৫ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনি গাজায় ফিরেছে

Daily Inqilab অনলাইন ডেস্ক

৩০ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭:৪১ এএম | আপডেট: ৩০ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:১৩ এএম

 

যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর গত ৭২ ঘণ্টায় ৫ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনি উত্তর গাজায় ফিরে এসেছেন বলে জানিয়েছে গাজার মিডিয়া অফিস।

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে যে গত ৭২ ঘণ্টায় পাঁচ লাখেরও বেশি বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি আল-রশিদ এবং সালাহ আল-দিন রাস্তা দিয়ে গাজার উত্তরাঞ্চলীয় গভর্নরেটে ফিরে এসেছেন।’

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ‘গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি দখলদার সেনাবাহিনী কর্তৃক গণহত্যা শুরুর পর থেকে ৪৭০ দিনের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির সময় পার করে তারা নিজ এলাকায় ফিরেছেন।

উত্তর গাজার এই বাসিন্দাদের বড় একটি অংশ এতদিন ইসরাইলি বাহিনীর হামলার জেরে উপত্যকার দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চলে আশ্রয় নিয়েছিলেন।

আল-জাজিরা আরো জানিয়েছে যে- উত্তর গাজায় পানি, খাবার, আশ্রয় বা স্যানিটেশনের কোনো ব্যবস্থা না পেয়ে কিছু প্রত্যাবর্তনকারী ছিটমহলের কেন্দ্রস্থলে ফিরে যাচ্ছেন।

উল্লেখ্য, ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় এক বছরের বেশি সময় ধরে হামলা চালিয়ে আসছে ইসরাইল। দেশটির অব্যাহত এ হামলায় সৃষ্ট ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কার করতে অন্তত ১৫ বছর সময় লাগবে। এজন্য প্রতিদিন ১০০টি লরি ব্যবহার করতে হবে।

জাতিসঙ্ঘের হিসাব মতে, গাজায় ভবন ধসে এ পর্যন্ত ৪২ মিলিয়ন টনেরও বেশি ধ্বংসস্তূপ জমা হয়েছে। এ ধ্বংসস্তূপগুলো যদি একসাথে এক জায়গায় রাখা যায়, তাহলে তা মিসরের ১১টি গ্রেট পিরামিডের সমান হবে। এ ধ্বংসস্তূপ সরাতে ব্যয় হবে ৫০০ থেকে ৬০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (বাংলাদেশী মুদ্রায় ৭ হাজার কোটি টাকার বেশি)।

ইউএন এনভায়রনমেন্ট প্রোগ্রামের হিসাব অনুসারে, গাজায় ১ লাখ ৩৭ হাজার ২৯৭টি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যা অঞ্চলটির মোট ভবনের অর্ধেকের বেশি। ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের মধ্যে এক-চতুর্থাংশ পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। এ ছাড়া এক-দশমাংশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং এক-তৃতীয়াংশ বেশ খানিকটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব ভবনের ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে ফেলার জন্য ২৫০ থেকে ৫০০ হেক্টর জমির প্রয়োজন পড়বে। সূত্র : আল-জাজিরা


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

হাসিনাকে বাংলাদেশে এনে বিচার করা অন্তর্বর্তী সরকারের মূল লক্ষ্য : প্রেস সচিব

হাসিনাকে বাংলাদেশে এনে বিচার করা অন্তর্বর্তী সরকারের মূল লক্ষ্য : প্রেস সচিব

বাউনিয়া খালে পরিচ্ছন্নতা অভিযান

বাউনিয়া খালে পরিচ্ছন্নতা অভিযান

উত্তরায় রামদা নিয়ে দম্পতির ওপর হামলা

উত্তরায় রামদা নিয়ে দম্পতির ওপর হামলা

কোন নির্দিষ্ট গোষ্ঠীকে সন্তুষ্ট করতে অন্তর্বর্তী সরকার আসেনি : ড. মঈন খান

কোন নির্দিষ্ট গোষ্ঠীকে সন্তুষ্ট করতে অন্তর্বর্তী সরকার আসেনি : ড. মঈন খান

পাসপোর্ট করতে লাগবে না পুলিশ ভেরিফিকেশন পরিপত্র জারি

পাসপোর্ট করতে লাগবে না পুলিশ ভেরিফিকেশন পরিপত্র জারি

দশম শ্রেণির শিক্ষাপঞ্জিতে পরিবর্তন

দশম শ্রেণির শিক্ষাপঞ্জিতে পরিবর্তন

একাই সাতজনের কব্জি কেটে বিচ্ছিন্ন করে আনোয়ার : র‌্যাব

একাই সাতজনের কব্জি কেটে বিচ্ছিন্ন করে আনোয়ার : র‌্যাব

আল্লাহ ব্যতীত জামায়াত কারো কাছে মাথানত করে না : জামায়াত আমির

আল্লাহ ব্যতীত জামায়াত কারো কাছে মাথানত করে না : জামায়াত আমির

ডিসিদের আইন অনুযায়ী চলতে বললেন ড. আসিফ নজরুল

ডিসিদের আইন অনুযায়ী চলতে বললেন ড. আসিফ নজরুল

শিখদের পাগড়ি খুলে ডাস্টবিনে ফেলা হয়

শিখদের পাগড়ি খুলে ডাস্টবিনে ফেলা হয়

পাকিস্তানে নিরাপত্তা রক্ষীসহ নিহত ২

পাকিস্তানে নিরাপত্তা রক্ষীসহ নিহত ২

ক্রিপ্টোর দরপতনে অভিশংসনের মুখে

ক্রিপ্টোর দরপতনে অভিশংসনের মুখে

তরুণীর পকেটে মোবাইল বিস্ফোরণ

তরুণীর পকেটে মোবাইল বিস্ফোরণ

জামায়াত নেতা আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবিতে কক্সবাজারে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল

জামায়াত নেতা আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবিতে কক্সবাজারে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল

পোপ ফ্রান্সিস শারীরিক জটিলতায় হাসপাতালে

পোপ ফ্রান্সিস শারীরিক জটিলতায় হাসপাতালে

মুসলিম নামযুক্ত ৫৪ গ্রামের নাম পরিবর্তন নিয়ে তোলপাড় ভারতে

মুসলিম নামযুক্ত ৫৪ গ্রামের নাম পরিবর্তন নিয়ে তোলপাড় ভারতে

গুলিতে আহতের পর জানা গেল ইসরাইলি

গুলিতে আহতের পর জানা গেল ইসরাইলি

পরবর্তী চ্যান্সেলর হতে চান জার্মানির চার প্রার্থী

পরবর্তী চ্যান্সেলর হতে চান জার্মানির চার প্রার্থী

জন্মের আগেই নির্ধারণ করা যাবে ক্যানসারের ঝুঁকি

জন্মের আগেই নির্ধারণ করা যাবে ক্যানসারের ঝুঁকি

বলিভিয়ায় ৮০০ মিটার নিচে বাস, নিহত ৩১

বলিভিয়ায় ৮০০ মিটার নিচে বাস, নিহত ৩১