আসাদকে সিরিয়ায় প্রত্যার্পণে রাশিয়ার অস্বীকৃতি, মস্কোর কৌশলে নতুন বার্তা
১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৩৬ এএম | আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৪০ এএম

দীর্ঘ গৃহযুদ্ধ-পরবর্তী নতুন সরকার গঠনের পর সিরিয়ায় ফিরিয়ে আনার দাবির মুখে রাশিয়া স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, তারা সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে দেশে ফেরত পাঠাবে না। এই অবস্থান রাশিয়ার কূটনৈতিক কৌশলের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত বহন করে, যা মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক ভারসাম্যে প্রভাব ফেলতে পারে। রাশিয়ার এ সিদ্ধান্ত সরাসরি প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে নেওয়া হয়েছে বলে এক কূটনীতিক জানান।
২০২৪ সালের ৮ ডিসেম্বর সিরিয়ার পুরনো সরকারের পতনের পর বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর হাতে ক্ষমতা আসে। এর পরপরই বাশার আল-আসাদ পরিবারসহ রাশিয়ায় পালিয়ে যান। দীর্ঘ ১৩ বছরের রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধে তিনি রাশিয়ার রাজনৈতিক ও সামরিক সমর্থন নিয়ে টিকে ছিলেন। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সিরিয়ান সরকার ও প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা বারবার অনুরোধ জানিয়ে আসছেন, আসাদকে দেশে ফিরিয়ে এনে জনগণের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধের বিচারের আওতায় আনা হোক। এই অনুরোধ মূলত ন্যায়বিচার এবং নতুন সরকারের বৈধতা প্রতিষ্ঠার প্রয়াস হিসেবেই দেখা হচ্ছে।
রুশ সামরিক ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতা নিয়ে সিরিয়া-রাশিয়া দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মধ্যেই এই প্রত্যার্পণ প্রসঙ্গটি আবারও সামনে আসে। তবে একাধিকবার আহ্বান জানানো সত্ত্বেও রাশিয়া স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, তারা আসাদকে ফিরিয়ে দেবে না। রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলপারুস কোট্রাশেভ জানান, আসাদের মস্কোতে থাকার শর্ত ছিল—তিনি কোনো ধরনের গণমাধ্যম কিংবা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে পারবেন না। তিনি এই শর্ত মেনেই অবস্থান করছেন এবং রাশিয়ার সিদ্ধান্তে কোনো পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই। এই আশ্রয় প্রদানের সিদ্ধান্তও সরাসরি পুতিনের অনুমোদনে হয়েছে।
রাশিয়ার এমন অবস্থান আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক পরিমণ্ডলে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। একদিকে, এটি সিরিয়ার নতুন সরকারের বিচার-প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টাকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে, অন্যদিকে আসাদের মতো এক বিতর্কিত নেতাকে আশ্রয় দিয়ে রাশিয়া আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোর চাপের মুখে পড়তে পারে। তবে মস্কো বরাবরই নিজস্ব কৌশলগত স্বার্থে অটল থেকেছে, যা এখনো বজায় থাকছে।
সিরিয়ায় দীর্ঘস্থায়ী শান্তি ও বিচার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে এই সিদ্ধান্ত একটি বড় অন্তরায় হতে পারে, তবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও মানবাধিকারকর্মীদের জোরালো চাপে পরিস্থিতি আবারও পরিবর্তনের দিকে যেতে পারে। আসাদ ইস্যুতে রাশিয়ার অনড় অবস্থান শুধু মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনীতি নয়, বরং বৈশ্বিক ন্যায়বিচার ও মানবাধিকারের প্রশ্নেও এক গভীর আলোচনার জন্ম দিচ্ছে। তথ্যসূত্র : মিডল ইস্ট মনিটর
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও






আরও পড়ুন

‘আমিন আমিন’ ধ্বনীতে শেষ হলো তিনদিনের ইজতেমা

চাঁদপুরে ছেলেকে খুঁজতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ, গ্রেপ্তার ২

সন্তানদের নেক আমলের উৎসাহ প্রদান

স্বাস্থ্য সেবায় ফার্মাসিস্টদের ভূমিকা বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

হারানো এলাকা রাশিয়াকে ছাড়তে প্রস্তুত ইউক্রেন :মার্কিন দূত

সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকা লোকসান এয়ার ইন্ডিয়ার

ঘূর্ণিঝড় বজ্রপাতের সতর্কতা মে মাসে

ভারত-পাকিস্তানকে বৃহত্তর সঙ্ঘাত এড়াতে যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বান

নানা কর্মসূচিতে মহান মে দিবস পালিত

চীনের সঙ্গে আলোচনায় বসতে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র :চীনা রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয় আটক

নারী সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবনা কুফর ও শিরক

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইসলামী গণজাগরণের বহিঃপ্রকাশ ঘটবে আজ :হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ

জড়িতদের দ্রুত শাস্তি নিশ্চিত করুন :বিক্ষোভ সমাবেশে নেতৃবৃন্দ

৫ আগস্ট জনগণ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত দিয়ে দিয়েছে :এনসিপি

পুলিশকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত দেখতে চায় জনগণ

দ্রুতই দেশে নির্বাচন হবে, এর বিকল্প নেই :এ এম এম বাহাউদ্দীন

‘জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করুন’

করিডোরের সিদ্ধান্ত আসা উচিত সংসদ থেকে, অনির্বাচিতদের কাছ থেকে নয় :তারেক রহমান

ঘুরে যাবে রাজনীতির মোড়