কোমল ব্যবহার, একটি বিলুপ্তপ্রায় চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য-২
১৮ আগস্ট ২০২৩, ১১:৩৪ পিএম | আপডেট: ১৯ আগস্ট ২০২৩, ১২:০০ এএম
বর্তমান যুগটা হলো মোবাইলের যুগ। এখন মোবাইলবিহীন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। যারা মসজিদে নামাজ পড়তে আসেন তাদের অনেকের কাছেও মোবাইল আছে। এ জন্য যেকোনো মসজিদের দেওয়ালে একটি বিজ্ঞপ্তি দেখা যায়। নামাজের সময় মোবাইল ফোন বন্ধ রাখুন। মসজিদে আগত মুসল্লিরা মোবাইল বন্ধ করেই নামাজ শুরু করেন। কিন্তু কখনো কেউ হয়তো ভুলে গেল এবং দুর্ভাগ্যক্রমে তার মোবাইল ফোন বেজে উঠল তখন তার মানসিক অবস্থা কেমন হয় তা সহজেই অনুমেয়।
এক্ষেত্রে নামাজ শেষ হওয়ার পর সাধারণত যা হতে দেখা যায় তা খুবই দুঃখজনক। আমরা তাকে অনেক বেশি শাস্তি দিয়ে ফেলি। নামাজের সালাম ফিরানোর সাথে সাথে সবাই তার দিকে অদ্ভুদ বিরক্তিমাখা দৃষ্টিতে তাকাতে থাকে। কেউ কেউ তো সবার সামনেই তাকে বকাঝকা করতে থাকে। কটুক্তি এবং কটাক্ষও চলতে থাকে। সব মিলিয়ে এমন এক অবস্থা সৃষ্টি করা হয় যেন সে এইমাত্র পৃথিবীর সবচেয়ে বড় অপরাধটি সংঘটিত করেছে। বলাবাহুল্য, এই আচরণ মোটেই ঠিক নয়।
তবে যারা নামাজে মোবাইল বন্ধ রাখতে অবহেলা করে তাদেরকে সতর্ক করতে হবে। কিন্তু তা নরম ভাষায় হওয়া চাই মসজিদের ভেতর আরও একটি দৃশ্য দেখা যায়। তা হলো, কোনো মুসল্লি হয়তো ফরজ নামাজ শেষ করে বাইরে যাওয়ার চেষ্টা করছেন, তার কোনো প্রয়োজন রয়েছে কিংবা তিনি বাসায় গিয়ে সুন্নত পড়বেন। এবং তার পেছনেও কোনো মাসবুক নেই।
তারপরও দেখা যায়, পেছনের কাতারে কেউ কেউ খামোখাই চিৎকার শুরু করেÑ পাগল নাকি। মসজিদ থেকে বের হওয়ার জন্য এত অস্থির হয়েছেন কেন? মসজিদে থাকতে ভালো লাগে না? ইত্যাদি। একজন নামাজী মানুষের সঙ্গে এই রুক্ষ্ম আচরণ কতটুকু উচিত হলো? তাকে বের হওয়ার জায়গা করে দিলেই তো ঝামেলা মিটে যেত। তা না করে যা করা হলো হাদিস শরিফের ভাষায় একেই বলে রুক্ষতা। এটা অবশ্যই পরিহার করতে হবে। যেহেতু জামাতের নামাজে অনেক ধরনের লোক যাকে তাই-ফরজ নামাজের পর সাথে সাথে সুন্নতের নিয়ত না করে কিছুক্ষণ বিলম্ব করা উচিত, যাতে সামনের কারও প্রয়োজন হলে পেছনে যেতে পারে।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লামের শিক্ষা ও আদর্শ সকল যুগের সকল মানুষের জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য। কিন্তু বর্তমানে যে সময়টা আমরা অতিক্রম করছি, এ সময় রাসূলের একেকটি আদর্শ আমাদের বড় বেশি প্রয়োজন। রাসূলের একটি মাত্র আদর্শের প্রশিক্ষণ নিয়েই আমরা যারা দুঃসহ জটিলতার আবর্তে ঘুরপাক খাচ্ছি তারা মুক্ত বাতাসে নিঃশ্ব^াস ফেলতে পারি।
আমাদের পারিবারিক ও সামাজিক বিভিন্ন সমস্যার সূত্রপাত হয় কথা ও আচরণ থেকে। আমাদের কথা যদি সংযত হয়, শালীন ও মার্জিত হয়, নম্র ও নমনীয় হয়, তাহলে অবাঞ্ছিত অনেক জটিলতা থেকে মুক্ত থাকা যাবে। শেষ কথা হলো, রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি সাল্লামের জীবনী ও সিরাত নিয়ে অনেকেই অনেকভাবে চর্চা করেছেন।
সিরাত-চর্চার অনেক পদ্ধতি যুগে যুগে নবী-প্রেমিকরা আবিষ্কার করেছেন। আসুন আমরা সীরাত-চর্চার সর্বোত্তম পন্থাটি অবলম্বন করি। রাসূলের জীবনকে নিজেদের জীবনের জীবন্ত গ্রন্থে লিপিবদ্ধ করি। আমাদের জীবন-গ্রন্থের একেকটি পাতায় রাসূলের জীবনের একেকটি আদর্শের জীবন্ত রূপ তুলে ধরি।
বিভাগ : শান্তি ও সমৃদ্ধির পথ ইসলাম
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
বাংলাদেশের বিপক্ষে যে একাদশ দিয়ে মাঠে নামছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ
কিশোরগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ার কামালসহ তিনজন গ্রেফতার
প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানের সাক্ষাৎ
বেইজিং সংস্কৃতি ও পর্যটন ব্যুরো ও আটাবের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত
উইন্ডিজের বিপক্ষে মাঠে নামছে বাংলাদেশ
গাজায় যুদ্ধবিরতি ছাড়া বন্দী বিনিময় হবে না : হামাস
শান্তিরক্ষা মিশন মোতায়েন করতে চায় জাতিসংঘ হাইতিতে
চকরিয়ার বিএনপি নেতা আবু তাহের চৌধুরীর মৃত্যুতে সালাহউদ্দিন আহমদ ও হাসিনা আহমদের শোক
পুতিন পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে দ্বিধা করবেন না : সার্বিয়া
ক্লাইমেট অর্থায়ন ইস্যুতে দেশগুলোর মধ্যে দ্বন্দ্ব
লালমোহনে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত যুবদল নেতা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু
ট্রাম্পের অ্যাটর্নির বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন আটকে গেল
‘ফিলিস্তিনের পর ইরান, সউদী ও তুরস্ক হবে পরবর্তী টার্গেট’
প্রতি বছর ৩ লাখ নথিবিহীন অভিবাসীকে বৈধতা দানের ঘোষণা স্পেনের
প্রেম-ভালোবাসা নিয়ে সবচেয়ে অসুখী দেশ জাপান-কোরিয়া
মুসলিম চিকিৎসক
শীর্ষে দিল্লি
সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানীকে জমিয়াতুল মোদার্রেসীন ও দারুননাজাত মাদরাসা’র সংবর্ধনা
ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর বোর্ড অব গভর্নর সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানীকে জমিয়াতুল মোদার্রেসীন ও দারুননাজাত মাদরাসা’র সম্বর্ধনা
বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানের মধ্যে আঞ্চলিক সহযোগিতার আহ্বান