জীবিত অভিবাসীদের ‘মৃত’ ঘোষণা করে তাড়াচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন
১১ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:১৯ এএম | আপডেট: ১১ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:২১ এএম

যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসীদের বিরুদ্ধে ট্রাম্প প্রশাসনের কৌশল আরও এক ধাপ কঠোর হয়ে উঠেছে। এবার জীবিত অভিবাসীদের ‘মৃত’ দেখিয়ে তাদের সমাজ থেকে কার্যত বিচ্ছিন্ন করার অভিযোগ উঠেছে। সামাজিক সুরক্ষা নম্বর (SSN) বাতিলের মাধ্যমে তাদের আর্থিক, নাগরিক ও চিকিৎসা সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলো একে ‘নতুন ধরনের বৈধ নিপীড়ন’ বলে আখ্যা দিচ্ছে।
নিউইয়র্ক টাইমসের অনুসন্ধানে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত হাজারো অভিবাসীর অস্থায়ী বৈধ অবস্থান বাতিল করতে ট্রাম্প প্রশাসন এক অভিনব কৌশলের আশ্রয় নিয়েছে। অভিবাসীদের স্বেচ্ছায় দেশত্যাগে বাধ্য করতে এবং আইনত ‘অদৃশ্য’ করে তুলতে তাদের নাম মৃতদের একটি সরকারি ডেটাবেসে যুক্ত করা হচ্ছে। এর ফলে তারা এসএসএন ব্যবহার করতে পারছেন না—যেটি যুক্তরাষ্ট্রে জীবনযাত্রার জন্য অপরিহার্য।
এই উদ্যোগে ব্যবহার করা হচ্ছে “ডেথ মাস্টার ফাইল” নামক সরকারি একটি ডেটাবেস, যা সাধারণত মৃতদের নাম সংরক্ষণের জন্য ব্যবহৃত হয়, যেন তারা কোনও সরকারি সুবিধা না পান। এখন এই তালিকায় জীবিত অভিবাসীদের নাম অন্তর্ভুক্ত করে তাদের পরিচয় বাতিল করা হচ্ছে। এই পদক্ষেপের কারণে ওই ব্যক্তিরা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে, চাকরি পেতে, চিকিৎসা নিতে, কর রিটার্ন জমা দিতে বা সরকারি কোনও সেবা পেতে পারছেন না।
নথি অনুযায়ী, চলতি সপ্তাহেই প্রায় ৬ হাজার ৩০০ অভিবাসীর নাম এই ডেটাবেসে যুক্ত করা হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, এই তালিকায় থাকা ব্যক্তিদের অনেকেই “অপরাধে দোষী সাব্যস্ত” কিংবা “সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট”। তবে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভবিষ্যতে এই তালিকায় আরও নাম যুক্ত হতে পারে এবং যেকোনো অননুমোদিত অভিবাসীই এতে পড়তে পারেন। অথচ এইসব অভিবাসীদের অনেকেই দীর্ঘদিন ধরে বৈধভাবে বসবাস করে আসছিলেন এবং মার্কিন সমাজে অবদান রেখে চলেছেন।
এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে মানবাধিকার সংগঠনগুলোর মধ্যে। তারা বলছে, একটি মানুষকে জীবিত থাকা সত্ত্বেও ‘আইনি ভাবে মৃত’ ঘোষণা করা গভীর মানবাধিকার লঙ্ঘনের নামান্তর। এতে অভিবাসীরা চরম সামাজিক ও অর্থনৈতিক নিঃসঙ্গতায় পড়বেন এবং কোনও বিকল্প না পেয়ে বাধ্য হয়ে দেশ ছাড়তে হতে পারে। এই পদক্ষেপ শুধুই আইনি নয়, মানবিক ও নৈতিক দিক থেকেও প্রশ্নবিদ্ধ।
এই নীতিকে বিশ্লেষকেরা ট্রাম্পের “কঠোর অভিবাসন” দর্শনেরই অংশ হিসেবে দেখছেন, যার মূল লক্ষ্য যুক্তরাষ্ট্রে ‘শুদ্ধ নাগরিকত্ব’ প্রতিষ্ঠা করা এবং ‘অবৈধ অভিবাসন’ দমন। তবে বাস্তবে এটি কেবল আরও গভীর মানবিক সংকট তৈরি করবে—বিশেষত তাদের জন্য, যারা শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছেন এবং মার্কিন সমাজে ইতিবাচক অবদান রেখে চলেছেন। এই ধরনের নীতির ফলে যুক্তরাষ্ট্রের বহুত্ববাদ ও মানবিক মূল্যবোধই সবচেয়ে বড় প্রশ্নের মুখে পড়ছে। তথ্যসূত্র :নিউইয়র্ক টাইমস
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও






আরও পড়ুন

সিলভার মাইলফলক ম্যাচে সিটিকে জেতালেন ডি ব্রুইনা

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্টের জন্য পূ্র্ণশক্তির ইংল্যান্ডের দল ঘোষণা

হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট পেয়েছেন দেম্বেলে, মাঠে ফিরবেন কবে?

বীমা খাতে ব্যতিক্রম কাজিম উদ্দিন, ন্যাশনাল লাইফের নানা অর্জন

কাল বিএনপি নেতা নাসির উদ্দিন পিন্টুর ১০ম শাহাদতবার্ষিকী

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ডেভিল হান্ট অপারেশনে ইউপি সদস্যসহ ৭ জন গ্রেপ্তার

শেরপুরে আওয়ামীলীগ নিষিদ্ধের দাবীতে এনসিপির বিক্ষোভ

মতলবে দুটি পৃথক মোটরসাইকেল দূর্ঘটনায় দুই শিক্ষার্থী মৃত্যু

ছোট ভাইয়ের খুনি বড় ভাইকে ধরলো পুলিশ !

ভারতীয় মদসহ সিলেটে এক ব্যক্তিকে আটক করলো জৈন্তাপুর থানা পুলিশ

বেনাপোল সীমান্তে পিস্তল-গুলি উদ্ধার

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইসলামী গণজাগরণের বহিঃপ্রকাশ ঘটবে কাল হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ

চীনের সঙ্গে লড়বে ভারত! দাপুটে সেনার ভূমিকায় সালমান!

মোদির 'ফলস ফ্লাগ নাটক' সুপার ফ্লপ: ব্যর্থ বৈশ্বিক সমর্থন আদায়ে

জাটকা ধরা বন্ধ হলে ইলিশ উৎপাদন বাড়বে

খেলোয়াড় গন দেশ ও জাতি গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারে- স্থানীয় সরকার সচিব রেজাউল মাকসুদ জাহেদী

নির্বাচন নিয়ে বিএনপির আরো সচেতন হওয়া উচিত

করিডোরের সিদ্ধান্ত নির্বাচিত সংসদ থেকেই আসতে হবে

ভিক্টরি ডে’সহ ছুটির দিনগুলোর নাম পাল্টানোর ঘোষণা ট্রাম্পের

হজযাত্রীদের ভোগান্তি লাঘবে থার্ড ক্যারিয়ার চালু করতে হবে হজ প্রশিক্ষণ কর্মশালায় নেতৃবৃন্দ