যুক্তরাষ্ট্রে জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব নিয়ে ট্রাম্পের আদেশে সাময়িক স্থগিতাদেশ
২৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:১০ এএম | আপডেট: ২৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:১১ এএম
যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও আইনি বিতর্কে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক দেয়া বেশকিছু নির্বাহী আদেশের কার্যক্রম নিয়ে। যুক্তরাষ্ট্রে গত ১২৭ বছর ধরে রীতি ছিল কেও যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে জন্মগ্রহণ করলে সে সেই দেশের নাগরিক। তবে গত সোমবার দ্বিতীয় দফায় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব নিয়েই নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে এটি বাতিল করেন।জন্মগত নাগরিকত্ব সংক্রান্ত আদেশ এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের ফলে দেশজুড়ে আলোচনা ও সমালোচনা তীব্র হয়েছে।
এই আদেশে বলা হয়, অবৈধ ও কাগজপত্র বিহীন অভিবাসীদের অনাগত সন্তানরা যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নিলেও; তারা আর স্বয়ংক্রিয় নাগরিকত্ব পাবে না। নাগরিকত্ব পেতে হলে বাবা অথবা মা যে কারও একজনকে মার্কিন নাগরিক হতে হবে। অথবা বৈধ কাগজপত্র থাকতে হবে।তবে দেশটির এক বিচারক ট্রাম্পের এই আদেশ অস্থায়ীভাবে আটকে দিয়েছেন। সিয়াটেল ভিত্তিক বিভাগীয় বিচারক জন কোগেনর টিকে ‘সংবিধান পরিপন্থি’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি ওয়াশিংটন, অ্যারিজোনা, ইলিনস এবং ওরিগেন রাজ্যের আবেদনের প্রেক্ষিতে এই রায় দেন। তবে ট্রাম্প জানিয়েছেন তিনি এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন।
এদিকে ট্রাম্পের এমন আদেশের পর যুক্তরাষ্ট্রে এইচ১বি ও এল-১ ভিসাধারী ভারতীয় গর্ভবতী নারীরা গণহারে সিজারের দিকে ঝুঁকছেন। তারা নির্দিষ্ট সময়ের আগেই সিজারের মাধ্যমে সন্তান প্রসবের চেষ্টা চালাচ্ছেন। যেন তাদের সন্তানরা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব পান। ট্রাম্প যে আদেশ দিয়েছেন সেটি আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর হবে। এই সময়ের আগেই গর্ভবতী ভারতীয়রা সিজার করানোর কথা ভাবছেন।
নতুন নিয়ম ফেব্রুয়ারি মাসে কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। তবে এক মার্কিন বিচারক এই আদেশকে "খোলাখুলি অসাংবিধানিক" বলে অভিহিত করে সাময়িকভাবে স্থগিত করেন। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ট্রাম্প আপিল করার ঘোষণা দেন।
এছাড়াও, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কয়েকটি আলোচিত পদক্ষেপ নেন। তিনি জন এফ কেনেডি, রবার্ট কেনেডি এবং মার্টিন লুথার কিং জুনিয়রের মৃত্যু-সংক্রান্ত নথি প্রকাশের আদেশ দেন। পাশাপাশি, ২৩ জন গর্ভপাতবিরোধী কর্মীকে ক্ষমা করেন এবং ওভাল অফিসে একাধিক নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন।
বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামে অংশগ্রহণকালে ডোনাল্ড ট্রাম্প কানাডার প্রতি মন্তব্য করে বলেন, যদি কানাডা যুক্তরাষ্ট্রের একটি রাজ্য হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়, তবে তারা শুল্ক থেকে মুক্তি পেতে পারে। এই বক্তব্যও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
এই ঘটনাগুলো ট্রাম্প প্রশাসনের প্রথম দিকের পদক্ষেপ এবং ভবিষ্যতে এর কী প্রভাব পড়বে, তা নিয়ে বিশ্লেষকরা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন। যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান ও আইন নিয়ে বিতর্কিত সিদ্ধান্তগুলো দেশকে নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলছে। শান্তিপূর্ণ সমাধান এবং সংবিধান মেনে পদক্ষেপ নেওয়ার গুরুত্ব এখন বিশেষভাবে অনুভূত হচ্ছে। তথ্যসূত্র : বিবিসি, রয়টার্স
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় অভিমুখে পদযাত্রা করবেন শিক্ষকরা
ওবায়দুল কাদেরের বোনের মৃত্যু
ক্যালিফোর্নিয়া থেকে 'ক্লাইমেট হেভেন' এ পাড়ি, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিবাসন
ঈশ্বরদীতে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের হামলায় সমন্বয়ক আহত, হত্যা চেষ্টা ব্যার্থ
শনিবার দ্বিতীয় দফায় ৪ ইসরাইলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস
নাটোরের গুরুদাসপুরে পৃথক দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য হওয়ার বিনিময়ে কানাডাকে যে প্রস্তাব দিলেন ট্রাম্প
সুপার সিক্সে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ যারা
কুষ্টিয়ার মিরপুরে হত্যা চেষ্টা মামলায় আটক ২
সর্বোচ্চ দায় স্বীকার করতে প্রস্তুত হাসনাত আবদুল্লাহ
ঢাকা প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ
বিশ্বজুড়ে জলবায়ু বিপর্যয়ে শিশুদের ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে: ইউনিসেফ
এবার মেডেল ফর ডিপ্লোম্যাটিক অ্যাওয়ার্ড পাচ্ছেন সউদী রাষ্ট্রদূত
সারাক্ষণ ভূমিকম্প অনুভব করি: পরীমণি
ঘণকুয়াশায় ৯ ঘন্টা পর আরিচা-কাজিরহাট এবং পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটের ফেরি সার্ভিস চালু হয়েছে
২৬ জানুয়ারি গুলশান-২ এলাকা এড়িয়ে চলার অনুরোধ
চীনে শুল্ক আরোপে ট্রাম্পের দ্বিধা, বিতর্কিত মন্তব্য ও কূটনৈতিক পদক্ষেপ
ঘোষিত হলো ৯৭ তম অস্কারের মনোনয়ন: দেখে নিন সম্পূর্ণ তালিকা
জুলাই বিপ্লবে আহত সাতজনকে পাঠানো হলো সিঙ্গাপুরে
জন কেনেডি, রবার্ট কেনেডি ও মার্টিন লুথার কিং হত্যার গোপন নথি প্রকাশের নির্দেশ ট্রাম্পের