আইএমএফসহ আন্তর্জাতিক সংস্থার শীর্ষ পদে এখনো ভারতীয়রা
১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:১১ এএম | আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:১১ এএম
গণঅভ্যূত্থানের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। এরপর ক্ষমতা গ্রহণ করে অন্তর্বর্তী সরকার। হাসিনার পতনের পর থেকেই ভারত ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ করার জন্য নানাভাবে অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে ভারত সরকারের পররাষ্ট্র নীতির সাথে বাংলাদেশকে জড়িয়ে দিচ্ছেন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল-আইএমএফের ভারতীয় বংশোদ্ভ‚ত কর্মকর্তারা। হাসিনার আমলে তারা নীরব থাকলেও অনুমোদিত ঋণের কিস্তি ছাড়ে এখন জুড়ে দিচ্ছেন নানা শর্ত। বিশ্লেষকরা বলছেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে ভ্যাট-শুল্ক বাড়ানোর মতো অজনপ্রিয় সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে আইএমএফের ভারতীয় বংশোদ্ভ‚ত শীর্ষ কর্মকর্তাদের কারণেই।
ভারতের কলকাতায় জন্ম নেয়া গীতা গোপী নাথ এখন আইএমএফের শীর্ষ স্থানীয় কর্মকর্তা। তিনি এখন সিনিয়র উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক। ঋণ অনুমোদন ও ছাড়ের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে ভ‚মিকা রাখেন তিনি। বিশ্লেষকরা বলছেন, হাসিনা সরকারের সময় অবাধ লুটপাট ও ব্যাংক খাতে লুটপাট চললেও নিরব ভ‚মিকা ছিলো আইএমএফের। রাজস্ব আদায়সহ আর্থিক খাতে কোনো ভ‚মিকা ছিলো না আইএমএফের। হাসিনা সরকারকে টিকিয়ে রাখার ক্ষেত্রে ভারতীয় আইএমএফের কর্মকর্তাদের ভ‚মিকা ছিলো ব্যাপক। ২০২৩ সালে চাহিদার বেশি অর্থাৎ ৪৫০ কোটি চাহিদার বিপরিতে ৪৭০ কোটি ঋণ অনুমোদন করে আইএমএফ। সেক্ষেত্রে গুনুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করে গীতা গোপী নাথ।
আইএমএফের প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকার পরিচালক পদে আছেন আরেক ভারতীয় কৃঞ্চ শ্রী নির্ভাস। হাসিনা সরকারের পতনের পর ভারতীয় এই কর্মকর্তার ইচ্ছায় ঋণের কিস্তির টাকায় জুড়ে দেয়া হচ্ছে নানান শর্ত। সে ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী সরকারকে নিতে হচ্ছে অজনপ্রিয় সিদ্ধান্ত। বাড়াতে হচ্ছে ভ্যাট ও শুল্ক। তবে দেশকে এগিয়ে নিতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত ভেবে নিতে বলছেন বিশ্লেষকরা।
অর্থনীতিবিদ আইনুল ইসলাম বলেন, আইএমএফ যে দেশে গিয়েছে সে দেশের অর্থনীতির তেমন কোনো পরিবর্তন হয়নি। অন্য দেশের পলিসি দিয়ে আমাদের দেশ পরিচালনায় কোনোভাবেই ভালো হবে না। অর্থনীতিবিদ ড. মাহফুজ কবীর বলেন, আইএমএফের গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন ভারতীয়রা। ভারতের নীতি ও বাংলাদেশের নীতির সাথে সমন্বয় করে নীতিগুলো যদি হয় তাহলে হয়ত তারা অর্থ ছাড় করতে পারবে। তিনি মনে করেন, বিষয়গুলো নিয়ে কোনো চিন্তা ভাবনা করছে সরকার। বিশেষজ্ঞদের মতে, সরকারের উচিত হবে হাসিনার আমলে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোতে নিয়োগপ্রাপ্ত ভারতীয় নাগরিকদের অপসারণের উদ্যোগ দেয়া। প্রয়োজনে সরকার আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এ বিষয়ে অভিযোগও করতে পারে।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
জুলাই বিপ্লবে আহত ১৪ জনকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো হচ্ছে : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
ভারতে নির্যাতনের ভিডিও বাংলাদেশের সা¤প্রতিক ঘটনা হিসেবে প্রচার
দাদাবাড়ি বেড়াতে এসে খুন হলো শিশু সাফওয়ান, আটক ২
নরসিংদীতে ভ্রাম্যমাণ আদালতকে লক্ষ্য করে বালুদস্যুদের গুলিবর্ষণ
নরসিংদীতে রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মানববন্ধন
রাঙামাটিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ
আখাউড়ায় মর্টার সেল উদ্ধার
রাজবাড়ীতে আ.লীগ দুই নেতা কারাগারে
কমলগঞ্জে ৮২ শতক সরকারি খাস জমি উদ্ধার
প্রিমিয়ার ভার্সিটি ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান হলেন চসিক মেয়র
কুষ্টিয়ায় প্লাইউড বোর্ড কারখানায় আগুন
বিএনপি নেতা কায়কোবাদের দারুল উলূম হাটহাজারীসহ বিভিন্ন মাদরাসা পরিদর্শন
মাদারীপুরে পদ্মা-আড়িয়াল খাঁ নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন অব্যাহত
গফরগাঁও সাবেক এমপি বাবেল গোলন্দাজ দম্পতির বিরুদ্ধে দুদকের ২ মামলা
ময়মনসিংহে পুলিশ রেঞ্জ কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টারের উদ্বোধন
নওফেল পরিবারের ২৫টি ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ
নিজ বাড়িতে ক্ষতিগ্রস্ত বন্ধুদের থাকার ব্যবস্থা করেছেন অ্যাঞ্জেলিনা জোলি
যুবদল নেতার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচারের অভিযোগ
ট্রাভেল ব্যান্ড হ্যালির ধুমকেতুর দুই গান
সঙ্গীত জগতে নকিব খানের ৫০ বছর