ইসরায়েলি হামলায় গাজায় একদিনেই নিহত ৬৪ ফিলিস্তিনি
১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৪৭ এএম | আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৪৯ এএম

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের সামরিক হামলা অব্যাহত থাকায় আরও ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের দিকে ধাবিত হচ্ছে অঞ্চলটি। গতকাল শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) ভোর থেকে রাত পর্যন্ত দিনভর হামলায় নিহত হয়েছেন অন্তত ৬৪ জন ফিলিস্তিনি, আহত হয়েছেন আরও বহু মানুষ। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে এই মর্মান্তিক তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা। নারী ও শিশুরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এই সংঘাতে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের আকস্মিক হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজায় সামরিক অভিযান চালিয়ে আসছে। আইডিএফ (ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী) জানায়, তারা হামাসের দমন এবং জিম্মিদের উদ্ধারের লক্ষ্যেই এই অভিযান চালাচ্ছে। গতকাল গুড ফ্রাইডের দিনে চালানো এই সর্বশেষ হামলা ছিল সেই ধারাবাহিক অভিযানের অংশ। গত দেড় বছরে এই যুদ্ধে নিহত ও আহতের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে ৫১ হাজার এবং আহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ১ লাখ ১৭ হাজারে, যার ৫৬ শতাংশই নারী ও শিশু। শুক্রবারের নিহতদের অধিকাংশই ছিলেন গাজা সিটি ও উত্তর গাজার বাসিন্দা, তবে হামলার আওতায় আসে গাজার মধ্য, দক্ষিণ ও উত্তরাঞ্চল—সমগ্র উপত্যকাজুড়েই। রাফার শাবৌর ও তেল আস সুলতান এলাকায় গড়ে ওঠা আইডিএফ ঘাঁটি থেকেই এসব হামলা চালানো হয় বলে জানা গেছে।
এই মানবিক বিপর্যয়ের মাঝেও ধর্মীয় চেতনার আলো নিভে যায়নি। খ্রিস্টানদের ধর্মীয় দিন গুড ফ্রাইডেতে গাজার কিছু গির্জায় সীমিত পরিসরে হলেও ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালন করেন খ্রিস্টানরা। তবে সে আয়োজন ছিল শোকাবহ। স্থানীয় চার্চের এক সদস্য ইহাব আয়াদ জানান, আগের বছরগুলোর মতো এবার আর গির্জায় পরিবার, বন্ধু বা প্রতিবেশীদের সঙ্গে মিলিত হওয়া সম্ভব হয়নি। কারণ, ইসরায়েলি হামলায় তার বহু আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীর বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে গেছে। এই বক্তব্য থেকে স্পষ্ট, কেবল প্রাণহানিই নয়, গাজায় মানুষের সামাজিক বন্ধন, সংস্কৃতি ও আত্মিক সংযোগকেও ছিন্ন করে দিয়েছে এই যুদ্ধ।
জিম্মিদের উদ্ধারের লক্ষ্যে ইসরায়েলের অভিযান দ্বিতীয় দফায় আবারও শুরু হয় ১৮ মার্চ, মাত্র দুই মাসের যুদ্ধবিরতির পরই। সেই থেকে চলতি এক মাসেই নিহত হয়েছেন ১,৫০০-র বেশি ফিলিস্তিনি। যে ২৫১ জনকে হামাস প্রথম দফায় জিম্মি করেছিল, তাদের মধ্যে অন্তত ৩৫ জন এখনও জীবিত রয়েছে বলে বিশ্বাস করা হচ্ছে। আইডিএফ বলেছে, এই জিম্মিদের মুক্ত করতেই তারা সামরিক অভিযান চালিয়ে যাবে। এদিকে জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বারবার গাজায় অস্ত্রবিরতির আহ্বান জানিয়ে আসছে। এমনকি আন্তর্জাতিক আদালতেও (আইসিজে) ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ উঠেছে। একইসঙ্গে ইসরায়েলের অভ্যন্তরেও যুদ্ধ থামিয়ে কূটনৈতিক পথে জিম্মিদের উদ্ধার করার দাবিতে বিক্ষোভ জোরালো হচ্ছে।
যদিও এই সকল চাপ ও উদ্বেগের মুখেও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, “হামাসকে সম্পূর্ণভাবে দুর্বল ও অকার্যকর করা এবং সব জিম্মিকে মুক্ত করাই অভিযানের মূল লক্ষ্য, আর এই লক্ষ্য অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চলবে।” তথ্যসূত্র : আল-জাজিরা
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও






আরও পড়ুন

বীমা খাতে ব্যতিক্রম কাজিম উদ্দিন, ন্যাশনাল লাইফের নানা অর্জন

কাল বিএনপি নেতা নাসির উদ্দিন পিন্টুর ১০ম শাহাদতবার্ষিকী

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ডেভিল হান্ট অপারেশনে ইউপি সদস্যসহ ৭ জন গ্রেপ্তার

শেরপুরে আওয়ামীলীগ নিষিদ্ধের দাবীতে এনসিপির বিক্ষোভ

মতলবে দুটি পৃথক মোটরসাইকেল দূর্ঘটনায় দুই শিক্ষার্থী মৃত্যু

ছোট ভাইয়ের খুনি বড় ভাইকে ধরলো পুলিশ !

ভারতীয় মদসহ সিলেটে এক ব্যক্তিকে আটক করলো জৈন্তাপুর থানা পুলিশ

বেনাপোল সীমান্তে পিস্তল-গুলি উদ্ধার

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইসলামী গণজাগরণের বহিঃপ্রকাশ ঘটবে কাল হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ

চীনের সঙ্গে লড়বে ভারত! দাপুটে সেনার ভূমিকায় সালমান!

মোদির 'ফলস ফ্লাগ নাটক' সুপার ফ্লপ: ব্যর্থ বৈশ্বিক সমর্থন আদায়ে

জাটকা ধরা বন্ধ হলে ইলিশ উৎপাদন বাড়বে

খেলোয়াড় গন দেশ ও জাতি গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারে- স্থানীয় সরকার সচিব রেজাউল মাকসুদ জাহেদী

নির্বাচন নিয়ে বিএনপির আরো সচেতন হওয়া উচিত

করিডোরের সিদ্ধান্ত নির্বাচিত সংসদ থেকেই আসতে হবে

ভিক্টরি ডে’সহ ছুটির দিনগুলোর নাম পাল্টানোর ঘোষণা ট্রাম্পের

হজযাত্রীদের ভোগান্তি লাঘবে থার্ড ক্যারিয়ার চালু করতে হবে হজ প্রশিক্ষণ কর্মশালায় নেতৃবৃন্দ

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনায় আজাদ কাশ্মীরে খাদ্য মজুদের নির্দেশ

মার্কিন সংবাদমাধ্যম ‘এনপিআর’ ও ‘পিবিএস’র সরকারি অর্থায়ন বন্ধ

ভারতে পাকিস্তানের পতাকা টাঙানোর অভিযোগে দুই হিন্দুত্ববাদী গ্রেফতার