ইসরায়েলের প্রস্তাবে রাজি নয় হামাস, চায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি
১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:১৮ পিএম | আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:১৮ পিএম

গাজায় ১৮ মাস ধরে চলা ভয়াবহ সংঘাতের আবহে যখন সবাই একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতির আশায় তাকিয়ে, তখন সেই প্রত্যাশায় বড় ধাক্কা লাগল। ইসরায়েলের পক্ষ থেকে সম্প্রতি যে ছয় সপ্তাহব্যাপী যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, তা দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ সংগঠন হামাস। কারণ, প্রস্তাবটির মূলকাঠামোতে ছিল অস্ত্র সমর্পণের আহ্বান, কিন্তু ছিল না যুদ্ধের স্থায়ী সমাপ্তি বা গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহারের মতো মৌলিক প্রতিশ্রুতি।
গত সপ্তাহের শেষ দিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষে মধ্যপ্রাচ্যের আঞ্চলিক মধ্যস্থতাকারীদের কাছে একটি যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব তুলে দেন। এতে ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব থাকলেও হামাসকে জীবিত জিম্মিদের অর্ধেক মুক্তির শর্তে অস্ত্র সমর্পণের আহ্বান জানানো হয়। তবে এই প্রস্তাবে হামাসের মৌলিক দাবি—গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার ও যুদ্ধের চূড়ান্ত সমাপ্তির বিষয়ে কোনো প্রতিশ্রুতি ছিল না, যা ফিলিস্তিনি পক্ষের জন্য ছিল একপ্রকার ‘রেডলাইন’।
বিবিসিকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এক ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা বলেন, মিসরের মাধ্যমে আসা প্রস্তাবটি একতরফা শর্তে তৈরি, যেখানে শুধু হামাসকে নিরস্ত্র হওয়ার কথা বলা হয়েছে। এই প্রস্তাবের ভাষা এবং ইসরায়েলের অবস্থান স্পষ্টত একধরনের চাপ প্রয়োগের কৌশল হিসেবেই দেখা হচ্ছে। হামাস জানিয়েছে, তারা তাদের হাতে থাকা জিম্মিদের মুক্তি দিতে প্রস্তুত, তবে বিনিময়ে তারা শান্তিপূর্ণ সমাধান ও সেনা প্রত্যাহার চায়, শুধু যুদ্ধের ‘বিরতি’ নয়।
এই প্রেক্ষাপটে ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা অভিযোগ করেছেন যে, ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির নামে সময়ক্ষেপণ করছে এবং এটি আসলে হামাসের হাতে থাকা বাকি জিম্মিদের উদ্ধারে কৌশল মাত্র। কায়রোয় হামাসের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে মিসরের গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের বৈঠক হলেও এখনো কোনো পক্ষ যুদ্ধবিরতির সম্ভাব্য অগ্রগতির বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানায়নি। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমও এ বিষয়ে নীরব।
জাতিসংঘের সাম্প্রতিক সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, গাজায় চলমান ১৮ মাসের সংঘাতের মধ্যে এখনকার মানবিক অবস্থা সবচেয়ে ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছেছে। শিশু, বৃদ্ধ, নারীসহ লক্ষাধিক নিরীহ মানুষ যুদ্ধের আগুনে পুড়ছে। তাই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সামনে এখন গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন—একটি গ্রহণযোগ্য ও সম্মানজনক যুদ্ধবিরতির পথ তৈরি হবে, নাকি এই সংকট আরও দীর্ঘ হবে? যুদ্ধবিরতির নামে যদি আত্মসমর্পণ চাপিয়ে দেওয়া হয়, তবে স্থায়ী শান্তি যে অধরাই থেকে যাবে, তা যেন আবারও প্রমাণিত হলো। তথ্যসূত্র : বিবিসি
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও






আরও পড়ুন

সিলভার মাইলফলক ম্যাচে সিটিকে জেতালেন ডি ব্রুইনা

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্টের জন্য পূ্র্ণশক্তির ইংল্যান্ডের দল ঘোষণা

হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট পেয়েছেন দেম্বেলে, মাঠে ফিরবেন কবে?

বীমা খাতে ব্যতিক্রম কাজিম উদ্দিন, ন্যাশনাল লাইফের নানা অর্জন

কাল বিএনপি নেতা নাসির উদ্দিন পিন্টুর ১০ম শাহাদতবার্ষিকী

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ডেভিল হান্ট অপারেশনে ইউপি সদস্যসহ ৭ জন গ্রেপ্তার

শেরপুরে আওয়ামীলীগ নিষিদ্ধের দাবীতে এনসিপির বিক্ষোভ

মতলবে দুটি পৃথক মোটরসাইকেল দূর্ঘটনায় দুই শিক্ষার্থী মৃত্যু

ছোট ভাইয়ের খুনি বড় ভাইকে ধরলো পুলিশ !

ভারতীয় মদসহ সিলেটে এক ব্যক্তিকে আটক করলো জৈন্তাপুর থানা পুলিশ

বেনাপোল সীমান্তে পিস্তল-গুলি উদ্ধার

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইসলামী গণজাগরণের বহিঃপ্রকাশ ঘটবে কাল হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ

চীনের সঙ্গে লড়বে ভারত! দাপুটে সেনার ভূমিকায় সালমান!

মোদির 'ফলস ফ্লাগ নাটক' সুপার ফ্লপ: ব্যর্থ বৈশ্বিক সমর্থন আদায়ে

জাটকা ধরা বন্ধ হলে ইলিশ উৎপাদন বাড়বে

খেলোয়াড় গন দেশ ও জাতি গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারে- স্থানীয় সরকার সচিব রেজাউল মাকসুদ জাহেদী

নির্বাচন নিয়ে বিএনপির আরো সচেতন হওয়া উচিত

করিডোরের সিদ্ধান্ত নির্বাচিত সংসদ থেকেই আসতে হবে

ভিক্টরি ডে’সহ ছুটির দিনগুলোর নাম পাল্টানোর ঘোষণা ট্রাম্পের

হজযাত্রীদের ভোগান্তি লাঘবে থার্ড ক্যারিয়ার চালু করতে হবে হজ প্রশিক্ষণ কর্মশালায় নেতৃবৃন্দ