উম্মতের জন্য রাসূল (সা.)-এর ভালোবাসা-২
২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:১৬ এএম | আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:১৬ এএম

উম্মতের প্রতি নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর ছিল অতুলনীয় ভালোবাসা। উম্মতের প্রতি মহানবী (সা.)-এর ভালোবাসার কথা বর্ণনা করে মহান আল্লাহ বলেন : ‘তোমাদের কাছে তোমাদের মধ্য থেকে একজন রাসুল এসেছেন, যিনি তোমাদের বিপন্নে কষ্ট পান, তিনি তোমাদের কল্যাণকামী, মুমিনদের প্রতি দয়ার্দ্র ও পরম দয়ালু।’ (সুরা তাওবা : ১২৮)।
আল্লাহ তায়ালা এ বিষয়ে আরো বলেন : ‘তোমাদের কাছে এসেছেন তোমাদের মধ্যে থেকে এক মহামর্যাদাবান রাসূল যিনি তোমাদের ক্ষতিগ্রস্ত ও বিপদগামী হওয়ায় খুবই উদ্বিগ্ন এবং সৎকর্মের প্রতি ধাবমান হওয়ার বড়ই আশাবান। তিনি মুমিনদের প্রতি স্নেহশীল দয়ালু’। (সূরা তাওবা : ২২৮)। উম্মতের প্রতি নবী (সা.)-এর ছিল অতুলনীয় ভালোবাসা। উম্মতের প্রতি নবী (সা.)-এর ভালোবাসার কথা আল্লাহ বর্ণনা করেছেন কুরআনের বিভিন্ন জায়গায়।
নবী (সা.) দোয়ার সময় সর্বদা উম্মতের কথা স্মরণ করতেন। সবার জন্য তাঁর মন থাকত ব্যাকুল। তাই প্রতিদিন প্রত্যেক নামাজের পর উম্মতের গুনাহের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করতেন তিনি। উম্মুল মুমিনিন আয়েশা (রা.) বলেছেন, ‘রাসুল (সা.)-এর অন্তর প্রসন্ন দেখলে আমি বলতাম, হে আল্লাহর রাসুল, আপনি আমার জন্য দোয়া করুন।’ তিনি বলতেন, ‘হে আল্লাহ, আপনি আয়েশার আগে ও পরের, গোপন ও প্রকাশ্যে করা গুনাহ ক্ষমা করুন।’ রাসুল (সা.)-এর দোয়া শুনে আয়েশা (রা.) হেসে নিজের কোলে মাথা নিচু করে ফেলতেন। তাঁর হাসিমাখা মুখ দেখে রাসুল (সা.) বলতেন, ‘আমার দোয়াতে কি তুমি আনন্দিত হয়েছ?’ আয়েশা (রা.) বলতেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, এটা কেমন কথা, আপনার দোয়ায় আমি আনন্দিত হব না?’ তখন রাসুল (সা.) বলতেন, ‘আল্লাহর শপথ, এভাবেই আমি প্রত্যেক নামাজের পর আমার উম্মতের জন্য দোয়া করি।’ (ইবনে হিব্বান : ৭১১১)
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘সব নবীর এমন কিছু দোয়া আছে, যা আল্লাহর কাছে কবুল হয়। সব নবী দ্রুত নিজেদের জন্য দোয়া করেছে। আমি তা কিয়ামতের দিন উম্মতের সুপারিশের জন্য গোপন করে রেখেছি। আমার উম্মতের মধ্যে যে আল্লাহর সঙ্গে কোনো কিছু শরিক না করে মৃত্যুবরণ করবে, সে ইনশা আল্লাহ আমার সুপারিশ লাভ করবে।’ (মুসলিম : ১৯৯)।
আবদুল্লাহ বিন আমর ইবনুলন আস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) ইবরাহিম (আ.)-এর কথা তিলাওয়াত করলেন, ‘হে আমার রব, তারা অনেক মানুষকে পথভ্রষ্ট করেছে, তাই যারা আমার অনুসরণ করবে তারা আমার দলভুক্ত, আর যারা আমার অবাধ্য হবে (তাদের ব্যাপারে) আপনি ক্ষমাশীল ও দয়ালু।’ (সুরা ইবরাহিম : ৩৬)। আর ঈসা (আ.) বলেছেন, আপনি তাদের আজাব দিলে তারা আপনার বান্দা, আর ক্ষমা করলে আপনি পরাক্রমশালী ও প্রজ্ঞাময়।’ (সুরা মায়েদা : ১১৮)।
অতঃপর রাসুল (সা.) দুই হাত তুলে বলেন, ‘হে আল্লাহ, আমার উম্মত! আমার উম্মত!’ আল্লাহ তায়ালা বললেন, ‘হে জিবরাইল, মোহাম্মদের কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করো, আপনি কাঁদছেন কেন?’ মহান আল্লাহ সব কিছুই অবগত আছেন। জিবরাইল (আ.) এসে জিজ্ঞেস করলেন। রাসুল (সা.) তাকে নিজের কথা বললেন। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘হে জিবরাইল, তুমি মোহাম্মদের কাছে গিয়ে বলো, আমি শিগগির আপনার উম্মতের ব্যাপারে আপনাকে সন্তুষ্ট করব এবং আমি আপনাকে কষ্ট দেবো না।’ (মুসলিম : ২০২)
আমরা মোহাম্মাদ (সা.)-এর উম্মত। আর মোহাম্মদ (সা.) উম্মতের সকল বিষয়ে খেয়াল রাখতেন। উম্মতের ক্ষতিকর বিষয়সমূহ হলো যে, তার বিপদগামিতা, ত্রুটিমুক্ত আমল, পার্থিব জীবনে সুখময়ভাবে জীবন পরিচালনা করা, পরকালীন যাবতীয় ক্ষতিকর ও অনিষ্টকর বিষয় থেকে বাঁচানোর জন্য প্রাণান্ত চেষ্টা করেছেন সারা জীবনভর।
বিভাগ : শান্তি ও সমৃদ্ধির পথ ইসলাম
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
শঙ্কটে চেলসি: কোন পথে পোচেত্তিনোর ভবিষ্যত

এখনো থামেনি ‘জাওয়ান’ ঝড়, ২০ দিন শেষে আয় কত?
৫ হাজারী ক্লাবে মাহমুদউল্লাহ

ঢাবির বৃহত্তর ময়মনসিংহ কল্যাণ সমিতি সভাপতি শারমিন, সম্পাদক সারোয়ার

বড়দিনে মুখোমুখি হচ্ছেন প্রভাস-শাহরুখ

কাতার প্রবাসী তিন বাংলাদেশী সউদীতে নিহত

বাংলাদেশেও ইতিহাস গড়ল শাহরুখের ‘জাওয়ান’

আজ গুগলের জন্মদিন

দেশ ৩ দিনের ছুটিতে

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক অত্যন্ত মধুর : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

রাজ-পরীর বিচ্ছেদ নিয়ে যে মন্তব্য করলেন সুনেরাহ

জায়েদ-সায়ন্তিকার কারণেই বন্ধ ‘ছায়াবাজ’র শুটিং!

সমুদ্রের তলায় মসজিদ, কোথায় নির্মিত হবে এই আশ্চর্য্য স্থাপত্য?

জ্বালানি তেল বিক্রিতে কমিশন বাড়ালো সরকার
তামিম প্রশ্নে যা বললেন মাশরাফি

একনজরে বিশ্বকাপের ১০ দলের স্কোয়াড

সংস্কৃতিকে সকলের নিকট সুগম করতে প্রযুক্তির বিশাল অবদান রয়েছে : সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

ঢাকায় আসবেন সউদী যুবরাজ সালমান

জাতীয় জাদুঘরে হাওয়াইয়ান গীটার শিল্পী পরিষদের অভিষেক ও গীটার সন্ধ্যা

সুফল মিলছেনা হাজার কোটি টাকার বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতুর