৫.৮ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠলো আফগানিস্তান-তাজিকিস্তানের সীমান্ত

ইনকিলাব ডেস্ক

১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৩০ পিএম | আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৩৪ পিএম

আবারও কাঁপল আফগানিস্তান ও তাজিকিস্তানের সীমান্ত অঞ্চল। শনিবার (স্থানীয় সময় সকাল ১১টা ৪৭ মিনিটে) এই এলাকায় ৫ দশমিক ৮ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। যদিও এখনো পর্যন্ত কোনো প্রাণহানি বা বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি, তবে পার্শ্ববর্তী দেশ পাকিস্তানের বিভিন্ন অঞ্চলেও এই ভূকম্পন তীব্রভাবে অনুভূত হয়, যার ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

ভূমিকম্পটির কেন্দ্রস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৯২ কিলোমিটার গভীরে, যা তুলনামূলকভাবে গভীর হলেও প্রভাব বিস্তার করেছে বিস্তীর্ণ এলাকায়। পাকিস্তানের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র নিশ্চিত করেছে যে, আফগানিস্তান-তাজিকিস্তান সীমান্ত এলাকায় উৎপত্তি হলেও এর প্রভাব ইসলামাবাদ, লাহোর, পেশোয়ার, রাওয়ালপিন্ডি, এবং খাইবার পাখতুনখোয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলেও অনুভূত হয়েছে। সবচেয়ে তীব্র কম্পন হয়েছে খাইবার পাখতুনখোয়ার লোয়ার দির, বাজাউর, মালাকান্দ, নওশেরা, দির বালা, শাবকাদার ও মোহমান্দ এলাকায়, যেখানে মানুষজন আতঙ্কে বাড়িঘর থেকে বেরিয়ে আসে।

এই ভূমিকম্পের মাত্র এক সপ্তাহ আগেই, পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদ ও আশপাশের অঞ্চলে ৫ দশমিক ৫ মাত্রার আরেকটি ভূমিকম্প হয়েছিল। ধারাবাহিকভাবে ভূমিকম্পে কাঁপতে থাকা পাকিস্তান অঞ্চলটিকে ভূ-প্রাকৃতিকভাবে স্পর্শকাতর হিসেবে চিহ্নিত করছে বিশেষজ্ঞরা। ২০০৫ সালে পাকিস্তানে আঘাত হানা ৭ দশমিক ৬ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্প এখনো ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে আছে, যেখানে ৭৪ হাজারেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারায় এবং লক্ষাধিক মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়ে।

যদিও শনিবারের এই ভূমিকম্প বড় ধরনের বিপর্যয় ঘটায়নি, তবুও এটি আবারও মনে করিয়ে দেয় ভূমিকম্পপ্রবণ এই অঞ্চলে পূর্বপ্রস্তুতি, সচেতনতা এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব কতটা অপরিসীম। বিশেষ করে জনসচেতনতা বৃদ্ধি, নিরাপদ স্থাপনা নির্মাণ এবং জরুরি সাড়াদান ব্যবস্থাকে সময়োপযোগী করে তোলা এখন সময়ের দাবি। তথ্যসূত্র : রয়টার্স, এএনআই

বিভাগ : আন্তর্জাতিক