
মক্কা-মদিনায় ভারী বৃষ্টিতে বন্যা
ভারতে চীনের পরিবর্তে বাড়ছে জাপানি বিনিয়োগ
পশ্চিম তীরে ৩ ইসরাইলি নিহত
যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা একীভূত করার প্রস্তাব ট্রাম্পের
অস্ট্রিয়ায় সরকার গঠন করছেন অতি ডানপন্থি নেতা কিকল