ডব্লিউটিওতে যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক সহায়তা বাতিল
২৮ মার্চ ২০২৫, ০১:২৭ পিএম | আপডেট: ২৮ মার্চ ২০২৫, ০১:২৭ পিএম

যুক্তরাষ্ট্র এবার বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) থেকে আর্থিক সহায়তা বন্ধ করেছে। এটি ট্রাম্প প্রশাসনের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্ত হিসেবে দেখা যাচ্ছে, যেখানে তারা সরকারের ব্যয় কমানোর লক্ষ্যে বেশ কিছু আন্তর্জাতিক সংস্থায় সহায়তা বন্ধ করেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বিভিন্ন সূত্র, যা ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের কাছে একাধিক খবরের মাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে।
এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে মূলত সরকারি ব্যয়ের কাঁটছাঁটের জন্য, যেখানে ট্রাম্প প্রশাসন "আমেরিকা ফার্স্ট" নীতি অনুসরণ করছে। এর আগে, ২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্র ডব্লিউটিওর বিচারকদের নিয়োগেও বাধা দিয়েছিল, যা সেই সময় সংস্থাটির কার্যক্রমে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছিল। তবে, এবার প্রথমবারের মতো, ডব্লিউটিওকে আর্থিক সহায়তা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
ডব্লিউটিওর ২০২৪ সালের বার্ষিক বাজেট ছিল ২০৫ মিলিয়ন সুইস ফ্রাঙ্ক (প্রায় ২৩২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার)। সংস্থাটির তথ্যানুযায়ী, বিশ্ব বাণিজ্যের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র ১১ শতাংশ অর্থ প্রদান করবে। গত ৪ মার্চ ডব্লিউটিওর বাজেট সভায় মার্কিন প্রতিনিধিরা জানিয়ে দেন, আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর জন্য অর্থ প্রদান স্থগিত রাখা হয়েছে যতদিন না পর্যালোচনা করা হয়। তবে, পর্যালোচনা কখন শেষ হবে তা নিয়ে কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়নি।
এদিকে, ট্রাম্প প্রশাসন আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোতে অর্থ প্রদান বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্তের পর, ডব্লিউটিও জানায় যে তারা প্ল্যান বি অনুযায়ী কাজ করবে। এমনকি, এই সিদ্ধান্তের কারণে ডব্লিউটিওর কার্যক্রমে কিছু সীমাবদ্ধতা তৈরি হতে পারে, তবে সংস্থা এটি মোকাবিলা করার উপায় খুঁজে বের করার পরিকল্পনা করছে।
স্টেট ডিপার্টমেন্টের একজন মুখপাত্র জানান, গত মাসে ট্রাম্প নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন। এতে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর কার্যক্রম আমেরিকার স্বার্থের পরিপন্থি কিনা তা যাচাই করতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওকে ১৮০ দিনের সময় দেওয়া হয়েছে। এই পর্যালোচনা চলাকালীন, ডব্লিউটিওসহ অন্যান্য সংস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক সহায়তা বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
ডব্লিউটিওর মুখপাত্র ইসমালিয়া দিয়েঞ্জ বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা বন্ধের কারণে সংস্থার কার্যক্রমে বেকায়া সৃষ্টি হয়েছে, তবে সংস্থা এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পরিকল্পনা করছে। তাদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের বকেয়া অর্থ পরিশোধ না হলে, সংস্থা সদস্য দেশকে শ্রেণিভুক্ত করতে পারে এবং পরবর্তী সময়ে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে, ডব্লিউটিওর ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের বকেয়া ছিল ২৫ দশমিক ৭০ মিলিয়ন সুইস ফ্রাঙ্ক (২২ দশমিক ৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার)। এটি যদি পরিশোধ না করা হয়, তবে ডব্লিউটিও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে। তথ্যসূত্র : রয়টার্স
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

ভয়াবহ ভূমিকম্পের আশঙ্কা জাপানে, ৩ লাখ মানুষের মৃত্যু হতে পারে

চুয়াডাঙ্গায় ডিসকাউন্ট নিয়ে বিরোধ, সিঙ্গার শোরুমে মারধর; ছাত্রদল নেতা মোমিন মালিতার বিরুদ্ধে জিডি

বন্দরে গণমাধ্যম কর্মীকে কুপিয়ে জখম, বিএনপি অফিস ভাংচুর

নারায়ণগঞ্জ বন্দরে ৪ ও ৫ এপ্রিল সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অষ্টমী স্নানোৎসব

ভারতে প্রশিক্ষণ প্লেন বিধ্বস্ত, পাইলট আহত

জুলাই কন্যাদের সম্মানজনক মার্কিন পুরস্কার, যা বলছে যুক্তরাষ্ট্র

সাভারে বিএনপি নেতা খোরশেদ আলমকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ, আটক ২

শহীদের স্বীকৃতি পেলেন সেই যুবক, পরিবার পেল ১০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র

দাউদকান্দিতে চাঁদাবাজির অভিযোগে বিএনপি নেতাকে অব্যাহতি

বকশীগঞ্জে যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ

ছুটির দিনেও ঢাকার বাতাস ‘অস্বাস্থ্যকর’

নিউইয়র্কে আয়োজিত হবে 'বাংলাদেশ ডে প্যারেড-২০২৫'

হাতিয়ায় সংঘাত বন্ধে শপথ করালেন এনসিপি নেতা হান্নান মাসউদ

ঈদের দিন ছুটি কাটিয়ে মেট্রোরেল ও আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল শুরু

বিভিন্ন অঞ্চলে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস

শান্তিপূর্ণ ঈদ উদযাপনে সেনাবাহিনীর কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা

রাজধানীর বংশালে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ৬

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ৮০ ফিলিস্তিনি

ইসরাইলি অর্থমন্ত্রীর পদত্যাগ

গোদাগাড়ীতে ব্যতিক্রমধর্মী অনুষ্ঠান করে প্রশাংসায় ভাসছেন ইউএনও