ইসরায়েলি হামলায় ২৪ ঘণ্টায় নিহত ৪৬ ফিলিস্তিনি, গাজার পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাপ
০৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:১৫ পিএম | আপডেট: ০৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:২৪ পিএম

গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন দিন দিন আরও ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ৪৬ জন, যার মধ্যে রয়েছেন একজন ফিলিস্তিনি সাংবাদিকও। শুধু তাই নয়, হামলার নতুন ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে— স্পষ্টভাবে চিহ্নিত অ্যাম্বুলেন্স ও প্রতিফলক ভেস্ট পরা চিকিৎসাকর্মীদের ওপর গুলি চালায় ইসরায়েলি সেনারা, যা বিশ্বব্যাপী ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে।
অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে দখলদার ইসরায়েল এক মাস ধরে চালিয়ে যাচ্ছে অবর্ণনীয় সহিংসতা এবং অবরোধ। খাদ্য, পানি, ওষুধসহ সব ধরনের জরুরি পণ্য প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় ফিলিস্তিনিরা জীবন-মৃত্যুর এক ভয়াবহ সীমানায় দাঁড়িয়ে। সংকট এতটাই গভীর যে মানুষের নিঃশ্বাস নেওয়াটাও যেন দমবন্ধকর হয়ে উঠেছে।
শনিবার (৬ এপ্রিল) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, গত এক মাসে গাজায় একটি পণ্যবাহী ট্রাকও প্রবেশ করেনি। সাংবাদিক হিন্দ খোদারি সরাসরি দেইর এল-বালাহ থেকে জানান, খাদ্য, জ্বালানি, রান্নার গ্যাস, এমনকি ওষুধও আসছে না গাজায়। ফলে হাজারো পরিবার খাবারের সন্ধানে রাস্তায় নামছে, এক গ্যালন বিশুদ্ধ পানির জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইন দিচ্ছে, আর আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতেও উপকরণ না থাকায় সংকট আরও বেড়ে গেছে।
মানবিক সংকটের পাশাপাশি স্বাস্থ্য ব্যবস্থাও কার্যত ভেঙে পড়েছে। হাসপাতালগুলো উপচে পড়ছে আহতদের ভিড়ে। চিকিৎসা দেওয়ার মতো পর্যাপ্ত সরঞ্জাম নেই বলে অনেক রোগীকেই সেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। রেস্তোরাঁ বা গরম খাবারের কেন্দ্রগুলোতেও খাদ্য ফুরিয়ে আসছে, আর কয়েকদিনের মধ্যে সেবাদান সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ অবস্থায় গাজার লাখো মানুষের বেঁচে থাকা এখন কঠিনতম লড়াইয়ের নাম।
গত ১২ ঘণ্টায় ইসরায়েল খান ইউনিস অঞ্চলে চালিয়েছে সর্বাধিক বোমা হামলা। সেখানে অন্তত ১৯ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে নারী ও শিশুরাও রয়েছেন। ইসরায়েলি সেনারা আবাসিক ভবন ও অস্থায়ী তাঁবু লক্ষ্য করে এই হামলা চালায়। এতে বহু মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন এবং সেখান থেকেই বাঁচার আকুতি জানাচ্ছেন। সবমিলিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় গাজায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৬ জনে।
গাজায় এই মানবিক বিপর্যয় থামানোর জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়ের জরুরি হস্তক্ষেপ এখন সময়ের দাবি। খাদ্য, পানি ও ওষুধের সরবরাহ না ফিরলে এবং অব্যাহত হামলা বন্ধ না হলে, লাখো নিরীহ মানুষ নিঃশব্দে প্রাণ হারাবে। শান্তির প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে এবং মানুষের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশ্বনেতাদের এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
তথ্যসূত্র : আল-জাজিরা
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও






আরও পড়ুন

শৈলকুপায় কৃষকদল নেতাসহ চারজনের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের মামলা

ঢাবির প্রায় ৩০০ খ্যাতিমান গবেষককে সম্মাননা প্রদান

পাথর কোয়ারীতে হরিলুট চলছে: এডভোকেট আব্দুল আহাদ

সিলভার মাইলফলক ম্যাচে সিটিকে জেতালেন ডি ব্রুইনা

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্টের জন্য পূ্র্ণশক্তির ইংল্যান্ডের দল ঘোষণা

হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট পেয়েছেন দেম্বেলে, মাঠে ফিরবেন কবে?

বীমা খাতে ব্যতিক্রম কাজিম উদ্দিন, ন্যাশনাল লাইফের নানা অর্জন

কাল বিএনপি নেতা নাসির উদ্দিন পিন্টুর ১০ম শাহাদতবার্ষিকী

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ডেভিল হান্ট অপারেশনে ইউপি সদস্যসহ ৭ জন গ্রেপ্তার

শেরপুরে আওয়ামীলীগ নিষিদ্ধের দাবীতে এনসিপির বিক্ষোভ

মতলবে দুটি পৃথক মোটরসাইকেল দূর্ঘটনায় দুই শিক্ষার্থী মৃত্যু

ছোট ভাইয়ের খুনি বড় ভাইকে ধরলো পুলিশ !

ভারতীয় মদসহ সিলেটে এক ব্যক্তিকে আটক করলো জৈন্তাপুর থানা পুলিশ

বেনাপোল সীমান্তে পিস্তল-গুলি উদ্ধার

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইসলামী গণজাগরণের বহিঃপ্রকাশ ঘটবে কাল হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ

চীনের সঙ্গে লড়বে ভারত! দাপুটে সেনার ভূমিকায় সালমান!

মোদির 'ফলস ফ্লাগ নাটক' সুপার ফ্লপ: ব্যর্থ বৈশ্বিক সমর্থন আদায়ে

জাটকা ধরা বন্ধ হলে ইলিশ উৎপাদন বাড়বে

খেলোয়াড় গন দেশ ও জাতি গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারে- স্থানীয় সরকার সচিব রেজাউল মাকসুদ জাহেদী

নির্বাচন নিয়ে বিএনপির আরো সচেতন হওয়া উচিত