একদিনে গাজার উত্তরে ফিরেছেন ৩ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনি
২৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:২০ এএম | আপডেট: ২৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:২৩ এএম
গত ১৯ জানুয়ারি ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর সোমবার গাজা উপত্যকায় ফিরেছেন ৩ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনি। গাজার জনসংযোগ দপ্তর এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “ইসরায়েলি বাহিনীর উত্তর গাজার এই বাসিন্দাদের বড় একটি অংশ এতদিন উপত্যকার দক্ষিন ও মধ্যাঞ্চলে আশ্রয় নিয়েছিলেন। ৪৭০ দিন পর নিজেদের বাড়িতঘরে ফিরছেন তারা।”
ইসরায়েলি বাহিনীর বোমায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া উত্তর গাজায় এখন কোনো বাড়িঘরই অক্ষত নেই। কিন্তু তারপরও প্রায় ১৫ মাস পর নিজেদের এলাকায় ফিরতে পেরে উচ্ছ্বসিত উত্তর গাজার বাসিন্দারা। দক্ষিণ গাজা থেকে উত্তরে যাত্রা করা এই মানুষগুলো ফিরে পেয়েছেন কেবল ধ্বংসস্তূপ আর অনিশ্চয়তা। জাতিসংঘ সতর্ক করেছে যে, মাটিতে প্রয়োজনীয়তার পরিমাণ অপ্রতিরোধ্য এবং অবস্থা আরও ভয়াবহ হতে পারে।
সোমবার সকাল থেকেই নেৎজারিম করিডোর দিয়ে উত্তর গাজায় আসতে শুরু করেন হাজার হাজার ফিলিস্তিনি। অনেকেই ঘোড়া কিংবা গাধার গাড়িতে নিজেদের মালপত্র নিয়ে আসেন। উত্তর গাজার কেন্দ্রীয় শহর গাজা সিটির প্রধান সড়কের একটি ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের সামনে ‘গাজায় স্বাগতম’ লেখা ব্যানার টাঙানো ছিল এ সময়।
উত্তর গাজার বাসিন্দা ২২ বছরের তরুণী লামিস আল ইওয়াদি দীর্ঘদিন পর নিজ এলাকায় ফিরতে পেরে খুবই আনন্দিত। এএফপিকে তিনি বলেন, “আজকের দিনটি আমার জীবনের সবচেয়ে সুখের দিন। আমার মনে হচ্ছে— এতদিন আমি মৃত ছিলাম; আজ আমার দেহে ফের জীবন এবং আত্মা ফিরে এসেছে।”
চারিদিকে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা ধ্বংস্তূপ তাকে হতাশ করতে পারেনি। এএফপিকে লামিস বলেন, “আমরা আবার আমাদের ঘরবাড়ি তৈরি করব। এমনকি যদি শুধু বালি আর কাদা দিয়ে তৈরি করতে হয়, তবুও।” গাজায় হামাসের এক মুখপাত্র এএফপিকে জানিয়েছেন, উত্তর গাজায় ফিরে আসা এই বাড়িঘর হারানো এই ফিলিস্তিনিদের সাময়িক আশ্রয় হিসেবে অন্তত ১ লাখ ৩৫ হাজার তাঁবু প্রয়োজন।
২০২৩ সালের ৭ আগস্ট ইসরায়েলের ভূখণ্ডে হামাসের নজিরবিহীন হামলার পর সেদিন থেকেই গাজা উপত্যকায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী। টানা ১৫ মাস ধরে চলা সে অভিযানে নিহত হয়েছেন ৪৭ হাজার ৩ শতাধিক ফিলিস্তিনি, আহত হয়েছেন আরও ১ লাখ ১২ হাজার জন এবং গাজার বিভিন্ন এলাকা থেকে বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয় খুঁজতে বাধ্য হয়েছেন লাখ লাখ ফিলিস্তিনি।
যুক্তরাষ্ট্র, কাতার এবং মিসরের ব্যাপক ও বিস্তৃত কূটনৈতিক তৎপরতার জেরে গত ১৯ জানুয়ারি থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে গাজায়। গাজার বাস্তুচ্যুত বাসিন্দারাও ফেরা শুরু করেছেন।
গাজার পরিস্থিতি ক্রমেই ভয়াবহ হচ্ছে। মানবিক সাহায্য এবং শান্তির জন্য আন্তর্জাতিক পদক্ষেপের এখন জরুরি প্রয়োজন। ধ্বংসস্তূপের মধ্যে বেঁচে থাকার লড়াই চালিয়ে যাওয়া এই মানুষদের জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়ের সক্রিয় ভূমিকা নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তথ্যসূত্র : এএফপি,আনাদোলু এজেন্সি, আল-জাজিরা
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
সরকারের সমর্থন ছাড়া ব্যাংক লুটপাট করা সম্ভব হতো না: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
শিল্পে উৎপাদন খাতের অবদান কমেছে
জাতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা না করলে রাজনীতির অধিকার হারাবে শিবির: ছাত্রদল
ভারতে কুম্ভ মেলায় পদদলিত হয়ে প্রায় ৪০ জনের মৃত্যু
কারিগরির সাড়ে ৩ হাজার জনবল নিয়োগে কোনো বাঁধা নেই
স্ত্রীসহ ইভ্যালির রাসেলের দুই বছরের কারাদণ্ড
আদালতের পৃথক নিরাপত্তা বাহিনী গঠনের দাবি বিচারকদের
সমন্বিত অনলাইন সত্যায়ন ব্যবস্থাপনার উদ্বোধন সাশ্রয় হবে ৫শ’ থেকে ৭শ’ কোটি টাকা
আওয়ামী লীগের অপকর্ম জাতির সামনে তুলে ধরতে হবে : নাসের রহমান
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্ত্রী-সন্তানকে হত্যায় ঘাতকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
নেতারা 'পলাতক', কীভাবে হরতাল-অবরোধ পালন করবে আওয়ামী লীগ?
হায়ার পার্টনার্স মিট ২০২৫ এ ট্রিপল সম্মাননায় ভূষিত টিভি হাট
ডাকসু নির্বাচনে কারচুপি পুনঃতদন্ত চেয়ে ঢাবি উপাচার্যকে স্মারকলিপি
মস্কোর কাছে আসাদকে ফেরত চাইলেন আল-শারা
দেশের বাজারে আরো বাড়ল সোনার দাম
ভূমি ও নদী দখল
বিদেশগামী কর্মীদের দক্ষতা অর্জনে গুরুত্বারোপ রাবিডের সেমিনারে নেতৃবৃন্দ
আইসিটি খাতের সম্ভাবনা কাজে লাগাতে হবে
গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে চরমোনাইর পীরের দল
আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের ৮ সদস্যের দল