বিশ্বজুড়ে বিরাট সাইবার অপরাধের আশঙ্কা: জাতিসংঘ
২২ এপ্রিল ২০২৫, ১১:০৫ এএম | আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০২৫, ১১:০৮ এএম

সাইবার স্ক্যাম বা কেলেংকারির আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞেরা। এই স্ক্যাম ছড়াতে পারে আফ্রিকা এবং ইউরোপে।
সোমবার (২১ এপ্রিল) জাতিসংঘ একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। তাতে বলা হয়েছে, এশিয়ায় একটি কয়েক বিলিয়ন ডলারের স্ক্যাম সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে। রীতিমতো পরিকল্পনা করে তারা সাইবার অপরাধ সংগঠিত করছে। গোটা এশিয়াজুড়ে এই চক্র সক্রিয়। এবার তারা আফ্রিকা, ইউরোপ এবং অ্যামেরিকাতেও জাল বিস্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াতে এই চক্র এখন সবচেয়ে বেশি সক্রিয়। রিপোর্ট বলছে, চীন এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একাধিকগ্যাং এই অপরাধ সংগঠিত করছে। তারা ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে এই অপরাধের জাল ছড়াচ্ছে। অনেক সময় তারা ভালোবাসার জাল ছড়াচ্ছে। ব্যবহার করা হচ্ছে নারীদের। তাদের মাধ্যমে সর্বস্বান্ত করা হচ্ছে বহু মানুষকে।
জাতিসংঘের রিপোর্টে বলা হচ্ছে, এই অপরাধচক্রে জোড়া হচ্ছে বিপুল পরিমাণ পাচার হওয়া ব্যক্তিদের। যাদের বাধ্য করা হচ্ছে সাইবার অপরাধের সঙ্গে যুক্ত হতে।
জাতিসংঘের ড্রাগ এবং ক্রাইম সংস্থা ইউএনওডিসি-র দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কার্যকরী প্রতিনিধি বেনেডিক্ট হফম্যান জানিয়েছেন, প্যাসিফিক আইল্যান্ড বা প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জে ক্যানসারের মতো ছড়িয়ে পড়েছে এই ধরনের অপরাধ। প্রশাসন বিভিন্ন সময় রেড করে। অনেকে ধরা পড়ে। কিন্তু আবার অন্যত্র নতুন গ্যাং গজিয়ে ওঠে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, এই অপরাধ এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি দানা বেঁধেছে মিয়ানমারের সীমান্ত অঞ্চলগুলিতে। সেখানে গৃহযুদ্ধ চলায় প্রশাসনের পক্ষেও বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। সেই সুযোগ নিচ্ছে অপরাধী গ্যাং-গুলি। অন্যদিকে লাতিন অ্যামেরিকা, আফ্রিকা, ইউরোপ এবং মধ্যপ্রাচ্যেও ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ছে এই ধরনের অপরাধমূলক কার্যকলাপ।
হফম্যানের বক্তব্য, শুধমাত্র ২০২৩ সালে সাইবার অপরাধে মানুষ তিন হবাজার সাতশ কোটি ডলার খুইয়েছে। শুধুমাত্র অ্যামেরিকাতেই মানুষ হারিয়েছে ৫৬০ কোটি ডলার।
এই চক্রের সঙ্গে লড়াই করার জন্য একটি আন্তর্জাতিক সংগঠন তৈরি প্রয়োজন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। বেজিং সম্প্রতি মিয়ানমারে একটি অভিযান চালিয়েছিল। সেখানে বেশ কয়েকটি গ্যাংয়ের অফিসে রেড করা হয়। প্রায় সাত হাজার কর্মীকে সেখান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। যারা প্রায় ৫০টি দেশের মানুষ। বিভিন্নভাবে পাচার হয়ে তারা মিয়ানমার পৌঁছায় এবং তাদের এই অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত হতে বাধ্য করা হয়।
কাম্বোডিয়াতেও সম্প্রতি অভিযান চালানো হয়েছে। সেখানেও এমন বহু গ্যাং কাজ করছে। বস্তুত, সেখানে সরকারও লাগাতার অভিযান চালাচ্ছে। সূত্র : রয়টার্স
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও






আরও পড়ুন

অবরোধের কারণে গাজার স্বাস্থ্যখাতের পরিস্থিতি ভয়াবহ: ডাব্লিউএইচও

কিশোরগঞ্জে ইউপি সদস্যকে রাতের অন্ধকারে কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা

ফেসবুক বায়োতে ‘মেয়র’ পরিচয় যুক্ত করলেন ইশরাক

নরসিংদীর পলাশে পুকুরের পানিতে ভেসে উঠল স্কুল ছাত্রের মরদেহ

ভারতীয় হামলার আশঙ্কায় পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের সব মাদ্রাসা বন্ধের নির্দেশ

গলাচিপায় হিমাগারের অভাবে নষ্ট হচ্ছে আলু, বিপাকে কৃষক

বেড়ানোর কথা বলে নারী শিশু পাচারের চেষ্টা, ভারতীয় পাচারকারী আটক

যদি কিন্তু অথবা ছাড়া আ. লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে: হাসনাত

কাশ্মীর হামলার গোপন নথি ফাঁস! সরাসরি জড়িত ভারত, কি বলছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম?

গাজা সাংবাদিকদের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক স্থান: আরএসএফ

বাংলাদেশ সীমান্তে ভারতীয় নিরাপত্তা জোরদার, শুরু যৌথ টহল

মোদির কাশ্মীর ষড়যন্ত্র প্রকাশ করলো আল-জাজিরা

মহেশপুর সীমান্তে আবারো বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশী আহত

আনোয়ারায় সিইউএফএল বাজারে আগুন, পুড়ল দুই দোকান

আড়াইহাজারে ডাকাতি, টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট

এরদোয়ানকে অপমানের অভিযোগে সুইডিশ সাংবাদিকের ১১ মাস কারাদণ্ড

সোমবার দেশে ফিরবেন খালেদা জিয়া

জেনেভা আলোচনায় সাইপ্রাসে নতুন সমাধানের ইঙ্গিত

বনানীতে বেপরোয়া গাড়ির চাপায় প্রাণ গেল পথচারীর

শরীর থেকে পুরো বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া হাত অবিশ্বাস্যভাবে জোড়া লাগালো চীনের চিকিৎসকরা!