যুক্তরাষ্ট্রে বিতর্কিত নাইট্রোজেন গ্যাস দিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

Daily Inqilab ইনকিলাব ডেস্ক

১৯ মার্চ ২০২৫, ০২:৪৯ পিএম | আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০২:৫৪ পিএম

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রথমবারের মতো লুইসিয়ানা রাজ্যে নাইট্রোজেন গ্যাস ব্যবহার করে একজন বন্দীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। এর আগে কেবল প্রতিবেশী আলাবামায় এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছিল। জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞরা এই পদ্ধতিকে ‘নির্যাতনের শামিল’ বলে অভিহিত করেছেন।

 

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) লুইসিয়ানা রাজ্যে ৪৬ বছর বয়সী জেসি হফম্যানের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। ১৯৯৬ সালে মেরি ‘মলি’ এলিয়টকে অপহরণ, ধর্ষণ এবং হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হন তিনি। এটি লুইসিয়ানায় ১৫ বছরের মধ্যে প্রথম মৃত্যুদণ্ড কার্যকর। নতুন পদ্ধতি ব্যবহারের ফলে এটি বিশ্বজুড়ে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে।

 

স্থানীয় গণমাধ্যম জানায়, হফম্যানের আইনজীবীরা মৃত্যুদণ্ড স্থগিতের জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন, তবে তা খারিজ হয়। আইনজীবী সেসেলিয়া ক্যাপেল অভিযোগ করেন যে, মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের তারিখ গোপনীয়তার মধ্যে নির্ধারণ করা হয়েছিল এবং যথাযথ বিচারিক পর্যালোচনা এড়ানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। তবে রাজ্য কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি নিশ্চিত করেনি।

 

এই সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে আরও তিনটি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার কথা রয়েছে। বুধবার অ্যারিজোনায় এবং বৃহস্পতিবার ফ্লোরিডা ও ওকলাহোমায় প্রাণঘাতী ইনজেকশনের মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হবে। বছরের শুরু থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ছয়টি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে, যার মধ্যে আলাবামায় নাইট্রোজেন ইনহেলেশনের মাধ্যমে একটি এবং দক্ষিণ ক্যারোলিনায় ফায়ারিং স্কোয়াডের মাধ্যমে একটি সম্পন্ন হয়।

 

বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি রাজ্যের মধ্যে ২৩টি মৃত্যুদণ্ড বাতিল করেছে এবং ছয়টি রাজ্যে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ওপর স্থগিতাদেশ রয়েছে। ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে আলাবামায় নাইট্রোজেন ইনহেলেশনের মাধ্যমে প্রথম মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার পর থেকেই এ পদ্ধতি বিতর্কিত হয়ে উঠেছে। মৃত্যুদণ্ডের এই নতুন পদ্ধতি মানবাধিকারের দৃষ্টিকোণ থেকে কতটা গ্রহণযোগ্য, তা নিয়ে বিতর্ক চলছেই। তথ্যসূত্র : এপি

 

 


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত মার্কিন বিচারকরা
এবার মার্কিন শিক্ষা বিভাগই তুলে দিতে যাচ্ছেন ট্রাম্প
সবচেয়ে সুখী দেশ ফিনল্যান্ড
যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে নতুন নির্দেশনা জার্মানির
ছত্তিসগড়ে সংঘর্ষ, ২২ মাওবাদী ও ১ পুলিশ নিহত
আরও
X

আরও পড়ুন

আনোয়ারায় বিএনপি'র মিছিলে হামলার মামলায় আটক ২

আনোয়ারায় বিএনপি'র মিছিলে হামলার মামলায় আটক ২

ভারতের পরিকল্পনায় ক্যান্টনমেন্ট থেকে আ'লীগকে ফেরানোর ষড়যন্ত্র: যে ভয়ঙ্কর তথ্য দিলেন হাসনাত

ভারতের পরিকল্পনায় ক্যান্টনমেন্ট থেকে আ'লীগকে ফেরানোর ষড়যন্ত্র: যে ভয়ঙ্কর তথ্য দিলেন হাসনাত

স্ত্রী-ছেলেসহ রনজিত ৭৯ বিঘা জমি জব্দ, ১৩৭ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

স্ত্রী-ছেলেসহ রনজিত ৭৯ বিঘা জমি জব্দ, ১৩৭ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত মার্কিন বিচারকরা

নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত মার্কিন বিচারকরা

মাদক মামলায় নারীসহ একই পরিবারের ৩ পলাতক আসামি গ্রেফতার

মাদক মামলায় নারীসহ একই পরিবারের ৩ পলাতক আসামি গ্রেফতার

এবার মার্কিন শিক্ষা বিভাগই তুলে দিতে যাচ্ছেন ট্রাম্প

এবার মার্কিন শিক্ষা বিভাগই তুলে দিতে যাচ্ছেন ট্রাম্প

সবচেয়ে সুখী দেশ ফিনল্যান্ড

সবচেয়ে সুখী দেশ ফিনল্যান্ড

যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে নতুন নির্দেশনা জার্মানির

যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে নতুন নির্দেশনা জার্মানির

ঈদযাত্রায় রেলে বাড়বে কোচ

ঈদযাত্রায় রেলে বাড়বে কোচ

বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের শাস্তি সাত বছর কারাদণ্ড

বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের শাস্তি সাত বছর কারাদণ্ড

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে ঢাকায় জামায়াতের বিক্ষোভ

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে ঢাকায় জামায়াতের বিক্ষোভ

ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন হলে দেশ সঠিক পথে থাকবে : আমীর খসরু

ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন হলে দেশ সঠিক পথে থাকবে : আমীর খসরু

শাহতলী পীর সাহেব মাওলানা আবুল বাশারের দাফন সম্পন্ন

শাহতলী পীর সাহেব মাওলানা আবুল বাশারের দাফন সম্পন্ন

ঐকমত্য কমিশনের ৪২ প্রস্তাবে একমত নয় এলডিপি

ঐকমত্য কমিশনের ৪২ প্রস্তাবে একমত নয় এলডিপি

৯৬টি নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন বাতিলে চূড়ান্ত অনুমোদন

৯৬টি নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন বাতিলে চূড়ান্ত অনুমোদন

পরিবেশগত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করবে বাংলাদেশ-নেপাল

পরিবেশগত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করবে বাংলাদেশ-নেপাল

সাবেক সেনা কর্মকর্তা-আমলাদের নিয়ে নতুন দলের আত্মপ্রকাশ

সাবেক সেনা কর্মকর্তা-আমলাদের নিয়ে নতুন দলের আত্মপ্রকাশ

সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচনের পক্ষে জামায়াতের মত

সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচনের পক্ষে জামায়াতের মত

মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে প্রস্তুত হচ্ছে জাতীয় স্মৃতিসৌধ

মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে প্রস্তুত হচ্ছে জাতীয় স্মৃতিসৌধ

জিএম কাদেরের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু

জিএম কাদেরের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু