নতুন কোনো সম্প্রদায়ের অভ্যুত্থান অত্যাসন্ন
১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০৩ এএম | আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০৩ এএম
ইসলাম আল্লাহপাকের পছন্দনীয় দ্বীন বা জীবন ব্যবস্থা। হযরত আদম (আ.) হতে শুরু করে আখেরী নবী মোহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ (সা.) পর্যন্ত সকল নবী-রাসূল ও তাদের অনুসারীগণ নিবেদিতপ্রাণ হিসেবে ইসলামের প্রচার ও প্রসারের কাজ আঞ্জাম দিয়েছেন। কিন্তু চলমান বিশ্বের বহু মুসলিম নামধারী জনগোষ্ঠীর হাল-হাকীকত দেখে মনে হয় তাদের কাছে ইসলাম ছাড়া অন্য অনৈসলামিক জীবন ধারা প্রিয় হতে প্রিয়তর হয়ে উঠেছে। এমতাবস্থায় ইসলামের শ্বাশত ব্যবস্থাকে সঞ্জীবীত রাখার জন্য নতুন কোন সম্প্রদায়ের অভ্যুত্থান অত্যাসন্ন হয়ে পড়েছে।
এতদপ্রসঙ্গে আল কুরআনে ইরশাদ হয়েছে : হে মুমিনগণ! তোমাদের মধ্যে কেউ দ্বীন (ইসলাম) থেকে ফিরে গেলে নিশ্চয়ই আল্লাহ এমন এক সম্প্রদায়কে আনবেন যাদেরকে তিনি ভালোবাসেন এবং যারা তাঁকে ভালোবাসবে। তারা মুমিনদের প্রতি কোমল ও কাফেরদের প্রতি কঠোর হবে; তারা আল্লাহর পথে জিহাদ করবে এবং কোন নিন্দুকের নিন্দার ভয় করবে না; এটা আল্লাহর অনুগ্রহ, যাকে ইচ্ছা তাকে তিনি তা দান করেন এবং আল্লাহ প্রাচুর্যময়, সর্বজ্ঞ। (সূরা আল মায়েদাহ : ৫৪)।
এ আয়াতে কারীমায় আল্লাহ তায়ালার পক্ষ হতে কঠোর হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করা হয়েছে যে, যারাই আল্লাহর পথ ও তাঁর দ্বীন থেকে পিছু হটে যাবে, তারা আল্লাহর কোন ক্ষতি করতে সক্ষম হবে না। বরং পরম কৌশুলী আল্লাহ তায়ালা তাঁর দ্বীনের জন্য নতুন কোন জাতি বা সম্প্রদায়কে এগিয়ে আনবেন। হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) এ কথাই বলেছেন। (তাফসীরে তাবারী)।
এ আয়াতের অর্থ ও মর্মের আলোকে সুস্পষ্টভাবে বুঝা যায় যে, সত্যদ্বীন ইসলামের হেফাজতের দায়িত্ব আল্লাহ তায়ালা নিজেই গ্রহণ করেছেন। কোন ব্যক্তি কিংবা দল ও সম্প্রদায়ের অনীহা, অবাধ্যতা, বিরোধীতা ও বক্রতা দূরের কথা স্বয়ং মুসলিম নামধারীদের কোন ব্যক্তি, দল বা সম্প্রদায় যদি প্রকৃতই ইসলাম ত্যাগ করে বসে কিংবা সম্পূর্ণ ও অসম্পূর্ণরূপে দ্বীনত্যাগী হয়ে ইসলামবিরোধী শক্তির সাথে হাত মিলায়, তাহলে এতেও ইসলামের কোন ক্ষতি হবে না। হতে পারেই না। কারণ, মুসলিম নামধারীরাও যদি দ্বীনত্যাগী হয়ে যায় আল্লাহ জাল্লা শানুহু তাদের জায়গায় অন্য কোন সম্প্রদায় বা জাতির অভ্যুত্থান ঘটাবেন। যাদের মাধ্যমে দ্বীন ইসলাম সগৌরবে টিকে থাকবে। সে জাতির মধ্যে নি¤œলিখিত গুণগুলো পূর্ণ মাত্রায় বিদ্যমান থাকবে।
(১) তাদের প্রথম গুণ হচ্ছে আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে ভালোবাসবেন এবং তারা নিজেরাও আল্লাহ তায়ালাকে ভালোবাসবে। এগুণটিকে দুটি অংশে বিভক্ত করে বিশ্লেষণ করা যায়। (এক) আল্লাহর সাথে তাদের ভালোবাসা। একে কোন না কোন স্তরে মানুষের ইচ্ছাধীন মনে করা যায়। কেননা, এতো ভালোবাসার উপায় উপকরণগুলো মানুষের ইচ্ছাধীন। মানুষ যদি এসব উপায়-উপকরণকে কাজে লাগায় তাহলে তাদের সাথে আল্লাহ তায়ালার ভালোবাসা অবশ্যম্ভাবী। (২) আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেছেন : হে রাসূল! আপনি বলে দিন, যদি তোমরা আল্লাহকে ভালোবাস, তবে আমার অনুসরণ কর। ফলে, আল্লাহ তায়ালা তোমাদেরকে ভালোবাসবেন, আর তোমাদের অপরাধসমূহ মার্জনা করে দেবেন এবং আল্লাহপাক ক্ষমাশীল, দয়ালু। (সূরা আলে ইমরান : ৩১)। (দুই) আল্লাহর পক্ষ থেকে তাদেরকে ভালোবাসা। এতে বাহ্যত মানুষের ইচ্ছা ও কর্মের কোনই ভূমিকা নেই। এর সবই আল্লাহর ইচ্ছাধীন।
(২) তাদের দ্বিতীয় গুণ হচ্ছে, তারা মুসলমানদের সামনে ন¤্র হবে এবং কোন ব্যাপারে মতবিরোধ হলে মিমাংসার পথ বেছে নিয়ে ঝগড়া-বিবাদ ত্যাগ করবে। মোটকথা, তারা মুসলমানদের সাথে স্বীয় অধিকার ও কায়-কারবারের ব্যাপারে কোনরূপ ঝগড়া-বিবাদ রাখবে না। (৩) তাদের তৃতীয়গুণ হচ্ছে, তারা অবিশ্বাসী কাফেরদের ওপর প্রবল, শক্তিশালী ও কঠোর হবে। বস্তুত, তারা আল্লাহ ও তাঁর পছন্দনীয় দ্বীনের শত্রুদের মোকাবেলায় কঠোর ও পরাক্রান্ত হবে। অন্য এক আয়াতে আল্লাহপাক বলেন : তারা কাফেরদের প্রতি কঠোর এবং নিজেদের মধ্যে পরস্পরের প্রতি সহানুভূতিশীল হবে। (সূরা আল ফাতহ : ২৯)।
(৪) তাদের চতুর্থ গুণ হচ্ছে, তারা সত্যদ্বীনের প্রচার ও প্রসারের লক্ষ্যে জিহাদে প্রবৃত্ত হবে। কুফর ও দ্বীন ত্যাগের মোকাবেলায় তারা সর্বদাই উদীপ্ত ও উৎসাহী থাকবে। (৫) তাদের পঞ্চম গুণ হচ্ছে, দ্বীনকে প্রতিষ্ঠিত ও সমুন্নত করার চেষ্টায় তারা কোন ভর্ৎসনাকারীর ভর্ৎসনারই পরোয়া করবে না। তারা হবে সত্য দ্বীন প্রতিষ্ঠার নির্ভীক সৈনিক, দৃঢ়মনোবলে বলীয়ান বিজয়ী বীর। এই শ্রেণির বীরদের আগমন যত আগে হবে ততই মঙ্গল।
বিভাগ : শান্তি ও সমৃদ্ধির পথ ইসলাম
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
প্রেসিডেন্টর সঙ্গে তিন বাহিনী প্রধানের সৌজন্য সাক্ষাৎ
নিজ্জর হত্যায় মোদীর সংশ্লিষ্টতার দাবি কানাডার সংবাদমাধ্যমের ,‘হাস্যকর’ দাবি ভারতের
পাকিস্তানে যাত্রীবাহী গাড়িতে গুলি, নিহত ৪২
এক সপ্তাহে রিজার্ভ বাড়ল ৬ কোটি ১০ লাখ ডলার
ইউক্রেন যুদ্ধ বৈশ্বিক সংঘাতে পরিণত হচ্ছে : পুতিন
মুরগি-সবজিতে কিছুটা স্বস্তি, আলু এখনো চড়া
নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা, যা বলল যুক্তরাষ্ট্র
মার্কিন শ্রম প্রতিনিধি দল ঢাকা আসছে আজ
পার্থে শুরুতেই চাপে ভারত
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৮ সদস্যবিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা
সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়ার সঙ্গে জামায়াত আমীরের কুশল বিনিময়
সিঙ্গেল সিটের দাবিতে গভীর রাতেও হলের বাইরে ছাত্রীরা
ইসরাইলি হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা ৪৪ হাজার অতিক্রম করলো
ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন অ্যার্টনি জেনারেল পাম বন্ডি
‘আ.লীগকে রাজনীতিতে সুযোগ দেওয়া মানে শহীদদের সঙ্গে গাদ্দারি করা’
বাংলাদেশের বিপক্ষে যে একাদশ দিয়ে মাঠে নামছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ
কিশোরগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ার কামালসহ তিনজন গ্রেফতার
প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানের সাক্ষাৎ
বেইজিং সংস্কৃতি ও পর্যটন ব্যুরো ও আটাবের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত
উইন্ডিজের বিপক্ষে মাঠে নামছে বাংলাদেশ