ট্রাম্পের নতুন নীতির প্রভাবের ফলে আফগান শরনার্থী সহায়তা বন্ধ
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:১৩ পিএম | আপডেট: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:১৮ পিএম

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিবাসন নীতির ফলে আফগান শরণার্থীদের পুনর্বাসন কার্যক্রমে বড় ধরনের বাধার সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে, যেসব আফগান নাগরিক মার্কিন বাহিনীর সহযোগী হিসেবে কাজ করেছেন, তাদের পুনর্বাসন নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে। ট্রাম্প প্রশাসনের নির্বাহী আদেশের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের শরণার্থী কর্মসূচি (USRAP) স্থগিত হওয়ায় বহু আফগান আটকে পড়েছেন।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পর তালেবান সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে অনেক আফগান নাগরিকের জীবন ঝুঁকির মুখে পড়ে। তাদের মধ্যে অনেকেই যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করেন, বিশেষ করে যাঁরা মার্কিন সেনাদের সহযোগী ছিলেন। ২০২৩ সালে রুকিয়া বালখি নামে এক আফগান প্রকৌশলী যুক্তরাষ্ট্রে এসে পুনর্বাসনের সুবিধা পান। কিন্তু ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে তার স্বামী মোহাম্মদ আরেফ মানগাল যুক্তরাষ্ট্রে আসার পর, নতুন নীতির কারণে তিনি কোনো ধরনের সহায়তা পাননি।
ট্রাম্পের অভিবাসন নীতির কারণে বিশেষ অভিবাসন ভিসা (SIV) প্রক্রিয়াও বাধাগ্রস্ত হয়েছে, যা মার্কিন বাহিনীর সহযোগীদের যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে আসার অন্যতম উপায়। তদুপরি, বিদেশি সহায়তা বন্ধ করে দেওয়ায় কাতার ও আলবেনিয়ার মতো দেশে আশ্রয় নেওয়া আফগানদের মানবিক সহায়তা ব্যাহত হয়েছে। এর ফলে, আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (IOM) পরিচালিত পুনর্বাসন ফ্লাইটও বন্ধ হয়ে গেছে, যা বহু আফগান শরণার্থীর জন্য জীবন-মরণ সমস্যা সৃষ্টি করেছে।
সাম্প্রতিক এক জরিপে দেখা গেছে, মার্কিন সেনাবাহিনীর বেশিরভাগ সাবেক সদস্যই আফগান সহযোগীদের পুনর্বাসনের পক্ষে। রিপাবলিকান প্রশাসনেও এই বিষয়ে কিছু সমর্থন রয়েছে, বিশেষত সাবেক সেনা সদস্যরা এই প্রক্রিয়াকে "জাতীয় সম্মান" হিসেবে দেখছেন। তবে ট্রাম্প প্রশাসনের কট্টর অভিবাসন নীতির প্রবক্তা স্টিফেন মিলারের উপস্থিতি অনেককে হতাশ করেছে। বিশ্লেষকদের মতে, যদি প্রশাসন নীতিতে পরিবর্তন না আনে, তবে এটি যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বস্ত সহযোগীদের প্রতি এক বড় আঘাত হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের জন্য এটি শুধু মানবিকতার প্রশ্ন নয়, বরং জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়ও। আফগান সহযোগীদের প্রতি প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা কেবল নৈতিক দায়িত্বই নয়, বরং ভবিষ্যতে যুদ্ধক্ষেত্রে মিত্রদের আস্থা বজায় রাখার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। এখন দেখার বিষয়, ট্রাম্প প্রশাসন এই বিষয়ে নতুন কোনো পদক্ষেপ নেয় কি না। তথ্যসূত্র : আল-জাজিরা
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

৫৯ মিলিয়ন ডলারের ‘ভাইরাল বর’ এবার ৯৯ বছরের কারাদণ্ডের মুখোমুখি

বিডিআর হত্যাকাণ্ড নিয়ে তথ্য দিতে গণবিজ্ঞপ্তি

বিএনপির ভোটের অধিকারের আন্দোলন এখনও শেষ হয়নি: মীর শাহে আলম

বেভারেজ পণ্যে কর কমানোর প্রস্তাব অ্যামচেমের এনবিআরের ‘না’

ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিবেদন জেনেভায় উপস্থাপন

মব তৈরি করছে আতঙ্ক-উদ্বেগ

বিএনপি নেতা সামাদের লাশ কাঁধে নিলেন হাসনাত আব্দুল্লাহ

শেখ হাসিনার বিচার ও নির্বাচনের মধ্যে কোন সম্পর্ক নেই: আমীর খসরু

ভারত-পাকিস্তান থেকে দেশে এসেছে ৩৭ হাজার টন চাল

আশুলিয়ায় সাংবাদিককে হত্যার হুমকি, শ্রমিক নেতার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ

এমপিওভুক্ত হতে যাচ্ছেন ইবতেদায়ী মাদরাসার ৬ হাজারের বেশি শিক্ষক

ইউক্রেনকে আর গোয়েন্দা তথ্য দেবে না যুক্তরাষ্ট্র

রাস্তা সংস্কার চাই

গণতন্ত্র চাইলে রাজনৈতিক দলগুলোকে গণতন্ত্রী হতে হবে

জিয়াউল আহসান আমাকে হত্যার জন্য বিষাক্ত ইনজেকশন পুশ করেছিল

মব জাস্টিস রুখতে হবে

প্রশ্ন: রমজানে সুস্থতার জন্য রোজার ভূমিকা কী?

মাতৃভাষায় দ্বীনি দাওয়াত

হযরত মালেক শাহ (রহ.)-এর আধ্যাত্মিক দিগন্ত

রমজান: আত্মযাচাই