“হিজবুল্লাহকে নিরস্ত্র করব না”— নাঈম কাসেমের হুঁশিয়ারি
১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৫৩ এএম | আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৫৯ এএম

লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে চলমান উত্তেজনা এবং গাজা যুদ্ধের পটভূমিতে হিজবুল্লাহকে নিরস্ত্র করার আহ্বান নতুন করে আলোচনার কেন্দ্রে এসেছে। তবে এই দাবির মুখে সংগঠনটির পক্ষ থেকে এসেছে কড়া প্রত্যাখ্যান। যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা বিশ্বের চাপ সত্ত্বেও, হিজবুল্লাহর বর্তমান ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল নাঈম কাসেম স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন—“আমরা হিজবুল্লাহকে নিরস্ত্র করব না, করতেও দেব না।” লেবাননের প্রতিরোধ রাজনীতিতে হিজবুল্লাহর অস্তিত্ব যে এখনো অটল এবং সক্রিয়, সেই বার্তা আবারও তুলে ধরেছেন তিনি।
নভেম্বরের অস্ত্রবিরতি চুক্তির পর দক্ষিণ লেবানন থেকে ইসরাইলের প্রত্যাহার এবং হিজবুল্লাহর নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। গাজায় চলমান সংঘাতের ছায়া লেবাননেও পড়েছে। সম্প্রতি ইসরাইলি হামলায় হিজবুল্লাহর দীর্ঘদিনের নেতা হাসান নাসরুল্লাহ নিহত হন। এরপর দায়িত্ব পান নাঈম কাসেম। শুক্রবার এক টেলিভিশন ভাষণে তিনি বলেন, ‘নিরস্ত্রীকরণ শব্দটি আমাদের অভিধানে নেই। আমরা প্রতিরোধের অস্ত্র কাউকে তুলে দেব না।’ এই অবস্থান কেবল রাজনৈতিক নয়, কৌশলগত বলেও বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
সংগঠনের আরেক শীর্ষ নেতা ওয়াফিক সাফা একই দিনে আল-নূর রেডিওকে বলেন, “ইসরাইল দক্ষিণ লেবানন থেকে সম্পূর্ণ সরে না যাওয়া পর্যন্ত কোনো অস্ত্র হস্তান্তরের আলোচনা হবে না।” তার দাবি, হিজবুল্লাহ ইতোমধ্যে লিতানি নদীর দক্ষিণে থাকা প্রায় ১৯০টি সামরিক ঘাঁটি লেবানন সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করেছে। তবে পাঁচটি কৌশলগত অবস্থানে এখনো ইসরাইলি সেনা মোতায়েন রয়েছে, এবং প্রতিদিন লেবাননের ওপর হামলা চালানো হচ্ছে।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের রেজোলিউশন ১৭০১ অনুযায়ী লেবাননের সব অ-রাষ্ট্রীয় গোষ্ঠীকে নিরস্ত্র করার আহ্বান থাকলেও, হিজবুল্লাহ দাবি করছে বর্তমান পরিস্থিতিতে এই সিদ্ধান্ত প্রযোজ্য নয়। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত মর্গান ওর্তাগুস সম্প্রতি বৈরুত সফরে এসে বলেছিলেন, “আমরা চাই লেবানন সম্পূর্ণভাবে অস্ত্রবিরতির বাস্তবায়ন করুক, যাতে হিজবুল্লাহসহ সব মিলিশিয়া নিরস্ত্র হয়।” কিন্তু হিজবুল্লাহর মতে, মূল সমস্যা তাদের অস্ত্র নয়, বরং ইসরাইলের আগ্রাসনই এই অঞ্চলের সংকটের মূলে।
এই জটিল পরিস্থিতিতে হিজবুল্লাহর অবস্থান স্পষ্ট: প্রতিরোধই তাদের অস্তিত্বের কেন্দ্রবিন্দু। আঞ্চলিক শান্তির জন্য যদি সত্যিকারের অগ্রগতি চাওয়া হয়, তাহলে কেবল একটি পক্ষকে চাপ দিলে হবে না। ইসরাইলকেও অস্ত্রবিরতি মেনে চলতে হবে, এবং লেবাননের সার্বভৌমত্বকে সম্মান জানাতে হবে। শান্তি তখনই টেকসই হবে, যখন তা হবে ন্যায়ের ভিত্তিতে, সমতার দৃষ্টিভঙ্গি থেকে।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও






আরও পড়ুন

বীমা খাতে ব্যতিক্রম কাজিম উদ্দিন, ন্যাশনাল লাইফের নানা অর্জন

কাল বিএনপি নেতা নাসির উদ্দিন পিন্টুর ১০ম শাহাদতবার্ষিকী

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ডেভিল হান্ট অপারেশনে ইউপি সদস্যসহ ৭ জন গ্রেপ্তার

শেরপুরে আওয়ামীলীগ নিষিদ্ধের দাবীতে এনসিপির বিক্ষোভ

মতলবে দুটি পৃথক মোটরসাইকেল দূর্ঘটনায় দুই শিক্ষার্থী মৃত্যু

ছোট ভাইয়ের খুনি বড় ভাইকে ধরলো পুলিশ !

ভারতীয় মদসহ সিলেটে এক ব্যক্তিকে আটক করলো জৈন্তাপুর থানা পুলিশ

বেনাপোল সীমান্তে পিস্তল-গুলি উদ্ধার

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইসলামী গণজাগরণের বহিঃপ্রকাশ ঘটবে কাল হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ

চীনের সঙ্গে লড়বে ভারত! দাপুটে সেনার ভূমিকায় সালমান!

মোদির 'ফলস ফ্লাগ নাটক' সুপার ফ্লপ: ব্যর্থ বৈশ্বিক সমর্থন আদায়ে

জাটকা ধরা বন্ধ হলে ইলিশ উৎপাদন বাড়বে

খেলোয়াড় গন দেশ ও জাতি গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারে- স্থানীয় সরকার সচিব রেজাউল মাকসুদ জাহেদী

নির্বাচন নিয়ে বিএনপির আরো সচেতন হওয়া উচিত

করিডোরের সিদ্ধান্ত নির্বাচিত সংসদ থেকেই আসতে হবে

ভিক্টরি ডে’সহ ছুটির দিনগুলোর নাম পাল্টানোর ঘোষণা ট্রাম্পের

হজযাত্রীদের ভোগান্তি লাঘবে থার্ড ক্যারিয়ার চালু করতে হবে হজ প্রশিক্ষণ কর্মশালায় নেতৃবৃন্দ

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনায় আজাদ কাশ্মীরে খাদ্য মজুদের নির্দেশ

মার্কিন সংবাদমাধ্যম ‘এনপিআর’ ও ‘পিবিএস’র সরকারি অর্থায়ন বন্ধ

ভারতে পাকিস্তানের পতাকা টাঙানোর অভিযোগে দুই হিন্দুত্ববাদী গ্রেফতার