ট্রাম্পের সীমান্ত নিষেধাজ্ঞা নীতিতে অভিবাসীদের মধ্যে হতাশা
২২ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:১১ এএম | আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:১২ এএম
মেক্সিকো সীমান্তে আশ্রয়ের জন্য অপেক্ষমাণ অভিবাসীরা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কঠোর সীমান্ত নীতির কারণে গভীর হতাশায় নিমজ্জিত। বিশেষত, তারা বিভিন্ন মাদক চক্রের হত্যার হুমকি থেকে পালিয়ে এসেছেন, তাদের এখন আশ্রয়ের সুযোগ অনেকটাই বন্ধ হয়ে গেছে।
ক্ষমতা গ্রহণ করেই ট্রাম্প প্রশাসন তার প্রথম দিনেই গুরুত্বপূর্ণ নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন, যার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল সীমান্তে অবৈধ অভিবাসন এবং আশ্রয় প্রার্থীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া।ট্রাম্পের এসব আদেশের কারণে মেক্সিকো সীমান্তে আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য পরিস্থিতি আরও কঠিন হয়ে পড়েছে। বিশেষত, ট্রাম্পের সিদ্ধান্তে কার্টেলদের সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করা এবং সেনাবাহিনী ও ডিপোর্টেশনের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া অন্তর্ভুক্ত।
মার্কোস (ছদ্মনাম) নামে এক কিশোর, যিনি মেক্সিকোর মিচোঅ্যাকান থেকে পালিয়ে এসেছেন, তার জীবনের দুঃখজনক গল্প জানায় প্রতিবেদনে । তিনি জানান, মাত্র ১৬ বছর বয়সে তাকে একটি মাদক চক্রে জোর করে কাজে নিয়োগ করে তখন মৃত্যুর ভয় পেয়ে তিনি পালিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে আসেন। বর্তমানে, তিনি আশ্রয়ের জন্য মেক্সিকো সীমান্তের একটি আশ্রয় শিবিরে (শেল্টারে) অবস্থান করছেন, কিন্তু ট্রাম্পের নতুন আদেশের পর তার আশ্রয় পাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে পড়েছে।
মার্কোসের মতো অন্যান্য অভিবাসীরা আশঙ্কা করছেন যে, ট্রাম্পের কঠোর সীমান্ত নীতি তাদের জীবনে আরও বড় বিপদ এনে দেবে। মেক্সিকো সীমান্তের এক শরণার্থী, অরালিয়া, তার দুই সন্তানসহ গত সাত মাস ধরে এক তাবুতে বাস করছেন, এবং তার ছেলে কিছু চিকিৎসা সহায়তা চাচ্ছিলো, কিন্তু এখন তারও আশ্রয় পাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। তিনি বলছেন, “আমাদের ফিরে যেতে ছাড়া কোনো উপায় নেই, এবং ঈশ্বরের ওপর বিশ্বাস রাখতে হবে।”
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নতুন পদক্ষেপে, সীমান্তে অবস্থানরত অভিবাসীরা এখন আরও বড় বিপদের মধ্যে পড়েছে, যা তাদের পিছু হটতে বাধ্য করছে। যদিও ট্রাম্পের সমর্থকরা এসব পদক্ষেপকে নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার উপায় হিসেবে দেখছেন, কিন্তু অভিবাসীরা জানাচ্ছেন, তাদের মতো আশ্রয় প্রার্থীদের জন্য এমন কঠোর সিদ্ধান্ত অমানবিক। তথ্যসূত্র : বিবিসি
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
টঙ্গীবাড়ীতে হল্যান্ডের ড্যানিসপো কোম্পানির বীজ আলুর গাছ পরিদর্শনে ইউএনও
রাউজানে বড়ই সহ হরেক রকমের বাগান করে সফল মালিক শায়েস্তা খাঁন
৪ দিনের রিমান্ডে চট্টগ্রামের সাবেক এমপি নদভী
তল্লাশি চলছে বোমা হামলার হুমকি পাওয়া বিমানে
টেক্সটাইল ট্যালেন্ট হান্ট সিজন-৯ ন্যাশনাল কনফারেন্স অনুষ্ঠিত
গাজায় ৩ দিনে ঢুকেছে ২ হাজার ৪ শতাধিক ত্রাণবাহী ট্রাক : জাতিসংঘ
পুলিশের জন্য গোলাপি রঙের পোশাক চান সমন্বয়ক
ঢাবি এলাকায় গাছ থেকে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
এবার হত্যাচেষ্টা মামলায় রিমান্ডে পলক
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনুসের সঙ্গে পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্টের সাক্ষাৎ
আন্দোলনকারী মালয়েশিয়াগামীদের সরিয়ে দিলো পুলিশ
গান গাইতে গিয়ে হাসপাতালে মোনালী ঠাকুর
সুন্দরবন সংলগ্ন এলাকা থেকে অস্ত্র ককটেলসহ ২ দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসীকে আটক করেছে মোংলা কোস্ট গার্ড
ট্রাম্পের ৫০০ বিলিয়ন ডলারের ‘স্টারগেট’ প্রকল্প, এআই প্রযুক্তিতে বিপ্লব
এবার যুক্তরাষ্ট্রের কোস্টগার্ড প্রধানকে বরখাস্ত করলেন ট্রাম্প
টেকনাফে বিজিবির অভিযানে ৪লাখ ৫০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার
মার্কিন রাজনীতিতে উত্তরসূরির জন্য রেখে যাওয়া চিঠিতে ট্রাম্পকে যে বার্তা দিলেন বাইডেন
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্টের বৈঠক
জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের দায়িত্ব ছাড়লেন সারজিস আলম
নাটোরে অবৈধ কারখানায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ ভেজাল মৎস্য ঔষধ উদ্ধার