ইসরাইলে ২০ হাজার অ্যাসল্ট রাইফেল পাঠাচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন
০৫ এপ্রিল ২০২৫, ১০:২৪ এএম | আপডেট: ০৫ এপ্রিল ২০২৫, ১০:২৭ এএম

যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের সামরিক সহযোগিতা দীর্ঘদিনের। তবে, সম্প্রতি এই সহযোগিতার একটি নতুন ধাপ আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। কারণ, ট্রাম্প প্রশাসন ইসরাইলের কাছে ২০ হাজারেরও বেশি আধুনিক অ্যাসল্ট রাইফেল বিক্রির প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়েছে। এই অস্ত্রগুলোর ব্যবহার নিয়ে রয়েছে নানা প্রশ্ন এবং রাজনৈতিক বিতর্ক। বিষয়টি সামনে এসেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের মাধ্যমে।
২০২৫ সালের মার্চ মাসে, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর কংগ্রেসে একটি নোটিফিকেশন পাঠায়। এতে উল্লেখ করা হয়, ২৪ মিলিয়ন ডলারে ৫.৫৬ মিলিমিটার ক্যালিবারের সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় কোল্ট কারবাইন রাইফেল বিক্রির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই রাইফেলগুলো ইসরাইলি ন্যাশনাল পুলিশ ব্যবহার করবে। বাইডেন প্রশাসনের সময় এই বিক্রির প্রক্রিয়া স্থগিত রাখা হয়েছিল, কারণ উদ্বেগ ছিল যে এসব অস্ত্র হয়তো উগ্রপন্থি বসতি স্থাপনকারীদের হাতে চলে যেতে পারে। তারা অধিকৃত পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের ওপর সহিংস হামলায় জড়িত—এমন অভিযোগও রয়েছে।
রয়টার্সের হাতে আসা সরকারি নথিতে বলা হয়েছে, এই অস্ত্র বিক্রির প্রস্তাব তুলনামূলকভাবে ছোট হলেও বিষয়টি সংবেদনশীল সময়কে ঘিরে এসেছে। কারণ, পশ্চিম তীরে সহিংসতার পরিপ্রেক্ষিতে বাইডেন প্রশাসন একাধিক ইসরাইলি ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসন চলতি বছরের ২০ জানুয়ারি দায়িত্ব নেওয়ার পরেই একটি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে এসব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়। এরপর থেকেই ইসরাইলের কাছে আবারও বড় পরিমাণে অস্ত্র সরবরাহ শুরু হয়। এদিকে, এই রাইফেলগুলো কীভাবে ও কোথায় ব্যবহার হবে, তা নিয়ে ইসরাইল সরকারের কাছ থেকে কোনো নিশ্চয়তা আদায় করা হয়েছে কিনা—সে বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর রয়টার্সের প্রশ্নের উত্তর দেয়নি।
এই অস্ত্রগুলো ইসরাইলি পুলিশের হাতে পড়লেও আশঙ্কা রয়েছে যে, এগুলোর কিছু হয়তো বসতি স্থাপনকারীদের কাছে পৌঁছাবে। এর আগে বহুবার দেখা গেছে, এ ধরনের আধুনিক অস্ত্র দিয়ে তারা ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর হামলা চালিয়েছে। ফলে, মানবাধিকার লঙ্ঘনের আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে। যদিও মার্কিন সরকার জানিয়েছে, তারা রাজনৈতিক, সামরিক, অর্থনৈতিক, মানবাধিকার ও অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের দিকগুলো বিবেচনায় নিয়েই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
পশ্চিম তীরসহ গোটা মধ্যপ্রাচ্যে চলমান উত্তেজনার মধ্যে এমন অস্ত্র সরবরাহ নতুন করে বিতর্ক তৈরি করেছে। যেখানে আন্তর্জাতিক মহল শান্তি প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানাচ্ছে, সেখানে বড় পরিসরে অস্ত্র বিক্রি সেই প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। তাই ভবিষ্যতের জন্য শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিতে কূটনৈতিক সংলাপ ও মানবাধিকারের প্রতি অঙ্গীকারই হওয়া উচিত অগ্রাধিকার। তথ্যসূত্র : মিডল ইস্ট মনিটর
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

রামুতে সা,কা চৌধুরীর বিরোদ্ধে মানবতা বিরোধী সাজানো মামলায় স্বাক্ষ্যদানকারী আটক

রাজবাড়ীতে ছেলে-পুত্রবধূর নির্যাতন ট্রেনের নিচে ঝাপ দিয়ে মায়ের আত্মহননের চেষ্টা

পাঁচবিবিতে ১লা বৈশাখ উদযাপন উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসনের প্রস্তুতি সভা

দাউদকান্দিতে ট্রাক ও কাভার্ডভ্যানের সংঘর্ষে নিহত ২

ড. ইউনূস এর অনুরোধেই কি ট্রাম্প ৯০ দিন পেছালো শুল্ক আরোপ!

মেঘবালিকা'য় দর্শক মুগ্ধ,ভিউ সাড়ে ছয় মিলিয়ন

রায়পুরে দু'গ্রুপের সংঘর্ষ-হত্যার ঘটনায় মামলা, বিএনপির ১৫ নেতাকর্মী বহিষ্কার

ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলার ঘটনায় ৮শ' জনকে আসামী করে মামলা

সারা দেশের ন্যায় কলাপাড়ায় এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু

ভারতের মত অন্য কোনও দেশ বাংলাদেশের এতটা মঙ্গল চায় না : জয়শঙ্কর

সাভারে চাঁদা না পেয়ে গুলি ছুড়ে খেয়া ঘাটের নৌকা লুট, অস্ত্র হাতে ভিডিও ভাইরাল

আনোয়ারায় এবার এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ৫ হাজার ৩শ পরীক্ষার্থী

কিশোরগঞ্জে প্রধান শিক্ষকের উদাসীনতায় এসএসসি পরীক্ষায় বসতে পারেনি ১০ শিক্ষার্থী

ওয়াকফ আইন বাতিলের দাবিতে ভারতজুড়ে সহিংস বিক্ষোভ, বন্ধ ইন্টারনেট

সউদীতে পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে নাগরিকদের সতর্ক করল চীন

‘খুব ভালো চুক্তি’র ভবিষ্যদ্বাণী, চীনা প্রেসিডেন্টের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ট্রাম্প

নাইটক্লাবের ছাদ ধসে মারা গেলেন গায়ক রুবিও, নিহত বেড়ে ১৮৪

যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি দূতাবাস অভিমুখে মার্চ ফর প্যালেস্টাইনে জবির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা

সড়কে ছিল না যানজট, পরীক্ষার্থীদের মুখে ছিল স্বস্তির হাসি